মন্ত্রী-এমপিদের সম্পদও তদন্ত করা হোক : অলি আহমদ

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ২১:৩৪

লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি এলডিপি সভাপতি অলি আহমদ বলেছেন, অন্যায়কারী এবং জুলুমবাজদের ধ্বংস অনিবার্য। পাপের ভারে আওয়ামী লীগ ক্ষমতাচ্যুত হবে।

সরকারের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, অতীতেও অনেকের ক্ষেত্রে তাই হয়েছে। সময়ক্ষেপণ করে লাভ হবে না। যত দ্রুত সম্ভব সংসদ ভেঙে দিয়ে পদত্যাগ করুন। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে পুনর্র্নিবাচনের ব্যবস্থা গ্রহণ করুন। শনিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি একথা বলেন।

অলি বলেন, আমরা এদেশ স্বাধীন করেছি। একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে বিবেকের তাড়নায়, চুপ করে বসে থাকতে পারি না। এ দেশের জনগণের প্রতি আমাদের দায়িত্ব রয়েছে এবং সে দায়িত্ব পালনে আমরা বদ্ধপরিকর।

তিনি বলেন, বিগত কয়েকদিন আগে হঠাৎ সরকার জানতে পারল যে, ঢাকাসহ দেশের সর্বত্র ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও কৃষকলীগের কিছু সদস্যরা জুয়া, মদ এবং অসামাজিক কার্যকলাপে লিপ্ত হয়েছে। এর সঙ্গে জড়িত ঢাকা মেট্রোপলিটনের কিছু কিছু কর্তা ব্যক্তি ও থানার ওসিসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী, সচিব এবং প্রধান প্রকৌশলীরা দুর্নীতির মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা ঘুষ হিসাবে গ্রহণ করে বিদেশে পাচার করেছে। জি কে শামীমের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী বস্তায় বস্তায় টাকা মন্ত্রীকে দেয়া হয়েছে। 

এ ব্যাপারে প্রতিনিয়ত পত্র পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হচ্ছে এবং টিআইবির পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলন করে বলা হয়েছে। অনুরূপভাবে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়েও এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে। এখন জনগণের মনে প্রশ্ন হল, তাদের কষ্টার্জিত এই টাকা গুটি কয়েক অসাধু রাজনীতিবিদ এবং সরকারি কর্মচারীরা কিভাবে আত্মসাৎ করেছে, কিভাবে বিদেশে পাচার করেছে। সরকার কি আদৌ জানত না। তাহলে গোয়েন্দা বা পুলিশের কি প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।

অলি আরও বলেন, অনেক অবৈধ মন্ত্রী বলছেন জুয়া ও মাদক জিয়াউর রহমান ও তারেক রহমানের সময় থেকে আরম্ভ হয়েছে। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে বিগত ১১ বছর এইগুলো বন্ধ করার জন্য আপনারা কি পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। সরকারকে ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখার জন্য অনেকগুলো আইন বাতিল করা হয়েছে এবং নতুন নতুন আইন পাস করা হয়েছে অথচ জুয়া ও মাদক বন্ধ করার জন্য কোন আইন পাস করা হয় নাই। শুধু অন্যকে দোষারোপ করে নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতে চায়।

তিনি বলেন, এখনও পর্যন্ত যারা গ্রেফতার হয়েছে তারা সবাই সরকারি দলের নেতা। সরকারের সদিচ্ছা থাকলে বিচ্ছিন্নভাবে বিভিন্ন ক্লাবে কেন অভিযান করা হল। উচিত ছিল পরিকল্পিতভাবে সমগ্র দেশে একইদিন এবং একই সময়ে অভিযান পরিচালনা করা। তাহলে রাষ্ট্রদ্রোহীরা গা ডাকা দিতে পারত না। এর অর্থই হল সরকার তাদের নেতাকর্মীদের পালানোর সুযোগ করে দিয়েছে। মালামাল ও টাকা-পয়সা সরানোর জন্য সময় দিয়েছে।

তিনি বলেন, কিভাবে অনেক মন্ত্রী, এমপি এবং তাদের স্ত্রী রাতারাতি ব্যাংক, বীমা, বিশ্ববিদ্যালয় ও বড় বড় হোটেলের মালিক হল, তা খুঁজে বের করা উচিত। আমরা মনে করি, সন্দেহভাজন এসব মন্ত্রী ও এমপির স্ত্রীদের আয়কর রিটার্নের ফাইলগুলোও পরীক্ষা করা উচিত।

এবিএন/মমিন/জসিম

এই বিভাগের আরো সংবাদ