‘দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় বিশ্বে বাংলাদেশ এখন রোল মডেল’
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ১৫ মে ২০১৮, ১৫:৩৮ | আপডেট : ১৫ মে ২০১৮, ১৫:৪০
ঢাকা, ১৫ মে, এবিনিউজ : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশ এখন যে কোনো ধরনের দুর্যোগ মোকাবিলার সক্ষমতা অর্জন করেছে এবং এ জন্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় বিশ্বে বাংলাদেশ এখন রোল মডেল হিসেবে পরিচিত।
আজ মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে প্রতিবন্ধিতা ও দুর্যোগ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা শীর্ষক দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক সম্মেলনের সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের উন্নয়ন কর্মকান্ড ও দুর্যোগ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনায় অন্তর্ভুক্ত করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ এটা করেছে এবং আমরা আশা করি অন্যান্য দেশও আমাদের অনুসরণ করবে।
শেখ হাসিনা বলেন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় প্রতিবন্ধীদের অন্তর্ভুক্তকরণে এ সম্মেলন ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সাম্প্রতিক পদক্ষেপ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেন, বৈশ্বিক, আঞ্চলিক, জাতীয় এবং স্থানীয় পর্যায়ে এই লক্ষ্য বাস্তবায়নে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রতিবছর বাংলাদেশ নানা ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলা করছে এবং এতে হাজার হাজার মানুষের প্রাণহানি এবং সম্পদ ও মানুষের জীবনযাত্রা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। কিন্তু এখন বাংলাদেশ যে কোন ধরনের দুর্যোগ মোকাবেলার সক্ষমতা অর্জন করেছে। তিনি বলেন, দুর্যোগ এলে কী কী করতে হবে সেজন্য ভলান্টিয়ারদের ট্রেনিং দেয়া হয়েছে। এ ধরনের প্রশিক্ষণ দুর্যোগ মোকাবেলায় বিশেষ ভুমিকা রাখবে। শেখ হাসিনা বলেন, সমুদ্র জয়ের পর এবার আমরা মহাকাশ জয় করেছি। বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটালাইট থেকে আমরা দুর্যোগের আগাম খবর পাব। এতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কমবে। লোকজনকে সতর্ককরা সম্ভব হবে। এতে ক্ষয়ক্ষতি কম হবে মানুষ উপকৃত হবে। আগাম খবর পাওয়ার কারণে অনেক সম্পদ রক্ষা করাও সম্ভব হবে। তিনি বলেন, ’৯১ সালে দেশে ঘূর্ণিঝড় হয়েছিল। সতর্কতা অবলম্বন না করার কারণে হাজার হাজার মানুষ মৃত্যুবরণ করেছে। সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল ব্যাপক। আর ’৯৮ সালে ভয়াবহ বন্যা হয়েছিল। সে বন্যায় দেশের ৭৫ ভাগ এলাকা পানিতে ডুবে গিয়েছিল। তখন বিদেশি অনেক সংস্থা বলেছিল দুই কোটি লোক মারা যাবে। কিন্তু আমাদের সরকারের সাহসী পদক্ষেপের কারণে দুই হাজার লোকও মারা যায়নি। সফলতার সঙ্গে আমরা সে বন্যা মোকাবেলা করেছি। পারস্পরিক অর্জন ও অভিজ্ঞতা বিনিময়ের মাধ্যমে সেন্দাই ফ্রেমওয়ার্ক, আঞ্চলিক পরিকল্পনা এবং ‘ঢাকা ঘোষণা ২০১৫’-এর কর্মপন্থা অন্তর্ভুক্ত করে ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা তৈরি করা হচ্ছে এ সম্মেলনের মূল উদ্দেশ্য। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব শাহ কামাল স্বাগতিক বক্তৃতা করেন। রয়্যাল থাই সংসদের সদস্য এবং ইউএনর ইন্টারন্যাশনাল কমিটি অন রাইটস অব দ্য পারসন্স উইথ ডিজ্যাবিলিটিজর সদস্য মনথিয়ান বুন্তান সম্মেলনে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন। ইন্টারন্যাশনাল ফোকাল পয়েন্ট, অ্যাডভাইজরী গ্রুপ অন ডিআইডিআরএম, বাংলাদেশ এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিইএইচও) অটিজম বিষয়ক অ্যাম্বাসেডর সায়মা ওয়াজেদ হোসেন, প্রায় ৩৩টি দেশের ১শ’ জনের বেশি সদস্য, আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থার প্রতিনিধিবৃন্দ এবং উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তারা সম্মেলনে যোগ দেন। এবিএন/সাদিক/জসিম
শেখ হাসিনা বলেন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় প্রতিবন্ধীদের অন্তর্ভুক্তকরণে এ সম্মেলন ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সাম্প্রতিক পদক্ষেপ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেন, বৈশ্বিক, আঞ্চলিক, জাতীয় এবং স্থানীয় পর্যায়ে এই লক্ষ্য বাস্তবায়নে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রতিবছর বাংলাদেশ নানা ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলা করছে এবং এতে হাজার হাজার মানুষের প্রাণহানি এবং সম্পদ ও মানুষের জীবনযাত্রা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। কিন্তু এখন বাংলাদেশ যে কোন ধরনের দুর্যোগ মোকাবেলার সক্ষমতা অর্জন করেছে। তিনি বলেন, দুর্যোগ এলে কী কী করতে হবে সেজন্য ভলান্টিয়ারদের ট্রেনিং দেয়া হয়েছে। এ ধরনের প্রশিক্ষণ দুর্যোগ মোকাবেলায় বিশেষ ভুমিকা রাখবে। শেখ হাসিনা বলেন, সমুদ্র জয়ের পর এবার আমরা মহাকাশ জয় করেছি। বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটালাইট থেকে আমরা দুর্যোগের আগাম খবর পাব। এতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কমবে। লোকজনকে সতর্ককরা সম্ভব হবে। এতে ক্ষয়ক্ষতি কম হবে মানুষ উপকৃত হবে। আগাম খবর পাওয়ার কারণে অনেক সম্পদ রক্ষা করাও সম্ভব হবে। তিনি বলেন, ’৯১ সালে দেশে ঘূর্ণিঝড় হয়েছিল। সতর্কতা অবলম্বন না করার কারণে হাজার হাজার মানুষ মৃত্যুবরণ করেছে। সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল ব্যাপক। আর ’৯৮ সালে ভয়াবহ বন্যা হয়েছিল। সে বন্যায় দেশের ৭৫ ভাগ এলাকা পানিতে ডুবে গিয়েছিল। তখন বিদেশি অনেক সংস্থা বলেছিল দুই কোটি লোক মারা যাবে। কিন্তু আমাদের সরকারের সাহসী পদক্ষেপের কারণে দুই হাজার লোকও মারা যায়নি। সফলতার সঙ্গে আমরা সে বন্যা মোকাবেলা করেছি। পারস্পরিক অর্জন ও অভিজ্ঞতা বিনিময়ের মাধ্যমে সেন্দাই ফ্রেমওয়ার্ক, আঞ্চলিক পরিকল্পনা এবং ‘ঢাকা ঘোষণা ২০১৫’-এর কর্মপন্থা অন্তর্ভুক্ত করে ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা তৈরি করা হচ্ছে এ সম্মেলনের মূল উদ্দেশ্য। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব শাহ কামাল স্বাগতিক বক্তৃতা করেন। রয়্যাল থাই সংসদের সদস্য এবং ইউএনর ইন্টারন্যাশনাল কমিটি অন রাইটস অব দ্য পারসন্স উইথ ডিজ্যাবিলিটিজর সদস্য মনথিয়ান বুন্তান সম্মেলনে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন। ইন্টারন্যাশনাল ফোকাল পয়েন্ট, অ্যাডভাইজরী গ্রুপ অন ডিআইডিআরএম, বাংলাদেশ এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিইএইচও) অটিজম বিষয়ক অ্যাম্বাসেডর সায়মা ওয়াজেদ হোসেন, প্রায় ৩৩টি দেশের ১শ’ জনের বেশি সদস্য, আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থার প্রতিনিধিবৃন্দ এবং উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তারা সম্মেলনে যোগ দেন। এবিএন/সাদিক/জসিম
এই বিভাগের আরো সংবাদ