‘একক দেশের পক্ষে নিরাপদ সমুদ্র গড়ে তোলা সম্ভব নয়’

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৪ অক্টোবর ২০১৮, ১২:২২ | আপডেট : ২৪ অক্টোবর ২০১৮, ১২:৫৩

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সমুদ্রে অপরাধমূলক কাজে দেশীয়দের পাশাপাশি প্রতিবেশী দেশগুলোর অপরাধীরাও জড়িত। কোনো একক দেশের পক্ষে নিরাপদ সমুদ্র গড়ে তোলা সম্ভব নয়।

আজ বুধবার (২৪ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর হোটেল রেডিসনে ১৪তম হেড অব এশিয়ান কোস্ট গার্ড এজেন্সির ৫ দিনের উচ্চ পর্যায়ের সভার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এশীয় অঞ্চলে সম্মিলিতভাবে সমুদ্র নিরাপদ রাখতে তৎপর হতে হবে বাংলাদেশের কোস্টগার্ডকে।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘সমুদ্র পথে আন্তর্জাতিক যোগাযোগ ও ব্যবসা বাণিজ্য ক্ষেত্রে দেশি ও বিদেশি জাহাজের নিরাপদ চলাচল অপরিহার্য। কারণ বাংলাদেশের মোট বৈদেশিক বাণিজ্যে ৯০ ভাগ সমুদ্র পথে সম্পাদিত হয়।’ কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, আমাদের সামুদ্রিক এলাকায় মাদকদ্রব্য পাচার, মানবপাচার, জলদস্যুতা, ডাকাতিসহ বিভিন্ন ধরনের অবৈধ কার্যকলাপ সংগঠিত হয়। এসব অপরাধে শুধু দেশীয় নয়, পাশ্ববর্তী দেশের অপরাধীরাও জড়িত থাকে।

তিনি আরো বলেন, ‘দুঃখজনক হলেও সত্য আমাদের এই সামুদ্রিক এলাকায় মাদকদ্রব্য পাচার, অবৈধ অস্ত্র পাচার ও মানবপাচার অনিয়ন্ত্রিত মৎস্য আহরণ, ডাকাতি এবং বিভিন্ন ধরনের অবৈধ কার্যকলাপ প্রায়শ সংগঠিত হয়ে থাকে। আর এসব অপরাধমূলক কাজের সঙ্গে শুধু দেশীয় নয়, পার্শ্ববর্তী দেশও জড়িত। কাজেই এক দেশ হিসেবে কারও পক্ষে এটা দমন করা সম্ভব নয়।’ 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিগত এক দশকে আর্থসামাজিক উন্নয়নে বাংলাদেশ অনেক দূর এগিয়েছে। এই এক দশকে আমাদের গড় প্রবৃদ্ধির হার ৬ দশমিক ৫ শতাংশ অর্জন করেছি। গত ২০১৭-১৮ অর্থবছরে আমরা ৭ দশমিক ৮৬ ভাগ প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে সক্ষম হয়েছি। আমরা স্বল্পোন্নত দেশ ছিলাম, এখন উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে গ্রাজুয়েশন পেয়েছি। বাংলাদেশকে আরও উন্নত করবার জন্য বিভিন্ন কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি। 

তিনি বলেন, অপরাধীরা অনেক সময় আধুনিক প্রযুক্তি ও যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে থাকে। সে কারণে একক দেশ হিসেবে কারও পক্ষেই এটা দমন করা সম্ভব না। যদি সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টা হয় তাহলে এটা দমন করা সম্ভব। এটা অবশ্যই অপরিহার্য। 

এবিএন/মাইকেল/জসিম/এমসি

এই বিভাগের আরো সংবাদ