আজকের শিরোনাম :

পদ হারালেন শোভন-রাব্বানী, ছাত্রলীগের নতুন নেতৃত্বে জয়-লেখক

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ২২:৩১ | আপডেট : ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ২২:৪৪

ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের পদ হারালেন রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও গোলাম রাব্বানী।

সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে প্রথম সহ-সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়কে। একইসঙ্গে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পেয়েছেন প্রথম যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য।

শনিবার রাতে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে ছাত্রলীগের নেতৃত্বের বিষয়টি আলোচনায় উঠলে সাংগঠনিক অভিভাবক শেখ হাসিনা এই সিদ্ধান্ত দেন। বৈঠক সংশ্লিষ্ট সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে।

ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আল নাহিয়ান জয় (বামে) ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য

সভা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, আমাদের সভায় ছাত্রলীগের প্রসঙ্গটি এসেছিল। আমাদের নেত্রী বলেছেন, ছাত্রলীগের বর্তমান কমিটি বহাল থাকবে। শুধুমাত্র সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে পদত্যাগ করতে বলা হয়েছে। তাদের স্থানে বর্তমান কমিটির ১ নম্বর সহ-সভাপতি ও ১ নম্বর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দায়িত্ব পালন করবেন।

ওবায়দুল কাদের জানান, শোভন-রাব্বানীকে পদত্যাগ করতে বলা হয়েছে।

এসময় তিনি আরও জানান, আগামী  ২০ ও ২১ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।

প্রসঙ্গত, শোভন ও রাব্বানীর কর্মকাণ্ড নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে সমালোচনা চলছিল। গত ৭ সেপ্টেম্বর গণভবনে আওয়ামী লীগের স্থানীয় সরকার ও সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের যৌথসভায় তাদের বিতর্কিত, নেতিবাচক কর্মকাণ্ড এবং অযোগ্যতার বিষয় উঠে এলে সাংগঠনিক অভিভাবক, আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। ওই সভায় তিনি ক্ষুব্ধ হয়ে শোভন-রাব্বানীর নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় কমিটি ভেঙে দিতে বলেন বলেও গণমাধ্যমে খবর আসে।

এরপরে ছাত্রলীগ সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গণভবনে গেলে তাদের সাক্ষাৎ দেননি প্রধানমন্ত্রী। পরে গণভবনে প্রবেশে তাদের স্থায়ী পাসও বাতিল করে দেওয়া হয়।

শোভন-রাব্বানীর বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কাছে সেখানকার প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকার একটি উন্নয়ন প্রকল্প থেকে কমিশন দাবি, দেরিতে ঘুম থেকে ওঠা, ফোন না ধরা, মাদক সেবন, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের অতিথি হিসেবে রেখে নিজেরা তাদের পরে অনুষ্ঠানে যাওয়া, ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে বির্তকিতদের পদ দেওয়া, ত্যাগী নেতা-কর্মীদের বঞ্চিত করার অভিযোগ উচ্চারিত হচ্ছিল সাংগঠনিক বলয়ে।

এমনকি পূর্ণাঙ্গ কমিটি দিতে অর্থনৈতিক লেনদেনসহ বিভিন্ন ধরনের অভিযোগও শোনা যাচ্ছিল শোভন-রাব্বানীর বিরুদ্ধে।ক্ষমা চেয়ে ও অভিযোগ বিষয়ে ছাত্রলীগের সাংগঠনিক অভিভাবক শেখ হাসিনার কাছে চিঠি দিলেও শেষতক তাদের পদ হারাতেই হলো।

এবিএন/জনি/জসিম/জেডি

এই বিভাগের আরো সংবাদ