আজকের শিরোনাম :

হাসপাতালের কেবিন ব্লকে যেভাবে ঈদ করবেন খালেদা

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১১ আগস্ট ২০১৯, ১২:১৯

দূর্নীতি মামলায় সাজা পেয়ে ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি কারবন্দি হওয়ার পর এ পর্যন্ত দুটি রোজার এবং একটি কোরবানির ঈদ কারা হেফাজতে কাটিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। এরমধ্যে প্রথম বছর দুটি ঈদই তিনি ছিলেন ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডের পুরনো কারাগারে বন্দি। এ বছর রোজার ঈদটি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে কাটাতে হয়েছে সাবেক এ প্রধানমন্ত্রীকে। এই ঈদুল আজহাতেও খালেদা জিয়ার দিনটি কাটবে বিএসএমএমইউয়ের ছয়তালার ব্লক কেবিনে কারা হেফাজতে।

এর আগে এক-এগারোর সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে দুই ঈদে কারাগারে ছিলেন বিএনপি প্রধান। ওইসময় তাকে বন্দি রাখা হয়েছিল জাতীয় সংসদ ভবনের পাশে বিশেষ কারাগারে। এবার নিয়ে ছয়টি ঈদ কারা হেফাজতে কাটাতে হচ্ছে বিএনপি প্রধানকে।

সোমবার ঈদের দিন পরিবারের পক্ষ থেকে আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী শর্মিলা রহমান সিথি ও নাতনি জাহিয়া রহমানসহ স্বজনরাও বিএসএমএমইউ হাসপাতালে খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করার আবেদন জানিয়েছেন।পাশাপাশি দলের জ্যেষ্ঠ নেতারা তাঁর সঙ্গে দেখা করতে আলাদাভাবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেছেন।

চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইং সদস্য শায়রুল কবির খান বলেন, ঈদের দিন বিএসএমএমইউ হাসপাতালে খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাতের অনুমতি চেয়ে বিএনপির পক্ষ থেকে আবেদন করা হয়েছে। অনুমতি পেলে ঈদের দিন সকালে দলের জ্যেষ্ঠ নেতারা চেয়ারপারসনের সঙ্গে দেখা করতে হাসপাতালে যাবেন। এ ছাড়া খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করতে তাঁর পরিবারের সদস্যরাও অনুমতি চেয়েছেন।

বিএসএমএমইউ হাসপাতালে অবস্থান করলেও কারা হেফাজত থাকায় খালেদা জিয়াকে ঈদের দিন দেওয়া হবে কারা বিধি অনুযায়ী বিশেষ খাবার। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন উর্দ্ধতন কারা কর্মকর্তা্ জানান, ঈদের দিন সকালে খালেদা জিয়াকে ঢাকা কেন্দ্রীয় (কেরানীগঞ্জ) কারাগারের কারারক্ষীদের তৈরি পায়েস, সেমাই ও মুড়ি দেওয়া হবে। তার খাবার তৈরি করা হবে চিকিৎসকের পরামর্শ ও ডায়েট চার্ট অনুযায়ী। দুপুরের খাবারে থাকবে সাদা ভাত, সঙ্গে পোলাও। পছন্দ অনুযায়ী তিনি বেছে নিবেন। তরকারির মধ্যে থাকবে ডিম সিদ্ধ, আলুর দম, মুরগির মাংশ, ডাল ও মিস্টান্ন। রাতের মেন্যুতে থাকছে সাদাভাত বা পোলাও; সঙ্গে গরু অথবা খাসির মাংস, ডিম, মিষ্টান্ন, পান-সুপারি ও কোমল পানীয়। এর বাইরে তিনি কিছু খেতে চাইলে কারা কর্তৃপক্ষকে অবহিত করলে তা সরবরাহ করা হবে। তাকে যে খাবারই দেওয়া হোক না কেন তার সবই পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেওয়া হয়।

উল্লেখ্য, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় মোট ১৭ বছরের সাজাপ্রাপ্ত সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী। গত বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি তাকে জেলে নেওয়া হয়। শুরুতে তাকে পুরান ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে রাখা হয়।

এবিএন/শংকর রায়/জসিম/পিংকি

এই বিভাগের আরো সংবাদ