আজকের শিরোনাম :

বহুমুখী পরিকল্পনায় দেশের উন্নয়নে কাজ করছে সরকার : প্রধানমন্ত্রী

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৩ জুলাই ২০১৯, ১৩:৫১ | আপডেট : ১৩ জুলাই ২০১৯, ১৫:৫২

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশের উন্নয়নে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার বিকল্প নেই। তাই বহুমুখী পরিকল্পনার মাধ্যমে দেশের উন্নয়নে কাজ করছে সরকার।

আজ শনিবার সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের শাপলা হলে মন্ত্রণালয়/বিভাগগুলোর ২০১৯ ও ২০২০ অর্থবছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।


সরকারের উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তা সচিবদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশ ও দেশের মানুষের ভালো থাকার স্বার্থে সবাই মনোযোগ দিয়ে আরও বেশি করে কাজ করবেন।

তিনি বলেন, প্রসাশনের কর্মকর্তাদের আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করার ফলেই দেশ আজ এগিয়ে যাচ্ছে। দেশের মানুষ অপনাদেরর কাজের সুফল পাচ্ছে। কর্মকর্তাদের কাজের ফলেই আমাদের প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধি পেয়েছে, মাথা পিছু আয় বেড়েছে। দেশ এগিয়ে যাওয়া এবং মানুষের মাথাপিছু আয় বেড়ে যাওয়ার ফলেই আজ আমরা ৫ লাখ ২৩ হাজার কোটি টাকার বাজেট দিতে পেরেছি। ৫ লাখ কোটি টাকার বাজেট কবে দিতে পারব, এটা নিয়ে আমি এবং সাবেক অর্থমন্ত্রী মুহিত সাহেবের সঙ্গে অনেক দিন আলাপ করেছি। শেষ পর্যন্ত সেই বাজেট আমরা দিলাম কিন্তু মুহিত সাহেব দিতে পারলেন না, যা হোক ওনার বয়স হয়ে গেছে। এ কারণে সম্ভব হয়নি।

ঘুষ যে দেবে সেও অপরাধী উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কেউ ঘুষ নিলে শুধু সে অপরাধী, তা কিন্তু নয়, যে দেবে সেও অপরাধী।

শেখ হাসিনা বলেন, আমরা সারাদিন এত খেটে, এত কাজ করে পার করি। এখন যদি এ দুর্নীতির কারণে সব নষ্ট হয়ে যায়; এটা সত্যি খুবই দুঃখজনক।

তিনি বলেন, এ দুর্নীতির কারণে আমাদের উন্নয়নটা যেনো কোনো মতেই ক্ষতি না হয়, সে বিষয়টা সবাইকে আরও ভালোভাবে দেখতে হবে। আপনাদের নির্দেশনা দিতে হবে একেবারে নিম্নস্তর পর্যন্ত। যারা কাজ করে তাদেরও এ ব্যাপারে সচেতন করতে হবে যে এটা কখনই আমরা বরদাশত করবো না। সবাইকে আরও দায়িত্বশীল হতে হবে।

ক্ষুধা দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০২১ সালে আমরা আমাদের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালন করব। সেই সঙ্গে জাতির পিতার জন্মবার্ষিকী ও ২০২১ সালকে আমরা মুজিব বর্ষ হিসেবে ঘোষণা দিয়েছি। এর মধ্যে বাংলাদেশে একটা ভিক্ষুকও থাকবে না। একটা মানুষ গৃহহারা থাকবে না। একটা মানুষ না খেয়ে কষ্ট পাবে না।

তিনি বলেন, অন্তত মানুষের মৌলিক চাহিদাগুলো আমরা পূরণ করবো। তাদের জীবনের ন্যূনতম চাহিদা, সেটা যেনো আমরা পূরণ করতে পারি, সে লক্ষ্যকে সামনে রেখে সমস্ত পরিকল্পনা, সমস্ত কাজ করতে হবে।

বাংলাদেশ বিশ্বে এখন উন্নয়নের রোল মডেল বলেও মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী।

গ্রামীণ উন্নয়ন ও গ্রামে কর্মসংস্থান সৃষ্টির ওপর গুরুত্বারোপ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মানুষ যেন কাজ খুঁজতে শহরে না আসে, সেভাবে পদক্ষেপ নিতে হবে।

পরিকল্পিত উন্নয়নের ওপর গুরুত্বারোপ করে শেখ হাসিনা বলেন, পরিকল্পিতভাবে উন্নয়ন করতে হবে। যত্রতত্র উন্নয়ন আর যেনো না হয়। অপরিকল্পিত উন্নয়ন হলে জমি নষ্ট হবে এবং তাদের নাগরিক সুবিধা দেওয়া কঠিন হয়ে যাবে। একেবারে তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত মাস্টারপ্ল্যান অনুযায়ী উন্নয়নের ওপর গুরুত্বারোপ করেন প্রধানমন্ত্রী।

’৭৫ পরবর্তী সময়ের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে তারা নিজেদের নিয়ে ব্যস্ত থেকেছে। জনগণের জন্য কাজ করেনি।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম। এ ছাড়া জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমান ও বিদ্যুৎ সচিব আহমদ কায়কাউস বক্তব্য দেন।

অনুষ্ঠানের শুরুতে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কাজের উন্নয়নের ওপর একটি ভিডিও চিত্র প্রদর্শন করা হয়।

এবিএন/সাদিক/জসিম

এই বিভাগের আরো সংবাদ