আজকের শিরোনাম :

গণপরিবহনে স্বাস্থ‌্যবিধির শর্তগুলো না মানলে ব্যবস্থা : কাদের

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ৩০ মে ২০২০, ১৭:৫৬

করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের মধ‌্যেই চালু হওয়া যেসব গণপরিবহন স্বাস্থ‌্যবিধির শর্তগুলো মানবে না তাদের বিরুদ্ধে ব‌্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

আজ এটা নিশ্চিত করতে টার্মিনালভিত্তিক মনিটরিং টিম এবং মোবাইল টিম কাজ করবে বলেও জানান তিনি।

শনিবার (৩০ মে) দুপুরে সংসদ ভবন এলাকার নিজ সরকারি বাসভবন থেকে এক ভিডিও বার্তায় তিনি এসব কথা বলেন।

এসময় ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘রোববার (৩১ মে) থেকে সরকারি-বেসরকারি অফিস খুলছে। সরকারি ছুটির সঙ্গে মিল রেখে বন্ধ থাকা গণপরিবহন খুলতে যাচ্ছে। সোমবার (১ জুন) থেকে সড়কে গণপরিবহন চলা শুরু হচ্ছে। পরিবহন মালিক ও শ্রমিক সংগঠন এবং সংশ্লিষ্ট স্টেক হোল্ডারদের সঙ্গে আমরা কথা বলেছি। গণপরিবহনে স্বাস্থ‌্যবিধি কঠোরভাবে প্রতিপালনে সবাই সম্মতি দিয়েছে। আমরা সবাই মিলে ভালো থাকতে চাই। সামান‌্য উপেক্ষা ভয়াবহ বিপদ ডেকে আনতে পারে। তাই যেসব শর্ত বিআরটিএ তথা মন্ত্রণালয় থেকে দেওয়া হয়েছে, সেসব শর্ত যথাযথভাবে মানতে আমি নিজেদের স্বার্থেই যাত্রী সাধারণ, মালিক ও শ্রমিক সংগঠনকে অনুরোধ জানাচ্ছি। এসব শর্ত প্রতিপালনের মাধ‌্যমে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে যানবাহন ও যাত্রীদের সুরক্ষা দিতে হবে। যেসব পরিবহন সরকারি নির্দেশনা প্রতিপালনে ব্যর্থ হবে, তাদের বিরুদ্ধে ব‌্যবস্থা নেওয়া হবে।’

সংক্রমণের বিস্তারে বাংলাদেশের অবস্থা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ২১৫টি দেশ ও অঞ্চলের মধ‌্যে বাংলাদেশের অবস্থান এখন ২২তম। সামনে কঠিন সময় আসছে বলে অনেকে আশঙ্কা প্রকাশ করছেন। এ কঠিন পরিস্থিতিতে বিশ্বের অনেক দেশ আমাদের চেয়ে খারাপ অবস্থা সত্ত্বেও লকডাউন শিথিল করেছে। কেউ কেউ তুলে নিয়েছে। জীবন রক্ষার পাশাপাশি এ সময়ে দেশের অর্থনীতিও বাঁচাতে হবে।’

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বাসগুলোতে ৫০ ভাগ যাত্রী পরিবহন করা যাবে। অর্থাৎ অর্ধেক সিট খালি রাখতে হবে। যাত্রী ওঠানামার সময় শারীরিক দূরত্ব মেনে চলতেই হবে। যাত্রী পরিবহন, শ্রমিক, চালক, চালকের সহকারী, কাউন্টার কর্মী সবার মাস্ক পরা বাধ‌্যতামূলক। হ‌্যান্ড স‌্যানিটাইজার ব‌্যবহারসহ টার্মিনাল এবং স্টেশনে সাবান ও পানির ব‌্যবস্থা রাখতে হবে হাত ধোয়ার জন‌্য। ট্রিপ শুরু হওয়ার আগে ও পরে জীবাণুনাশক স্প্রে করতে হবে। অনুমোদিত নির্দিষ্ট স্টেশন ছাড়া যেখানে সেখানে থামানো যাবে না। যত্রতত্র যাত্রী ওঠানামা করা যাবে না।’

মালিক ও শ্রমিক সংগঠনের সব স্টেক হোল্ডারদের নিয়ে টার্মিনালভিত্তিক মনিটরিং টিম গঠন ও কাউন্সেলিংয়ের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এর পাশপাশি সরকারি নজরদারিসহ বিআরটিএর মোবাইল টিম কার্যকর থাকবে। আমরা চাই না পরিবহন কিংবা টার্মিনাল করোনা ভাইরাস সংক্রমণের কেন্দ্রে পরিণত হোক। আমি টার্মিনালগুলোর কর্তৃপক্ষকে পুরো এলাকাজুড়ে পরিচ্ছন্নতা অভিযান তথা জীবাণুমুক্ত রাখার আহ্বান জানাচ্ছি।’

এসময় বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের ঢালাও সমালোচনা না করে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

এবিএন/জনি/জসিম/জেডি

এই বিভাগের আরো সংবাদ