আজকের শিরোনাম :

নারীরা এখন সর্বত্র দক্ষতার সঙ্গে কাজ করছে : প্রধানমন্ত্রী

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৯ ডিসেম্বর ২০১৯, ১২:৫৬ | আপডেট : ০৯ ডিসেম্বর ২০১৯, ১৫:২০

ছবি : ফোকাস বাংলা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বেগম রোকেয়া তার বইয়ে লিখেছিলেন, নারীরা একদিন লেখাপড়া শিখে জজ, ব্যারিস্টার হবে। শুধু জজ-ব্যারিস্টার নয়, নারীরা এখন সর্বত্র দক্ষতার সঙ্গে কাজ করছে।

আজ সোমবার সকালে রাজধানীতে ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বেগম রোকেয়া দিবস উপলক্ষে পদক প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। 

মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয় আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বেগম ফজিলাতুনন্নেসা ইন্দিরা। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন মন্ত্রণালয়ের সচিব কামরুন্নাহার।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, নারীদের শুধু শিক্ষা দিলেই হবে না, তাই আমরা সরকারে এসে বিভিন্ন পদে নারীদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছি। প্রথমেই প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৬০ শতাংশ নারীদের চাকরির সুযোগ করে দেই। কারণ নারীর অর্থনৈতিক স্বাধীনতা সবচেয়ে বেশি দরকার। 

শেখ হাসিনা বলেন, আমরাই প্রথম উপলব্ধি করেছি নারী শিক্ষার বাধ্যতামূলক করে দেয়া।  এখন নারীরা পার্লামেন্টেও সুযোগ পাচ্ছে। আমরা নারী শিক্ষার অগ্রগতির জন্য ২ কোটি ৩ লাখ বৃত্তি এবং উপবৃত্তির ব্যবস্থা করেছি।  এ ছাড়া সারাদেশে বাংলাদেশে কমিউনিটি ক্লিনিক করে দিয়েছি। সেখানে ট্রেনিংয়ের সুযোগ করে দিয়েছি। প্রত্যক জায়গায় আমরা মেয়েদের উৎসাহিত করছি। উদ্যোক্তা হিসেবে মেয়েদের সুবিধা দিচ্ছি।

বিভিন্ন সেক্টরে মেয়েদের অগ্রগতি উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা চাই মেয়েরা বিনিয়োগ সেক্টরে এগিয়ে আসুক। এখন বাংলাদেশের সব জায়গায় মেয়ের অবস্থান রয়েছে। পার্লামেন্টে সব জায়গায় মেয়েদের অবস্থান। ক্রীড়াঙ্গনে মেয়েরা ভালো করছেন। স্বর্ণ পেয়েছেন। এসএ গেমসে মেয়েরা স্বর্ণ জয় করেছে।

মেয়েদের জন্য সরকারের চালু করা বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধার কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, একটা সময় মেয়েদের খেলার সুযোগ ছিল না দেশে। আমরা প্রাথমিক পর্যায়ে বেগম ফজিলাতুন্নেছা মেয়েদের জন্য এবং ছেলেদের জন্য বঙ্গবন্ধু টুর্নামেন্ট চালু করেছি। শিক্ষা ক্ষেত্রে মেয়েদের অংশগ্রহণ চোখে পড়ার মতো। মেয়েরা এখন পড়াশোনায় খুব আগ্রহী। সমাজে এক ধরনের পরিবর্তন এসে গেছে। এরই মধ্যে আমরা একটা লিগ্যাল এইড ফান্ড করে দিয়েছি, যা দিয়ে মেয়েরা আইনী বিষয়ের সহযোগিতাও পাবে। আমরা বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন পাস করেছি। জনসচেতনা সৃষ্টি হচ্ছে। মেয়েদের মাতৃকালীন ছুটি ৬ মাস করে দিয়েছি। মাতৃকালীন ভাতা দেওয়ার চেষ্টা করছি। গার্মেন্টস কর্মজীবী মেয়েদের জন্য ডরমেটরি করে দিচ্ছি।

জাতীয় সংসদে নারীদের অবস্থান নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, পার্লামেন্ট কার্যকর হয় স্পিকার, সংসদ নেতা ও বিরোধী দলের নেতাদের জন্য। এখন এই তিন জায়গাতেই নারী রয়েছে।

তিনি বলেন, সমাজের অর্ধেক মানুষ নারী। সেই নারীদের বাদ দিয়ে অর্থাৎ একটি অঙ্গকে বাদ দিয়ে এগিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। বর্তমানে নারী পুরুষ সবাই সমন্বিতভাবে কাজ করছে, এ কারণে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে।

শেখ হাসিনা বলেন, নারী-পুরুষের সমতাভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণে বাংলাদেশ আজ বিশ্বে উন্নয়নের রোলমডেল। বেগম রোকেয়ার কর্মে ও আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে আজকের নারীরা জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে এগিয়ে যাবেন।

এবিএন/সাদিক/জসিম

এই বিভাগের আরো সংবাদ