আজকের শিরোনাম :

রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে চীনের আশ্বাস পেয়েছি: প্রধানমন্ত্রী (ভিডিও)

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৮ জুলাই ২০১৯, ১৭:০৫ | আপডেট : ০৮ জুলাই ২০১৯, ১৭:৫৩

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, চীনের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আমার বৈঠক হয়েছে। তিনি আশ্বাস দিয়েছেন- তারা বিষয়টি দেখবেন। রোহিঙ্গাদের ফেরানোর বিষয়ে মিয়ানমারের প্রতি তারা (চীন) দেখবেন বলে জানিয়েছেন।

চীন সফর শেষে আজ সোমবার (০৮ জুলাই) গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি একথা জানান। 

সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর কাছে জানতে চাওয়া হয়, রোহিঙ্গাদের ফেরানোর প্রশ্নে চীনা প্রধানমন্ত্রী ও প্রেসিডেন্টের এমন কোনও তথ্য আছে কিনা, যা বাংলাদেশের জন্য সুখবর বিবেচনা করা যেতে পারে?

জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তারা (চীনা প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রী) বলেছেন, বিষয়টি দেখবেন, বিবেচনা করবেন, এটা কি সুখবর মনে হচ্ছে না? নাকি দুঃখের খবর মনে হচ্ছে?’

তিনি বলেন, ‘এটা ঠিক যে চীন বরাবরই মিয়ানমারের সঙ্গে আছে। কিন্তু বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গারা যে একটা সমস্যা, এটা তারা উপলব্ধি করতে পারছেন। তারা সবসময় মনে করছেন বিষয়টির দ্রুত সমাধান হওয়া উচিত। এজন্য তাদের যা করণীয় তারা তা করবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন।’

আলোচনার মাধ্যমে রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবারও মিয়ানমারে যাবেন বলে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ থেকে মিয়ানমারের নাগরিকদের ফিরিয়ে নিতে মিয়ানমার সরকারকে সম্মত করতে চেষ্টা করবেন বলে আমাকে আশ্বস্ত করেছেন। চীনের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, রোহিঙ্গা সমস্যা বাংলাদেশের জন্য একটি বড় সমস্যা।চীন তার পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে দুইবার মিয়ানমারে পাঠিয়েছে। আলোচনার মাধ্যমে এ সমস্যা সমাধানে প্রয়োজনে তারা আবারও মন্ত্রীকে মিয়ানমারে পাঠাবে।

তিনি বলেন, আমি উন্নয়নের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জনে এই অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতার ওপর গুরুত্বারোপ করি। রোহিঙ্গা সঙ্কটের কারণে এই শান্তি ও স্থিতিশীলতা বিঘ্নিত হাতে পারে বলে আমি উল্লেখ করি।

রাখাইনকে বাংলাদেশের অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়ে মার্কিন কংগ্রেসম্যানের প্রস্তাব প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমরা ১ লাখ ৪৭ হাজার ৫৭০ বর্গ কিলোমিটার নিয়েই খুশি। মিয়ানমার তার সার্বভৌমত্ব নিয়ে থাকবে। আমরা আমাদেরটা নিয়ে থাকবো। আমরা রাখাইনকে চাই না। 

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছে। রাখাইন মিয়ানমারের অংশ। আমরা এটা চাই না। সেখানে বাংলাদেশের সঙ্গে রাখাইনকে জুড়ে দিতে চায় কেন?

‘কোনো বড় দেশের কংগ্রেসম্যান হয়তো ভুলে গেছেন, তাদের অতীত। তাদের দেশে গৃহযুদ্ধ লেগেই থাকতো। রাখাইনে সারাক্ষণ গোলযোগ লেগেই তাকে। আমরা গোলযোগ পূর্ণ অংশ কেন নেবো? এটা কোনো দিনই করবো না। এটা আমরা চাই না।’

সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়স সীমা ৩৫ বছর প্রসঙ্গে তিনি বলেন, চাকরিতে বয়স সীমা বাড়ানোর বিষয়ে যখন আলোচনা শুরু হয় তখনই আমি পিএসসির চেয়ারম্যানকে ডেকে এ বিষয়ে আলোচনা করি। কিন্তু এটা সম্ভব না।

গত কয়েকটি বিসিএস পরীক্ষায় পাসের পরিসংখ্যান তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, একটু দেরি হলেও ১৬ বছরে এসএসসি, ১৮-তে ইন্টারমিডিয়েট, চার বছর অনার্স, এক বছর মাস্টার্স। সে হিসেবে ২৩-২৪ বছরে পড়াশোনা শেষ করে সরকারি চাকরিতে আবেদন করতে পারে।

তিনি বলেন, কাজ করার জন্য একটা সময় থাকে, বয়স থাকে। একটা সময় পর তা আর হয় না। তাই শুধু আন্দোলন করার জন্যই যদি দাবি তোলা হয়, তাহলে কিছু বলার নেই। এক্ষেত্রে তারা হয়তো কোনো জায়গা থেকে সুবিধা-অনুপ্রেরণা পাচ্ছেন কিনা-সেটিও বিষয়। 

‘এ নিয়ে পার্লামেন্টেও একটা প্রস্তাব হয়েছে। তারা আন্দোলন করেই যাবে। আন্দোলন করুক। আন্দোলন করলে অনন্ত রাজনীতিটা হয়তো শিখবে।’ 

এ সময় পঁচাত্তর পরবর্তী সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের কথা তুলে ধরেন শেখ হাসিনা। 

এবিএন/জনি/জসিম/জেডি

এই বিভাগের আরো সংবাদ