আজকের শিরোনাম :

৩৬ আন্তর্জাতিক সম্মাননা ও অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১০ মার্চ ২০১৯, ১৫:০৩

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ বছরের আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে ‘লাইফটাইম কন্ট্রিবিউশন ফর উইমেন এমপাওয়ামেন্ট অ্যাওয়ার্ড’ অর্জনের মাধ্যমে তার আন্তর্জাতিক সম্মাননার সংখ্যা বেড়ে ৩৬টিতে দাঁড়িয়েছে ।

প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে জার্মানিতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ইমতিয়াজ আহমেদ ৭ মার্চ বার্লিনে ইনস্টিটিউট অব সাউথ এশিয়ান উইমেন প্রদত্ত এই অ্যাওয়ার্ড গ্রহণ করেন।

নারীর ক্ষমতায়নে অসামান্য অবদানের পাশাপাশি দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলে তার গতিশীল নেতৃত্বের জন্য এই অ্যাওয়ার্ড দেয়া হয়।

এর আগে শান্তি প্রতিষ্ঠা, গণতন্ত্র সমুন্নত করা এবং আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার জন্য বিশ্বের খ্যাতনামা বিশ্ববিদ্যালয় ও ইনস্টিটিউশনের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীকে বিভিন্ন ডিগ্রি ও সম্মাননা দেয়া হয়।

সামাজিক কার্যক্রম, শান্তি ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠায় অসামান্য অবদানের জন্যও তাকে সম্মাননা ও এওয়ার্ড প্রদান করা হয়।

রোহিঙ্গাদের আশ্রয়দানের দায়িত্বশীল নীতি ও মানবিক সাহায্য প্রদান এবং রোহিঙ্গা ইস্যুত দূরদর্শী নেতৃত্বের জন্য প্রধানমন্ত্রী দু’টি আন্তর্জাতিক অ্যাওয়ার্ড আইপিএস ইন্টান্যাশনাল অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড এবং ২০১৮ স্পেশাল ডিসটিংশন অ্যাওয়ার্ড ফর লিডারশিপ অর্জন করেন।

বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় সংবাদ সংস্থা ইন্টার প্রেস সার্ভিস (আইপিএস) এবং নিউইয়র্ক, জুরিখ ও হংকংভিত্তিক অলাভজনক তিনটি ফাউন্ডেশনের নেটওয়ার্ক গ্লোবাল হোপ কোয়ালিশন গত বছরের ২৮ সেপ্টেম্বর দুটি অ্যাওয়ার্ড প্রদান করে শেখ হাসিনাকে সম্মাননা জানায়।

বাংলাদেশে নারী শিক্ষা এবং উদ্যোক্তা সৃষ্টিতে অসামান্য নেতৃত্বের জন্য প্রধানমন্ত্রী গত বছরের ২৭ এপ্রিল গ্লোবাল উইমেন’স লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড গ্রহণ করেন।

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গ্লোবাল সামিট অব উইমেন অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে সংস্থার এক ভোজ উৎসবে শেখ হাসিনাকে মর্যাদাপূর্ণ অ্যাওয়ার্ড প্রদানের মাধ্যমে সম্মাননা জানায়। প্রধানমন্ত্রী ‘গ্লোবাল উইমেন সামিট’-এর প্রেসিডেন্ট আইরিন নাতিভিদাদের কাছ থেকে এই অ্যাওয়ার্ড গ্রহণ করেন। সম্মেলনে বিশ্বের প্রায় দেড় হাজার নেতৃস্থানীয় নারী অংশগ্রহণ করেন।

চতুর্থবার নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর প্রথম মেয়াদে ১৯৯৮ সালে ইউনেস্কো থেকে ‘হুপে-বোয়ানি’ শান্তি পুরস্কার লাভের মাধ্যমে জাতিসংঘের সম্মাননা অর্জনের পর প্রথম আন্তর্জাতিক মহলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের পার্বত্য এলাকায় ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর বিদ্রোহীদের সঙ্গে শান্তি আলোচনার মাধ্যমে প্রায় দুই দশকের বেশি পুরানো সংঘাত অবসানের একবছর পরে তিনি এই সম্মাননা অর্জন করেন।

১৯৯৯ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর অ্যাওয়ার্ড হস্তান্তরকালে ইউনেস্কো মহাপরিচালক ফেদেরিকো মেয়র প্রধানমন্ত্রীকে বলেন, জাতি গঠনে অবিচল ভূমিকা পালনকারী আপনার পিতার পদাঙ্ক অনুসরণ করেই আপনি দেশকে শান্তি ও ক্ষমার পথে নিয়ে গেছেন। আপনার দেশের সীমান্তে শান্তি প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টায় আপনার নিষ্ঠা বৈশ্বিক শান্তির সংস্কৃতির সঙ্গে সংগতি স্থাপন করেছে।
খবর বাসস

এবিএন/সাদিক/জসিম

এই বিভাগের আরো সংবাদ