দুর্নীতিবাজ খালেদা-তারেকের বাংলাদেশে রাজনীতি করার অধিকার নেই : পানি সম্পদ উপমন্ত্রী

বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক পানি সম্পদ উপমন্ত্রী একে এম এনামুল হক শামীম এমপি বলেছেন,বিএনপি এ দেশ টারে লুটেপুটে খেয়েছে।  খালেদা জিয়ার দল আন্দোলনে কোনো ইস্যু না পেয়ে  আবরার হত্যার ইস্যু কে কেন্দ্র করে পাহাড়ের গুহায় ঘুমিয়ে  থাকা একুট নাক ডাকার চেস্টা করেছিল কিন্তু প্রধান মন্ত্রীর কঠিন সিদ্ধান্তের কারনে তারা সেটিও ব্যর্থ হয়েছে। তাই দুর্নীতিবাজ খালেদা-তারেক জিয়ার আর বাংলাদেশ রাজনীতি করার অধিকার নেই।

দীর্ঘ ১৬ বছর পর আজ রবিবার দুপুরে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ সরকারি কারিগরি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে  উপজেলা আওয়ামীলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন আজ বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে। এদেশের কৃষক খুশী,শ্রমিক খুশী। বছরের প্রথমে ৩৮ কোটি বই পেয়ে ছাত্ররা খুশী, বই উৎসব করে। পদ্মা সেতু হচ্ছে। নোয়াখালীতে ফোর লেইন হচ্ছে। আর তাই সবাই খুশী। ত্যাগী, পরীক্ষিতদের দলে আনতে হবে । যারা সরকারি দল করে তাদের দরকার নেই। দলের দুঃসময়ে আন্দোলনে ও সংগ্রামে ছিল তাদেরকে নেতৃত্বে আনতে হবে।

তিনি আরো বলেন, পরবর্তীতে বেগমগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সম্মেলন তিন বছর পরই হবে।জাতীয় সম্মেলন তিন বছর পর হলে উপজেলা সম্মেলন কেন সতের বছর পরে হবে?

এসময় মন্ত্রী তার পানি সম্পদ মন্ত্রনালয়ের উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে বলেন, নোয়াখালীতে ৪১২ কোটি টাকার কাজ চলছে। তার মধ্যে দুটি প্রকল্প নোয়াখালীর জলাবদ্ধতা নিরসন ও জাহাজ্জাহার চর নদীর তীর সংরক্ষন প্রকল্প রয়েছে। তিনি আরো বলেন, প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার ও সড়ক পরিবহন সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের নির্দেশে নোয়াখালীতে আগামী অর্থ বছরে তিন হাজার পাঁচশত ৬০ কোটি টাকার নদী ভাঙ্গন রোধ,জলাবদ্ধতাসহ  প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে।

সম্মেলেন বেগমগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ডাঃ এবিএম জাফর উল্যাহর সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সাধারন সম্পাদক মামুনুর রশিদ কিরন এমপি। বিশেষ অতিথি হিসেব বক্তব্য রাখেন  আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এম এম কামাল ,নোয়াখালী জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এ এএইচ এম খায়রুল আনাম সেলিম চৌধুরী, সাধারন সম্পাদক একরামুল করিম চৌধুরীএমপি, মোরশেদ আলম এমপি, জেলা আওয়ামীলীগের সহসভাপতি এটিএম এনায়েত উল্যাহ,সহসভাপতি আতাউর রহমান ভুইয়া মানিক সহ কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ ও জেলা উপজেলা আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দ।

এদিকে দ্বিতীয় অধিবেশনে  ৫৯৬ জন কাউন্সিলরদের ভোটে আগামী তিন বছরের জন্য সভাপতিও সাধারন সম্পাদক নির্বাচিত হওয়ার কথা থাকলেও উপস্থিত কাউন্সিলরদের মতামতের ভিত্তিতে এক সপ্তাহ পর জেলা ও কেন্দ্রীয় কমিটির সিদ্ধান্তে উপজেলা কমিটি ঘোষনা করার কথা জানিয়ে নেতৃবৃন্দ সভা শেষ  করেন।

এবিএন/গোলাম মহিউদ্দিন নসু/জসিম/তোহা