ঝুঁকি নিয়ে শ্রমিকদের কাজে বাধ্য করা হয়েছে : ফখরুল
প্রকাশ: ০৫ মে ২০২০, ১৭:৪২
শ্রমিকদের অধিকাংশ এখনও বেতন পায়নি দাবি করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, অথচ ঝুঁকি নিয়ে তাদের কাজে যোগ দিতে বাধ্য করা হয়েছে।
মঙ্গলবার গুলশানে বিএনপি চেয়ারপার্সনের রাজনীতিক কাযালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।
ফখরুল বলেন, আরো কিছুদিন সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা যেতো। শ্রমিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে তবে কারখানা খোলা যেতো। সেটা করা হয়নি। কোনো রকম দূরদর্শিতার প্রমাণ সরকার দিতে পারেনি। শুধু এক্ষেত্রে নয়। প্রতিটি ক্ষেত্রে অদূরদর্শিতা, সমন্বয়হীনতা, উদাসীনতা প্রকাশ পেয়েছে।
করোনার সংক্রমণ এখন উর্ধ্বমুখী, তাই এই মুহূর্তে লকডাউন তুলে দেওয়া বিপজ্জনক বলে মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, করোনা মোকাবেলায় সরকার ব্যর্থ হয়েছে। দাম্ভিকতা ছাড়া তাদের আর কিছুই তাদের নেই। জবাবদিহিতা না থাকার কারণে সরকার শাট ডাউন তুলে নিয়ে দেশকে ভয়ঙ্কর দিকে নিয়ে যাচ্ছে।
বিশেষজ্ঞ দলের পরামর্শের উদ্বৃতি দিয়ে বিএনপির এই নেতা বলেন, এই মুহূর্তে কলকারাখান খুলে দেওয়া কিংবা লকডাউন তুলে নেওয়া, গণপরিবহন চালু করা খুবই বিপদজ্জনক।
মির্জা ফখরুল বলেন, পারস্পরিক দূরত্ব বজায় রেখে ১০ মে থেকে শপিংমল খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এটা আমাদের কাছে বোধগম্য নয়। শপিংমল খোলা হবে। আর সেখানে পারস্পরিক দূরত্ব বজায় রাখা হবে, এটা অকল্পনীয়। প্রথম দিকে আর্মি ছিলো বলে দূরত্ব কিছুটা নিশ্চিত করা গেছে। এখন তা কীভাবে সম্ভব?
এ সময় মির্জা ফখরুল সরকারের করোনানীতির তীব্র সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, বিরোধী দল-মতের প্রতি চরম অবজ্ঞার কারণে সরকার সর্বদলীয় উদ্যোগ নেয়নি। বিশেষজ্ঞদের ডেকে পরামর্শ নিতে পারতো। নেয়নি। চিকিৎসা ক্ষেত্রে টেকনিক্যাল এক্সপার্টদের সম্পৃক্ত না করে দলীয়করণ করা হচ্ছে।
এবিএন/মমিন/জসিম