আজকের শিরোনাম :

যুক্তফ্রন্টের নামে দুর্নীতিবাজরা এক হয়েছে : প্রধানমন্ত্রী

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১২:০১ | আপডেট : ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১২:৪১

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যুক্তফ্রন্টের নামে দুর্নীতিবাজরা এক হয়েছে। তবে জনগণ তাদের ভোট দেবে না। নৌকা মার্কাই জয়ী হবে।

যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক সময় রবিবার সন্ধ্যায় প্রবাসী বাংলাদেশিদের আয়োজিত নাগরিক সংবর্ধনায় তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, সুদখোর-ঘুষখোর, খুনি, দুর্নীতিবাজরা একত্র হয়ে সরকারবিরোধী জোট গড়েছে। যারা মানুষ হত্যাকারীদের সঙ্গে জোট করতে পারে, তাদের মুখে দেশের স্বার্থের কথা মানায় না। দেশের উন্নয়ন চাইলে আগামীতেও নৌকাকে বিজয়ী করতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ সততায় বিশ্বাস করে। মানুষের মঙ্গলের জন্য কাজ করে। আর মানুষ শান্তিতে থাকলে বিএনপি অশান্তিতে থাকে।

শেখ হাসিনা বলেন, নিজেদের অপকর্মের ফল পাচ্ছে বিএনপি। খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মামলা তো আমরা দেইনি। আদালতে নিজেদের নিরাপরাধ প্রমাণ করাও তাদেরই দায়িত্ব।

বদরুদ্দোজা-ড. কামালদের সমাবেশে মইনুল হোসেনের উপস্থিতির প্রসঙ্গ টেনে শেখ হাসিনা বলেন, ‘তার সঙ্গে গেছেন মইনুল হোসেন। সে আবার কাকরাইলের বাড়ির জমি দখল করে; সে জায়গা নিয়ে মামলা আছে। সাজু হোসেন ভার্সেস রাষ্ট্র। সে মামলায় সে সাজাপ্রাপ্ত।’

আর ‘ভুয়া’ আমমোক্তারনামা তৈরি করে এক মৃত ব্যক্তির সম্পত্তি বিএনপি নেতা মওদুদ আহমদের ভাইয়ের নামে দখল নেওয়ার ঘটনা মনে করিয়ে দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘তারা সবগুলো এখন এক জায়গায় হয়েছে!’

গ্রামীণ ব্যাংকের সাবেক এমডি মুহাম্মদ ইউনূসেরও সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘নোবেল প্রাইজ পাওয়ার পরও তিনি গ্রামীণ ব্যাংকের এমডি পদ ছাড়েন না। কারণ, এমডির পদ ছাড়লে তো গ্রামীণ ব্যাংকের টাকা মারা যাবে না।’

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, সাংবাদিকদের শৃঙ্খলার স্বার্থে এবং জনগণের নিরাপত্তা দিতেই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন করা হয়েছে। এতে কারোর উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই। সাংবাদিকরা নিজেদের স্বার্থেই এ নিয়ে সমালোচনা করছে।

তিনি বলেন, সরকারবিরোধী ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবেই আলোকচিত্রী শহিদুল আলম শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে উসকানি দিয়েছিলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের বর্তমান প্রবৃদ্ধির হার ৭.৮৬ শতাংশে উন্নীত করেছে সরকার। একইসাথে, মূল্যস্ফীতি কমিয়ে এনেছে ৫.৪ শতাংশে। সুতরাং, দেশের উন্নয়নের স্বার্থেই নির্বাচনে নৌকাকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করা উচিত।

শিগগিরই ঢাকা-নিউইয়র্ক সরাসরি ফ্লাইট চালুর আশ্বাস দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এদের সঙ্গে যা কথা হচ্ছে, ডাইরেক্ট ঢাকা থেকে নিউইয়র্ক আসতে পারব।’

এর আগে জাতিসংঘ ৭৩তম সাধারণ অধিবেশনে যোগ দিতে লন্ডন থেকে নিউইয়র্ক পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রবিবার স্থানীয় সময় দুপুর আড়াইটার দিকে ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে নিউইয়র্কের লিবার্টি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন তিনি।

বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মাদ জিয়াউদ্দিন এবং জাতিসংঘে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ও স্থায়ী প্রতিনিধি মাসুদ বিন মোমেন।

বিমানবন্দর থেকে প্রধানমন্ত্রী যান নিউইয়র্কের গ্র্যান্ড হায়াত হোটেলে। সফরকালে সেখানেই অবস্থান করবেন তিনি।

রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়া এবং রোহিঙ্গা সংকটের স্থায়ী সমাধানে শান্তিপূর্ণ কূটনীতিক প্রচেষ্টার জন্য ইন্টার প্রেস সার্ভিস এবং গ্লোবাল হোপের কাছ থেকে দুটি পুরস্কার গ্রহণ করবেন প্রধানমন্ত্রী। ২৭ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় সাধারণ পরিষদের ৭৩তম অধিবেশনে ভাষণ দেবেন শেখ হাসিনা।

এবিএন/সাদিক/জসিম

এই বিভাগের আরো সংবাদ