স্কুল থেকেই ট্রাফিক সচেতনতা শুরু করতে হবে : প্রধানমন্ত্রী
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ১৬ অক্টোবর ২০১৯, ১২:৪৫ | আপডেট : ১৬ অক্টোবর ২০১৯, ১৮:৪৪
সড়ক ব্যবহারে সবাইকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, স্কুল থেকেই ট্রাফিক আইন সম্পর্কে ছেলেমেয়েদের সচেতন করতে হবে। রাস্তায় কোনদিক থেকে হাঁটতে হবে, সেটাও শিক্ষণীয় বিষয়। আমি মনে করি, আমাদের প্রতিটি স্কুলে শিক্ষার্থীদের এই শিক্ষা দেওয়া একান্ত দরকার।
আজ বুধবার (১৬ অক্টোবর) গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের অধীনে বাস্তবায়িত বিভিন্ন প্রকল্প উদ্বোধনকালে তিনি এ কথা বলেন।
রাস্তায় চলাচলকারী ও যানবাহন চালকদের সচেতন ও দায়িত্বশীলতা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, রাস্তায় যখন যান চলাচল করবে, যারা গাড়ি (বাস, ট্রাক) চালাবেন বা মোটরসাইকেল চালাবেন তাদেরও সচেতন হতে হবে। সচেতন হতে হবে এ কারণে যে, অহেতুক একটা প্রতিযোগিতা করতে যেয়ে অনেক সময় সড়ক দুর্ঘটনা হয়।
তিনি বলেন, ‘আমরা নিরাপদ সড়ক আইন প্রণয়ন করেছি; কিন্তু যারা চলাচল করেন তারা কিন্তু মোটেও সচেতন না। তাদেরও সচেতন হতে হবে। কারণ যারা রাস্তায় চলাচল করবেন, আপনি রাস্তা যখন পারাপার হবেন এই পারাপারের সময় আপনাকেতো ডাইনে বামে সবদিকে দেখেই পার হতে হবে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জাতির পিতা আমাদের স্বাধীনতা দিয়ে গেছেন। তার লক্ষ্য ছিল বাংলাদেশকে উন্নত সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে তুলবেন। ৮২ ভাগের ওপর মানুষ দরিদ্রসীমার নিচে বাস করত। জলপথই ভরসা ছিল, রাস্তাঘাট ছিলই না। শোষিত বঞ্চিত মানুষগুলোর ভাগ্য পরিবর্তন করতেই তিনি দেশ স্বাধীন করেন এবং বিধ্বস্ত রেল সড়ক যোগাযোগ চালুর ব্যবস্থা করেন।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘একটা দুর্ঘটনার শিকার কেউ হলে তার পরিবার ভীষণভাবে কষ্টের শিকার হন এবং বিভিন্নভাবে তাদের জীবনমান ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এই দিকটা সকলকেই দেখতে হবে। এই ব্যাপারে সবাইকে সচেতন হওয়ার জন্য আমি বিশেষভাবে অনুরোধ জানাই।’
প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে ময়মনসিংহ-গফরগাঁও টোক সড়কে বানার নদীর উপর সেতু, ঢাকা-চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের ইন্দ্রপুল হতে চক্রশালা পর্যন্ত বাঁক সরলীকরণ, সাতক্ষীরা শহর বাইপাস সড়ক, ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ভুলতায় ৪ লেন বিশিষ্ট ফ্লাইওভার, মুন্সিগঞ্জের ঝুঁকিপূর্ণ ১৩টি সেতু স্থায়ী কংক্রিট সেতু দ্বারা প্রতিস্থাপনের উদ্বোধন করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ২০০৯ সাল থেকে ধারাবাহিকভাবে টানা সরকারে থাকার কারণেই উন্নয়নের কাজগুলো গতিশীলতা পেয়েছে, বাস্তবায়ন হচ্ছে এবং মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন ও জীবনমান উন্নত হচ্ছে। দারিদ্র্যের হার কমানো ও শিক্ষার হার বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন অবকামাঠামো ও সেবা খাতের উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে তিনি বলেন, এভাবে প্রতিটি ক্ষেত্রেই আমরা মানুষের সেবা করে যাচ্ছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, রাজধানী থেকে জেলা, উপজেলা, গ্রাম পর্যন্ত একটা সড়ক নেটওয়ার্ক গড়ে তোলার ব্যাপক কর্মসূচি আমরা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি।
মুখ্য সচিব নজিবুর রহমানের সঞ্চালনায় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট জেলাগুলোর বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষের সঙ্গে মতবিনিময় করেন প্রধানমন্ত্রী।
গণভবনপ্রান্ত থেকে অন্যদের সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বক্তব্য দেন।
এর আগে প্রকল্পগুলোর ওপর ডিজিটাল প্রদর্শনী উপস্থাপন করেন সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব নজরুল ইসলাম।
পরে আরেকটি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ঢাকা-কুড়িগ্রাম-ঢাকা রুটের আন্তঃনগর ট্রেন চালু এবং রংপুর এক্সপ্রেস ও লালমনিরহাট এক্সপ্রেসের র্যাক প্রতিস্থাপনের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।
এবিএন/সাদিক/জসিম
এই বিভাগের আরো সংবাদ