বিএনপি আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে নৈরাজ্য সৃষ্টির চেষ্টা করছে : কাদের

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে নৈরাজ্য সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে। নৈরাজ্য এবং বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে তারা ঘোলাপানিতে মাছ শিকার করতে চায়। এসব করে নেতারা সফল হবে না। কারণ আওয়ামী লীগ আগের যে কোনো সময়ের চেয়ে অত্যন্ত শক্তিশালী সুসংগঠিত এবং সুশৃঙ্খল একটি দল। নৈরাজ্য সৃষ্টি করলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আওয়ামী লীগ তাদের দাঁতভাঙা জবাব দেবে।

আজ শুক্রবার সকালে দলের দফতর উপকমিটির এক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। আগামী ২০ ও ২১ ডিসেম্বর বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জাতীয় কাউন্সিল সফল করার লক্ষ্যে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

তিনি বলেন, বিএনপি বারবার আন্দোলনের ডাক দিয়েছে বিভিন্ন ইস্যুতে। কিন্তু জনগণ তাদের ডাকে সাড়া দেয়নি। তারা বিভিন্নভাবে বিভিন্ন মহলকে উসকানি দিচ্ছে- দ্রব্যমূল্য হঠাৎ করে ঊর্ধ্বগতিতে তাদের ইন্ধন রয়েছে এবং উসকানি রয়েছে। আমরা তাদের অনেককেই চিহ্নিত করেছি। অবশ্যই তাদের শাস্তি হবে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, তাদের ব্যর্থতার কোনো সীমা নেই। তারা রাজনৈতিকভাবেও ব্যর্থ। সাংগঠনিকভাবে তাদের নেতৃত্বের নির্দেশ আসে টেমস নদীর ওপার থেকে। তাদের নেতৃত্ব ঠিক নেই। নেতাদের কেউ বলেন রাজপথে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলবেন, আবার কাউকে পাওয়াই যায় না।

সেতুমন্ত্রী বলেন, খালেদা জিয়ার মুক্তিতে সরকারের কিছু করার নেই। এটা কোনো রাজনৈতিক মামলা নয়, এটা হলো দুর্নীতির মামলা। দুর্নীতির মামলায় সরকারের কোনো করণীয় নেই। কারণ রাজনৈতিক মামলা হলে সরকার রাজনৈতিকভাবে মুক্তির কথা বিবেচনা করতে পারত।

আদালতে বিএনপিপন্থি আইনজীবীদের আচরণের সমালোচনা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, আদালত প্রাঙ্গণে তারা রণাঙ্গন সৃষ্টি করেছে। আদালতের ভেতরে হট্টোগোল করেছেন। আমি মনে করি আদালতের ভেতরে তারা যে ঔদ্ধত্য দেখিয়েছেন, সেটি ক্ষমার অযোগ্য।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আগামী আওয়ামী লীগের কাউন্সিলে একটি পদে কোনো পরিবর্তন হবে না। আর সে পদটি হলো সভাপতির পদ। এ পদে শেখ হাসিনাই থাকবেন। অন্য যে কোনো পদে পরিবর্তন হতে পারে। সেটা নির্ভর করবে দলীয় সভাপতির ওপর।

তিনি বলেন, শেখ হাসিনা ছাড়া আমরা দলের জন্য অপরিহার্য নই।

সভায় অন্যদের মধ্যে আওয়ামী লীগ প্রেসিডিয়াম সদস্য ও দফতর কমিটির আহ্বায়ক পীযুষ কান্তি ভট্টাচার্য, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, ড. আবদুস সোবহান গোলাপ এমপি, ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আনোয়ার হোসেন উপস্থিত ছিলেন।

এবিএন/সাদিক/জসিম