২০২১ সালের মধ্যেই বাংলাদেশ ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত হবে: প্রধানমন্ত্রী

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৬ ডিসেম্বর ২০২০, ১৭:৪৭ | আপডেট : ১৬ ডিসেম্বর ২০২০, ১৮:৫৮

ছবি-ফোকাস বাংলা
আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পরই জনগণ উপলব্ধি করেছে সরকার জনগণের সেবক হতে পারে, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর আগেই ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তোলা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বুধবার বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগ আয়োজিত বিজয় দিবসের আলোচনা অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বাংলাদেশের মাটিতে সব ধর্মের মানুষ এক হয়ে মুক্তিযুদ্ধে রক্ত দিয়েছে, তাই অসাম্প্রদায়িক চেতনার দেশ হিসেবে বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, বাংলাদেশকে আমরা উন্নতির পথে এগিয়ে নিতে পারছি। জাতির পিতার দেখানো পথে ও আদর্শ নিয়ে রাষ্ট্র পরিচালনা করছি। তিনি বলেছিলেন আমাদের অর্থনৈতিকভাবে সাবলম্বী হতে হবে। কারণ ভিক্ষুক জাতির ইজ্জত থাকে না। সেই ভিক্ষুক জাতি হিসেবে আমরা থাকতে চাইনি। আজকে আমাদের রিজার্ভ ৪২ দশমিক ০৯ মিলিয়ন ইউএস ডলার। মাথাপিছু আয় ২ হাজার ৬৪ মার্কিন ডলার। জাতির পিতার পদাঙ্ক অনুসরণ করে দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছে, উদ্ধৃত্তও রয়েছে।  

দেশের ৯৯ ভাগ মানুষ বিদ্যুৎ পাচ্ছে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসলেই জনগণ উপলদ্ধি করে এবার সরকার সেবক হতে পারে, দেশের মঙ্গল হতে পারে। স্বাধীনতার সূর্বণজয়ন্তীর আগে ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্রমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তোলা হবে। সব গৃহহীন মানুষকে গৃহ দেব। প্রতিটি ঘরে আলো জ্বালবো, আজকে বলতে পারি ৯৯ ভাগ মানুষ বিদ্যুৎ পাচ্ছে। জাতির পিতার জন্মশত বর্ষে শতভাগ বিদ্যুৎ দেব। করোনা মহামারিতে আওয়ামী লীগ জনগণের পাশে থেকেছে। নেতাকর্মীরা করোনার ঝুঁকি নিয়ে মানুষের পাশে দাড়িয়েছে। অনেকেই করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। আওয়ামী লীগের কাজ মানুষের সেবা করা আমরা করে যাব।

করোনার মধ্যেও দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি অব্যাহত রাখতে সক্ষম হয়েছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।  

আওয়ামী লীগের সংগঠনগুলো এগিয়ে নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের সংগঠনকে শক্তিশালী করতে হবে। যে নামটি ৭৫ এর পর মুছে ফেলার চেষ্টা হয়েছিল, আজকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে জাতিসংঘ ঘোষণা করেছে পুরস্কার দেবে। যারা অর্থনীতিতে অবদান রাখবে তাদের এ পুরস্কার দেওয়া হবে। মুজিব বর্ষে বাঙালি জাতির জন্য এটা এক বড় উপহার। করোনাভাইরাসে সবাই সুস্থ থাকার চেষ্টা করবেন, মাস্কটা পড়ে যাবেন। এর মধ্যেই সংগঠনের কাজও করে যাব। জনগণের পাশে দাঁড়াবেন। কোনভাবেই যেন মানুষ কষ্ট না পায়।

যেকোন পরিস্থিতি সহানশীলতার সাথে মোকাবিলা করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, সবাইকে যেকোন পরিস্থিতি সহনশীলতার সাথে মোকাবিলা করতে হবে। কে কি বলল না বলল সেগুলো শোনার থেকে দেশের জন্য কতটুকু করতে পারলাম সে চিন্তা করতে হবে। তাহলে আমরা সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারব, সঠিক কাজটি করতে পারব। যদিও আমরা সেভাবেই কাজ করে যাচ্ছি।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ঠিক বিজয়ের প্রাক্কালে আমাদের বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করা হয়েছিল। ঠিক যখন যুদ্ধটা শুরু তারপর থেকে এই বুদ্ধিজীবী হত্যা শুরু করে। আমরা ১৪ তারিখ শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করি। আমি আমার বাবা-মা, ভাই হারিয়েছি, আমি জানি হারাবার বেদনা কত কঠিন। অনেকে তো লাশও পাননি। আবার ৭৫ এর পর জাতির পিতাকে শুধু হত্যা করেনি আমাদের আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগের বহু নেতাকর্মীকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে। অনেকের লাশও পাওয়া যায়নি। 

এবিএন/মমিন/জসিম

এই বিভাগের আরো সংবাদ