সেমিনারে বক্তারা
আসন্ন সিটি নির্বাচনে গাজীপুরের মানুষ বাংলাদেশকে পথ দেখাবে
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ২২ জুন ২০১৮, ১৯:৩৫
ঢাকা, ২২ জুন, এবিনিউজ : মুক্তিযুদ্ধের প্রাক্কালে গাজীপুরের জয়দেবপুরে প্রথম প্রতিরোধ যুব্দ হয়েছিল। সেদিন জয়দেবপুরবাসী বাংলাদেশকে পথ দেখিয়েছিল। আগামী ২৬ জুন গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনেও জনগণ মুক্তিযুদ্ধের প্রার্থীর পক্ষে রায় দেবে। এর মধ্য দিয়ে তারা আগামী নির্বাচনে বাংলাদেশকে পথ দেখাবে।
‘গাজীপুর সিটি নির্বাচন ও নাগরিক প্রত্যাশা’ শীর্ষক এক সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেছেন। অনন্য বাংলাদেশ ও বাংলা বিচিত্রার যৌথ উদ্যোগে আজ শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।
সেমিনারে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, পাঁচ বছর আগে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে অপপ্রচার ও মিথ্যাচারের কাছে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হেরে গিয়েছিল। আজকে মিথ্যাচারের রাজনীতির কবর রচিত হয়েছে। বিএনপি মানুষের কাছে যেতে পারছে না। তারা উন্নয়নমুখী নয়। এজন্য একই ভুল গাজীপুরের মানুষ বারবার করবে না। আসন্ন নির্বাচনে তারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা তথা নৌকা মার্কার পক্ষের প্রার্থীকেই ভোট দেবে।
তিনি বলেন, গাজীপুরে ৬০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছিল। মেয়রের অযোগ্যতার কারণে সে টাকা ব্যবহার করা যায় নি। জাহিদ আহসান রাসেল এমপি বলেন, বিএনপির কাছে শুধু জনগণ নয়, আহসান উল্লাহর মতো জননন্দিত নেতাও নিরাপদ ছিল না। তাকে নিজ বাড়ির সামনে হত্যা করা হয়েছিল। এরপরও বিএনপি প্রার্থীকে নির্বাচিত করে জনগণ টের পেয়েছে কী ভুল তারা করেছিল। গাজীপুরবাসি উন্নয়ন বঞ্চিত ছিল। এবার মানুষ ঘুরে দাঁড়াবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, গণমাধ্যমকে বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রেখে নির্বাচনী সংবাদ পরিবেশন করতে হবে। যাচাই-বাছাই করে সঠিক খবর তুলে ধরতে হবে। এক্ষেত্রে ইসিকেও যথাযথ দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানান তিনি। নির্বাচনে সাম্প্রদায়িক প্রচারণা বন্ধের দাবি জানিয়ে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির বলেন, গতবার গাজীপুরের নির্বাচনে ধর্মের রাজনীতি ব্যবহার হয়েছিল। অথচ নির্বাচনী আইনে এটা নিষিদ্ধ। এ ব্যাপারে নির্বাচন কমিশন কী ব্যবস্থা নিয়েছে সেটা আমরা জানি না। নির্বাচনী প্রচারণায় আঞ্চলিকতাবোধ ব্যবহারকে আচরনবিধি লঙ্গন হিসেবে আখ্যায়িত করে নির্বাচন পর্যবেক্ষক অধ্যাপক নাজমুল আহসান কলিম উল্লাহ বলেন, এটা পশ্চাদপদ মানসিকতা। ইসিকে এটা বন্ধ করতে হবে। অধ্যাপক মেসবাহ কামাল বলেন, মুক্তিযুদ্ধের প্রাক্কালে গাজীপুরের জয়দেবপুরে প্রথম প্রতিরোধ যুদ্ধ হয়েছিল। সেদিন জয়দেবপুরবাসী বাংলাদেশকে পথ দেখিয়েছিল। তাই গাজীপুরবাসী মুক্তিযুদ্ধের পথে থাকবে এটাই স্বাভাবিক। তারা সিটি নির্বাচনে সেভাবেই রায় দেবে। সমকালের উপ-সম্পাদক অজয় দাশ গুপ্ত বলেন, বনাঞ্চল থেকে গাজীপুর শিল্পাঞ্চলে পরিণত হয়েছে। বন ও পরিবেশ বজায় রেখে উন্নয়ন করবেন এমন প্রার্থীকে নির্বাচিত করতে সম্মিলিত প্রয়াস চালাতে হবে। সেমিনারে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস এমপি, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমিন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মীজানুর রহমান, অধ্যাপক সৈয়দ আহসানুল আলম পারভেজ, নিরাপত্তা বিশ্লেষক মোহাম্মদ আলী শিকদার, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব পিযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়, সেক্টর কমান্ডার্স ফোরামের সংগঠক ম. হামিদ, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী মনোরঞ্জন ঘোষাল প্রমুখ। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন ও সভাপতিত্ব করেন বাংলা বিচিত্রার সম্পাদক সুভাষ সিংহ রায়। সঞ্চালনা করেন ডা. ফাইজা রাহেলা। এবিএন/জসিম/নির্ঝর
তিনি বলেন, গাজীপুরে ৬০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছিল। মেয়রের অযোগ্যতার কারণে সে টাকা ব্যবহার করা যায় নি। জাহিদ আহসান রাসেল এমপি বলেন, বিএনপির কাছে শুধু জনগণ নয়, আহসান উল্লাহর মতো জননন্দিত নেতাও নিরাপদ ছিল না। তাকে নিজ বাড়ির সামনে হত্যা করা হয়েছিল। এরপরও বিএনপি প্রার্থীকে নির্বাচিত করে জনগণ টের পেয়েছে কী ভুল তারা করেছিল। গাজীপুরবাসি উন্নয়ন বঞ্চিত ছিল। এবার মানুষ ঘুরে দাঁড়াবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, গণমাধ্যমকে বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রেখে নির্বাচনী সংবাদ পরিবেশন করতে হবে। যাচাই-বাছাই করে সঠিক খবর তুলে ধরতে হবে। এক্ষেত্রে ইসিকেও যথাযথ দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানান তিনি। নির্বাচনে সাম্প্রদায়িক প্রচারণা বন্ধের দাবি জানিয়ে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির বলেন, গতবার গাজীপুরের নির্বাচনে ধর্মের রাজনীতি ব্যবহার হয়েছিল। অথচ নির্বাচনী আইনে এটা নিষিদ্ধ। এ ব্যাপারে নির্বাচন কমিশন কী ব্যবস্থা নিয়েছে সেটা আমরা জানি না। নির্বাচনী প্রচারণায় আঞ্চলিকতাবোধ ব্যবহারকে আচরনবিধি লঙ্গন হিসেবে আখ্যায়িত করে নির্বাচন পর্যবেক্ষক অধ্যাপক নাজমুল আহসান কলিম উল্লাহ বলেন, এটা পশ্চাদপদ মানসিকতা। ইসিকে এটা বন্ধ করতে হবে। অধ্যাপক মেসবাহ কামাল বলেন, মুক্তিযুদ্ধের প্রাক্কালে গাজীপুরের জয়দেবপুরে প্রথম প্রতিরোধ যুদ্ধ হয়েছিল। সেদিন জয়দেবপুরবাসী বাংলাদেশকে পথ দেখিয়েছিল। তাই গাজীপুরবাসী মুক্তিযুদ্ধের পথে থাকবে এটাই স্বাভাবিক। তারা সিটি নির্বাচনে সেভাবেই রায় দেবে। সমকালের উপ-সম্পাদক অজয় দাশ গুপ্ত বলেন, বনাঞ্চল থেকে গাজীপুর শিল্পাঞ্চলে পরিণত হয়েছে। বন ও পরিবেশ বজায় রেখে উন্নয়ন করবেন এমন প্রার্থীকে নির্বাচিত করতে সম্মিলিত প্রয়াস চালাতে হবে। সেমিনারে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস এমপি, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমিন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মীজানুর রহমান, অধ্যাপক সৈয়দ আহসানুল আলম পারভেজ, নিরাপত্তা বিশ্লেষক মোহাম্মদ আলী শিকদার, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব পিযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়, সেক্টর কমান্ডার্স ফোরামের সংগঠক ম. হামিদ, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী মনোরঞ্জন ঘোষাল প্রমুখ। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন ও সভাপতিত্ব করেন বাংলা বিচিত্রার সম্পাদক সুভাষ সিংহ রায়। সঞ্চালনা করেন ডা. ফাইজা রাহেলা। এবিএন/জসিম/নির্ঝর
এই বিভাগের আরো সংবাদ