আজকের শিরোনাম :

যুদ্ধাপরাধী ও স্বাধীনতাবিরোধী ক্ষমতায় আসলে দেশের উন্নয়ন বন্ধ হয়ে যাবে: প্রধানমন্ত্রী

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৩ ডিসেম্বর ২০১৮, ১৮:৪৮

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যুদ্ধাপরাধী ও স্বাধীনতাবিরোধী ক্ষমতায় আসলে দেশের উন্নয়ন বন্ধ হয়ে যাবে। আজ বৃহস্পতিবার (১৩ ডিসেম্বর) টুঙ্গিপাড়া থেকে ঢাকায় ফেরার পথে ধামরাইয়ের এক পথসভায় তিনি এসব কথা বলেন। পুরো যাত্রায় এটি ছিল তার ৬ষ্ঠতম সমাবেশ।

বিজয়ের মাসে সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যাওয়ার জন্য নৌকা প্রতীককে জয়ী করার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘আমরা সমুদ্র বিজয় করেছি। শান্তিপূর্ণভাবে সিটমহল সমস্যার সমাধানের মাধ্যমে সীমান্ত সমস্যার সমাধান করেছি। আমরা শান্তি প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি দুর্নীতি দূর করেছি। দেশকে নিম্নমধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করেছি। অর্থনীতিসহ দেশের সব খাতকে এগিয়ে নিচ্ছি। নৌকা বিজয়ী হলে এইসব উন্নয়ন কর্মকাণ্ড অব্যাহত থাকবে। দেশ সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে যাবে।’

পথসভায় ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনকে জাতির অস্তিত্বের প্রশ্ন উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘৩০ ডিসেম্বর একাদশ সংসদ নির্বাচন। বাংলাদেশ ও বাঙালি জাতির অস্তিত্বের প্রশ্নে এই নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দেশকে সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে নিতে চাইলে ও উন্নয়ন কর্মকাণ্ড অব্যাহত রাখতে আপনারা নৌকায় ভোট দেবেন।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘যুদ্ধাপরাধী ও স্বাধীনতাবিরোধী, বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারী, দুর্নীতিবাজ, টাকা পাচারকারী এবং এতিমদের অর্থ লুটকারীরা ক্ষমতায় আসলে দেশের উন্নয়ন বন্ধ হয়ে যাবে। দেশ আবার অন্ধকার যুগে ফিরে যাবে। তাই দেশের মানুষকে নৌকাকে বিজয়ী করে সরকারের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে হবে।’

সমাবেশে তিনি সরকারের গৃহীত সবগুলো উন্নয়ন পদক্ষেপ তুলে ধরেন। উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি প্রতিটি খাতের অর্জনও মানুষের সামনে তুলে ধরেন তিনি।

বিপরীতে জামায়াত-বিএনপির জঙ্গিবাদ, দুর্নীতি ও স্বাধীনতাবিরোধীদের পুনর্বাসন ও পৃষ্ঠপোষকতাসহ নানা অপকর্ম তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।

এরআগে প্রধানমন্ত্রী বুধবার (১২ ডিসেম্বর) গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মাজার জিয়ারত করেন। পরে বিকালে কোটালীপাড়ার জনসভায় ভাষণ দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনি প্রচারণা শুরু করেন। তার সঙ্গে ছোট বোন শেখ রেহানাও ছিলেন। বৃহস্পতিবার সকালে টুঙ্গিপাড়া থেকে ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা শুরুর আগে বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে দোয়া করেন তিনি। এসময় বাবা-মা-ভাইসহ ১৫ আগস্টে নিহত স্বজনদের জন্য কান্নায় চোখ ভারী হয়ে আসে তার। তিনি ঢাকার উদ্দেশে রওনা হওয়ার আগে স্থানীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গেও মতবিনিময় করেন।

ফেরার পথে সাতটি স্থানে পথসভা করার কথা ছিল তার। পথসভার স্থানগুলো হলো- ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গার মোড় ও ফরিদপুরের মোড়, রাজবাড়ী জেলার রাজবাড়ী রাস্তার মোড়, মানিকগঞ্জের পাটুরিয়ার আরোয়া ইউনিয়ন, মানিকগঞ্জ পৌরসভা ও ধামরাইয়ের রাবেয়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল প্রাঙ্গণ এবং সাভারের জালেশ্বর মৌজার ৫ নম্বর ওয়ার্ড।

উল্লেখ্য, গোপালগঞ্জ-৩ (কোটালীপাড়া-টুঙ্গিপাড়া) আসন থেকে ছয় বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। এবারও তিনি এ আসন থেকে নৌকার প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। আসনটিতে ধানের শীষের প্রার্থীসহ আরও চার জন প্রতিদ্বন্দ্বী রয়েছেন। তারা হলেন— বিএনপির এস এম আফজাল হোসেন, ইসলামী আন্দোলনের মো. মারুফ শেখ এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. উজির ফকির ও মো. এনামুল হক।

একাদশ সংসদ নির্বাচনে গোপালগঞ্জ-৩ আসন ছাড়াও রংপুর-৬ (পীরগঞ্জ) আসন থেকেও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার কথা ছিল শেখ হাসিনার। তার পক্ষে মনোনয়নপত্রও দাখিল করেছিলেন দলের নেতারা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আসনটি তিনি স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীকে ছেড়ে দেন।

এবিএন/মমিন/জসিম

এই বিভাগের আরো সংবাদ