আজকের শিরোনাম :

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৩৭টি পদক লাভ

  বাসস

১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ১৭:০৩ | আপডেট : ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ১৭:১১ | অনলাইন সংস্করণ

ড. কালাম স্মৃতি ইন্টারন্যাশনাল এক্সিলেন্স এ্যাওয়ার্ড-২০১৯ অর্জনের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রদত্ত আন্তর্জাতিক পদকের সংখ্যা ৩৭টিতে উন্নীত হলো।

সোমবার ড. কালাম স্মৃতি ইন্টারন্যাশনাল এডভাইজরি কাউন্সিলের প্রধান উপদেষ্টা এ্যাম্বাসেডর টি পি শ্রীনিবাসন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এ পদক হস্তান্তর করেন।

ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে ঘনিষ্ট ও পারস্পরিক সন্তোষজনক সম্পর্ক, নিজ দেশের জনগণের কল্যাণ, বিশেষ করে নারী ও শিশু এবং আন্তর্জাতিক শান্তি ও সহযোগিতায় তাঁর অঙ্গীকারের স্বীকৃতি হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রখ্যাত বিজ্ঞানী ও ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতি ড. এ পি জে আবদুল কালামের স্মৃতির স্মরণে প্রবর্তিত এ পদক দেয়া হয়।

এর আগে, চলতি বছরের মার্চে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীকে ‘লাইফটাইম কন্ট্রিবিউশন ফর উইমেন এমপাওয়ারমেন্ট এ্যাওয়ার্ড’-এ ভূষিত করা হয়।

বার্লিনে ৭ মার্চ প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে ইনস্টিটিউট অব সাউফ এশিয়ান উইমেন প্রদত্ত এ পদক গ্রহণ করেন জার্মানীতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ইমতিয়াজ আহমেদ। নারীর ক্ষমতায়ন ও দক্ষিণ এশিয়ায় অনন্য নেতৃত্বের স্বীকৃতি হিসেবে শেখ হাসিনাকে এ পদক দেয়া হয়।

এর আগে বিশ্বের বিভিন্ন স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয় ও ইনস্টিটিউট শান্তি প্রতিষ্ঠা, গণতন্ত্র সমুন্নত ও আত্মসামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনের জন্য প্রধানমন্ত্রীকে বিভিন্ন পর্যায়ের পদক প্রদান করে।

শেখ হাসিনা সমাজসেবা, শান্তি ও স্থিতিশীলতায় অসাধারণ ভূমিকার জন্যও পদক অর্জনের মাধ্যমে সম্মানিত হয়েছেন।

রোহিঙ্গা ইস্যুতে দূরদর্শী নেতৃত্ব এবং রোহিঙ্গাদের আশ্রয়দানে দায়িত্বশীল নীতি ও তার মানবিকতার জন্য প্রধানমন্ত্রী আইপিএস ইন্টারন্যাশনাল এচিভমেন্ট এওয়ার্ড এবং ২০১৮ স্পেসাল ডিসটিংশন এওয়ার্ড ফর লিডারশিপ গ্রহণ করেন।

বিশ্বের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় নিউজ এজেন্সি ‘দি ইন্টার প্রেস সার্ভিস (আইপিএস) এবং নিউইয়র্ক, জুরিখ ও হংকং ভিত্তিক তিনটি অলাভজনক ফাউন্ডেশনের নেটওয়ার্ক গ্লোবাল হোপ কোয়ালিশন গত বছরের ২৮ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রীকে দু’টি এওয়ার্ডে ভূষিত করে।

বাংলাদেশে নারী শিক্ষা ও উদ্যোক্তা তৈরিতে অসামান্য নেতৃত্বদানের জন্য গত বছরের ২৭ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী গ্লোবাল ওমেন’স লিডারশিপ এওয়ার্ড লাভ করেন।

যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক গ্লোবাল সামিট অব ওমেন অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে এক ভোজ সভায় মর্যাদাপূর্ণ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীকে সম্মাননা জানায়। সম্মেলনে অংশ নেয়া বিশ্বের প্রায় ১৫শ’ নারী নেতৃত্বের উপস্থিতিতে গ্লোবাল সামিটের প্রেসিডেন্ট আইরিন নাতিভিদাদের কাছ থেকে তিনি গ্লোবাল উইম্যান’স লিডারশিপ এওয়ার্ড গ্রহণ করেন।

চতুর্থবার নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রথম আন্তর্জাতিক মহলের বাড়তি মনোযোগে আসেন ১৯৯৮ সালে। এ বছর দেশের দক্ষিণ পূর্বাঞ্চলে পার্বত্য চট্টগ্রামে বিদ্রোহীদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে দীর্ঘ দুই দশকের অস্থিরতার অবসান ঘটিয়ে শান্তি ফিরিয়ে আনার জন্য ইউনেস্কো প্রধানমন্ত্রীকে “হুপে-বোয়ানি” শান্তি পুরস্কারে ভূষিত করে।

১৯৯৯ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর এওয়ার্ড হস্তান্তরকালে ইউনেস্কোর মহাপরিচালক ফেদেরিকো মেয়র বলেন, জাতি গঠনে আপনার পিতার অনুসৃত পথ অবলম্বন করে আপনি দেশকে শান্তি ও পুনর্মিলনের পথে নিয়ে গেছেন। দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠায় আপনার উদ্যোগ ও নিষ্ঠা বিশ্বে শান্তির সংস্কৃতির দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।

এরপর থেকে বিশ্ব শান্তি, জলবায়ু পরিবর্তন, কৃষি, নারী শিক্ষা এবং আইসিটি উন্নয়নে শেখ হাসিনা তাঁর অঙ্গীকার প্রতিপালনে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক মহলে মর্যাদার আসনে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

আন্তর্জাতিক একাডেমিক কমিউনিটি শেখ হাসিনার অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, অস্ট্রেলিয়া, বেলজিয়াম এবং ভারতের বিখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন,সাহিত্য,লিবারেল আর্টস এবং মানবিক বিষয়ে ৯টি সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি প্রদান করেছে।

২০১০ সালে সহস্রাব্দের উন্নয়ন লক্ষ্যসমূহ (এমডিজি) অর্জনে বিশেষ করে শিশু মৃত্যুর হার হ্রাসে অবদানের জন্য জাতিসংঘের এওয়ার্ড লাভ করেন।

এবিএন/জনি/জসিম/জেডি

এই বিভাগের আরো সংবাদ