আজকের শিরোনাম :

‘আন্দোলন যখন ব্যর্থ হয় নির্বাচনে তখন পরাজিত হতে হয়’

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১০ জানুয়ারি ২০১৯, ১৭:৪৩ | আপডেট : ১০ জানুয়ারি ২০১৯, ২০:৩৪

একাদশ জাতীয় নির্বাচনে বিএনপির ভরাডুবির কারণ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, বিএনপিকে ভেবে দেখতে হবে তারা কেন ভোট পেল না।

আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে আওয়ামী লীগ আয়োজিত জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের আলোচনায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ২০১৩ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত তারা  ৫শ’র মতো সাধারণ মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করেছে নয়তো চিরতরে পঙ্গু করে দিয়েছে। এরপরও তারা কিভাবে আশা করে জনগণ তাদের ভোট দেবে। 

এসময় তিনি বলেন, বিএনপির ব্যর্থতার কারণ কী এটা তাদের ভেবে দেখতে হবে। তারা যে অপকর্মগুলো করেছে, অগ্নি সন্ত্রাস চালিয়েছে সেটা এদেশের মানুষ ভুলে যায়নি। ২০১৩ থেকে ১৫ সাল পর্যন্ত প্রায় পাঁচশোর মত মানুষ পড়ে আহত-নিহত হয়েছে। তাদের এ অপকর্মের পর তারা কিভাবে আশা করতে পারে মানুষ তাদের ভোট দেবে।

বিএনপির রুদ্ররোষ থেকে গাছপালা এমনকি রাস্তাঘাটও রক্ষা পায়নি বলে মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি।

একাদশ নির্বাচনে বিএনপির মনোনয়ন বাণিজ্যের সমালোচনা করেন তিনি। পাশাপাশি, তারেক রহমানকে দলের ভারপ্রাপ্ত করায় দেশে যোগ্য নেতা না থাকার প্রশ্ন তোলেন শেখ হাসিনা।

একাদশ জাতীয় নির্বাচনে ভোট গ্রহণের হার নিয়ে যারা প্রশ্ন তুলছেন তাদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০১৮’র সঙ্গে ২০০৮ সালে নির্বাচন তুলনা করলে যারা সমালোচনা করছেন তারা দেখতে পাবেন ওই নির্বাচনে ৮৬ শতাংশেরও বেশি ভোট পড়েছিলো। কোথাও কোথাও তো ৯০ শতাংশর ভোট পড়েছিলো।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে দেয়া বক্তৃতায় সেই দিনটিকে স্মরণ করে বঙ্গবন্ধু কন্যা বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে পাকিস্তানি বাহিনী গ্রেপ্তার করে নিয়ে যাওয়ার পর তার সম্পর্কে কোনো খবরই জানতেন না পরিবারের সদস্যরা। স্বাধীনতাযুদ্ধের নয়টি মাস তারা চরম উদ্বেগের মধ্যে কাটান। বঙ্গবন্ধু বেঁচে আছেন, না মারা গেছেন সেই সম্পর্কে তার পরিবারের কোনো ধারণা ছিল না।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘এর মধ্যে যখন ৮ জানুয়ারি প্রথম টেলিফোন কলের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর খবর জানতে পারি। বিবিসিতে বঙ্গবন্ধুর বিষয়ে খবরও প্রচারিত হয়। তখন যে কি খুশী হয়েছিলাম তা ভাষায় বর্ণনা করতে পারবো না।’

১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করে সর্বস্তরের জনগণকে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার আহ্বান জানান বঙ্গবন্ধু। এরপর সামরিক শাসক জেনারেল ইয়াহিয়া খানের নির্দেশে তাকে গ্রেপ্তার করে পাকিস্তানের কারাগারে আটকে রাখা হয়।

১৬ ডিসেম্বর চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হলেও ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের মধ্যদিয়ে জাতি বিজয়ের পূর্ণ স্বাদ গ্রহণ করে।

এবিএন/মমিন/জসিম

এই বিভাগের আরো সংবাদ