আজকের শিরোনাম :

দুই মামলায় খালেদা জিয়ার জামিন আদেশ ৫ জুলাই

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২১ জুন ২০১৮, ১৮:৩৪ | আপডেট : ২১ জুন ২০১৮, ১৮:৫৯

ঢাকা, ২১ জুন, এবিনিউজ : বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে পতাকা অবমাননা ও ভুয়া জন্মদিন পালনের পৃথক দুই মামলায় জামিন আদেশের জন্য আগামী ৫ জুলাই ধার্য করেছেন আদালত।

আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর বকশীবাজার অস্থায়ী আদালতে পৃথক দুই মহানগর হাকিম জামিন বিষয়ে আদেশের জন্য ওই দিন ধার্য করেন।

এদিন পতাকা অবমাননা মামলা ঢাকা মহানগর হাকিম আহসান হাবীব ও ভুয়া জন্মদিন পালনের মামলায় ঢাকা মহানগর হাকিম মো. খুরশীদ আলমের আদালতে জামিন বিষয়ে শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। খালেদা জিয়ার পক্ষে জামিন শুনানি করেন আইনজীবী আবদুর রেজ্জাক খান।

অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষ জামিনের বিরোধিতা করেন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের প্রধান কৌঁসুলি মো. আবদুল্লাহ আবু।

উভয়পক্ষের শুনানি শেষে পৃথক দুই হাকিম আদালত ওই দুই মামলায় জামিন আদেশের জন্য পরবর্তী দিন ধার্য করেন। খালেদা জিয়ার পক্ষে এজে মোহাম্মদ আলী, সানাউল্লাহ মিয়া, মো. মাসুদ আহমেদ তালুকদার, জাকির হোসেন ভূঁইয়া, জয়নুল আবেদীন প্রমুখ আইনজীবী আদালতে উপিস্থত ছিলেন।

আদালত সূত্র জানায়, বাংলাদেশের মানচিত্র, জাতীয় পতাকা ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে বিকৃত করার অভিযোগে বাংলাদেশ জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এবি সিদ্দিকী বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। ২০১৬ সালের ৩ নভেম্বর ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ মামলাটি দায়ের করা হয়। আদালত বাদীর অভিযোগের শুনানি নিয়ে মামলাটি তদন্তের নির্দেশ দেন। তদন্ত শেষে রাজধানীর তেজগাঁও থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) এবিএম মশিউর রহমান গত বছরের ২৫ ফেব্রুয়ারি আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। এরপর ঢাকা মহানগর হাকিম মো. নূর নবী ২২ মার্চ ওই প্রতিবেদন আমলে নিয়ে খালেদা জিয়াকে হাজির হতে সমন জারির আদেশ দেন। ওই বছরের ১৭ সেপ্টেম্বর আদালত খালেদা জিয়াকে ৫ অক্টোবরের মধ্যে স্বেচ্ছায় আত্মসমর্পণ করতে বলেন। তা না হলে গ্রেফতারি পরোয়ানা ইস্যুসহ আইননানুগ ব্যবস্থা নেয়ার হুশিয়ারি দেন। এরপর বেশ কয়েকটি ধার্য তারিখে উপস্থিত না হলে ১২ অক্টোবর খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।

ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গাজী জহিরুল ইসলাম ২০১৬ সালের ৩০ আগস্ট খালেদা জিয়ার অপর মামলাটি দায়ের করেন। ওই বছরের ১৭ নভেম্বর আদালত খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেফতার পরোয়ানা জারি করেন। মামলার অভিযোগে বলা হয়, খালেদা জিয়ার একাধিক জন্মদিন নিয়ে ১৯৯৭ সালে ১৯ ও ২২ আগস্ট দুই জাতীয় দৈনিকে প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী তার এইচএসসি পরীক্ষার মার্কশিট অনুযায়ী জন্মতারিখ ১৯৪৬ সালের ৫ সেপ্টেম্বর। ১৯৯১ সালে তিনি প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে একটি দৈনিকে তার জীবনী নিয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয় জন্মদিন ১৯৪৫ সালের ১৯ আগস্ট। তার বিবাহের কাবিননামায় জন্মদিন ১৯৪৪ সালের ৪ আগস্ট। সর্বশেষ ২০০১ সালে মেশিন রিডেবল পার্সপোর্ট অনুযায়ী তার জন্মদিন ১৯৪৬ সালের ৫ আগস্ট। বিভিন্ন মাধ্যমে তার পাঁচটি জন্মদিন পাওয়া গেলেও কোথাও ১৫ আগস্ট জন্মদিন পাওয়া যায়নি। এ অবস্থায় তিনি পাঁচটি জন্মদিনের একটিও পালন না করে ১৯৯৬ সাল থেকে ১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর শাহাদাতবার্ষিকীর জাতীয় শোকদিবসে আনন্দ উৎসব করে জন্মদিন পালন করে আসছেন। শুধু বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সুনাম ক্ষুণ্ণ করার জন্য তিনি ওইদিন জন্মদিন পালন করেন।

এবিএন/রাজ্জাক/জসিম/এআরদুই মামলায় খালেদা জিয়ার জামিন আদেশ ৫ জুলাই
ঢাকা, ২১ জুন, এবিনিউজ : বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে পতাকা অবমাননা ও ভুয়া জন্মদিন পালনের পৃথক দুই মামলায় জামিন আদেশের জন্য আগামী ৫ জুলাই ধার্য করেছেন আদালত।

আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর বকশীবাজার অস্থায়ী আদালতে পৃথক দুই মহানগর হাকিম জামিন বিষয়ে আদেশের জন্য ওই দিন ধার্য করেন।

এদিন পতাকা অবমাননা মামলা ঢাকা মহানগর হাকিম আহসান হাবীব ও ভুয়া জন্মদিন পালনের মামলায় ঢাকা মহানগর হাকিম মো. খুরশীদ আলমের আদালতে জামিন বিষয়ে শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। খালেদা জিয়ার পক্ষে জামিন শুনানি করেন আইনজীবী আবদুর রেজ্জাক খান।

অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষ জামিনের বিরোধিতা করেন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের প্রধান কৌঁসুলি মো. আবদুল্লাহ আবু।

উভয়পক্ষের শুনানি শেষে পৃথক দুই হাকিম আদালত ওই দুই মামলায় জামিন আদেশের জন্য পরবর্তী দিন ধার্য করেন। খালেদা জিয়ার পক্ষে এজে মোহাম্মদ আলী, সানাউল্লাহ মিয়া, মো. মাসুদ আহমেদ তালুকদার, জাকির হোসেন ভূঁইয়া, জয়নুল আবেদীন প্রমুখ আইনজীবী আদালতে উপিস্থত ছিলেন।

আদালত সূত্র জানায়, বাংলাদেশের মানচিত্র, জাতীয় পতাকা ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে বিকৃত করার অভিযোগে বাংলাদেশ জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এবি সিদ্দিকী বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। ২০১৬ সালের ৩ নভেম্বর ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ মামলাটি দায়ের করা হয়। আদালত বাদীর অভিযোগের শুনানি নিয়ে মামলাটি তদন্তের নির্দেশ দেন। তদন্ত শেষে রাজধানীর তেজগাঁও থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) এবিএম মশিউর রহমান গত বছরের ২৫ ফেব্রুয়ারি আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। এরপর ঢাকা মহানগর হাকিম মো. নূর নবী ২২ মার্চ ওই প্রতিবেদন আমলে নিয়ে খালেদা জিয়াকে হাজির হতে সমন জারির আদেশ দেন। ওই বছরের ১৭ সেপ্টেম্বর আদালত খালেদা জিয়াকে ৫ অক্টোবরের মধ্যে স্বেচ্ছায় আত্মসমর্পণ করতে বলেন। তা না হলে গ্রেফতারি পরোয়ানা ইস্যুসহ আইননানুগ ব্যবস্থা নেয়ার হুশিয়ারি দেন। এরপর বেশ কয়েকটি ধার্য তারিখে উপস্থিত না হলে ১২ অক্টোবর খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।

ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গাজী জহিরুল ইসলাম ২০১৬ সালের ৩০ আগস্ট খালেদা জিয়ার অপর মামলাটি দায়ের করেন। ওই বছরের ১৭ নভেম্বর আদালত খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেফতার পরোয়ানা জারি করেন। মামলার অভিযোগে বলা হয়, খালেদা জিয়ার একাধিক জন্মদিন নিয়ে ১৯৯৭ সালে ১৯ ও ২২ আগস্ট দুই জাতীয় দৈনিকে প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী তার এইচএসসি পরীক্ষার মার্কশিট অনুযায়ী জন্মতারিখ ১৯৪৬ সালের ৫ সেপ্টেম্বর। ১৯৯১ সালে তিনি প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে একটি দৈনিকে তার জীবনী নিয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয় জন্মদিন ১৯৪৫ সালের ১৯ আগস্ট। তার বিবাহের কাবিননামায় জন্মদিন ১৯৪৪ সালের ৪ আগস্ট। সর্বশেষ ২০০১ সালে মেশিন রিডেবল পার্সপোর্ট অনুযায়ী তার জন্মদিন ১৯৪৬ সালের ৫ আগস্ট। বিভিন্ন মাধ্যমে তার পাঁচটি জন্মদিন পাওয়া গেলেও কোথাও ১৫ আগস্ট জন্মদিন পাওয়া যায়নি। এ অবস্থায় তিনি পাঁচটি জন্মদিনের একটিও পালন না করে ১৯৯৬ সাল থেকে ১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর শাহাদাতবার্ষিকীর জাতীয় শোকদিবসে আনন্দ উৎসব করে জন্মদিন পালন করে আসছেন। শুধু বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সুনাম ক্ষুণ্ণ করার জন্য তিনি ওইদিন জন্মদিন পালন করেন।

এবিএন/রাজ্জাক/জসিম/এআর

এই বিভাগের আরো সংবাদ