আজকের শিরোনাম :

খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে রাজধানীতে মহিলা দলের মিছিল

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০২ আগস্ট ২০১৯, ১৭:৩৩

জনগণের প্রতি সরকারের ভালোবাসা নেই আছে চোখ রাঙানি- এমন মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে জাতীয়তাবাদী মহিলা দল আয়োজিত মিছিল শেষে সমাবেশে এমন মন্তব্য করেন তিনি।

শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচে এই কর্মসূচি শুরু হয়। মিছিলটি নাইটিঙ্গেল মোড় ঘুরে আবারও বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের কাছে এসে শেষ হয়।

অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী অংশ নেন এই মিছিলে। এতে আরো ছিলেন মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস ও সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদসহ সংগঠনটির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা অংশ নেন।

মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত বক্তৃতা রাখেন প্রধান অতিথি বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, “এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে যখন মানুষ মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ছে, ডেঙ্গুর ব্যাপক বিস্তারে দেশবাসী যখন ভয়ে শঙ্কিত- তখন এই ভয়ংকর মহামারি মোকাবিলায় জনবিচ্ছিন্ন সরকারের মাথাব্যথা নেই।”

ডেঙ্গু মোকাবিলায় সরকারের ব্যর্থতা উল্লেখ করে রিজভী আহমেদ বলেন, “মশা নিধনে কোটি কোটি টাকা খরচ করা হচ্ছে অথচ সিটি করপোরেশনের ওষুধে মশা মরছে না। কোটি টাকা লোপাটে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন এখন নিজেরাই গার্বেজে পরিণত হয়েছে।”

তিনি বলেন, “দেশব্যাপী খুন, নারী-শিশু ধর্ষণ এবং ডেঙ্গুর ভয়াবহ প্রকোপ বৃদ্ধি সবকিছুকেই সরকারের মন্ত্রী-নেতারা গুজব বলছেন। বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়কে গুজব ছড়ানোর কারখানাও বলা হচ্ছে। আসলে আমরা এমন এক নিপীড়ক সরকারের অধীনে বসবাস করছি যাদের মানবিকতা নেই, জনগণের প্রতি ন্যূনতম ভালোবাসা ও দায়িত্ববোধ নেই, আছে শুধু চোখ রাঙানি ও অবৈধ ক্ষমতার দাপট। প্রকৃতপক্ষে জনগণের ভোটে নয় বরং নির্বাচন কমিশন, জনপ্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে কবজায় নিয়ে ৩০ ডিসেম্বরের আগের রাতে ভোট চুরির মাধ্যমে জোর করে যারা রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করে তাদের কাছে জনস্বার্থের কিবা মূল্য আছে।”

তিনি বলেন, “দেশব্যাপী খুন, নারী-শিশু ধর্ষণ এবং ডেঙ্গুর ভয়াবহ প্রকোপ বৃদ্ধি সবকিছুকেই সরকারের মন্ত্রী-নেতারা গুজব বলছেন। বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়কে গুজব ছড়ানোর কারখানাও বলা হচ্ছে। আসলে আমরা এমন এক নিপীড়ক সরকারের অধীনে বসবাস করছি যাদের মানবিকতা নেই, জনগণের প্রতি ন্যূনতম ভালোবাসা ও দায়িত্ববোধ নেই, আছে শুধু চোখ রাঙানি ও অবৈধ ক্ষমতার দাপট। প্রকৃতপক্ষে জনগণের ভোটে নয় বরং নির্বাচন কমিশন, জনপ্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে কবজায় নিয়ে ৩০ ডিসেম্বরের আগের রাতে ভোট চুরির মাধ্যমে জোর করে যারা রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করে তাদের কাছে জনস্বার্থের কিবা মূল্য আছে।”

খালেদা জিয়ার প্রসঙ্গ তুলে ধরে সরকারের প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, “শেখ হাসিনার কাছে প্রতিহিংসার রাজনীতিই মুখ্য। তাই তার ব্যক্তিগত আক্রোশের শিকার বেগম খালেদা জিয়াকে অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তি দেওয়া না হলে সরকারের পরিণতি শুভ হবে না। মানুষের ন্যায় বিচারের প্রত্যাশা উচ্চতর আদালতের নিকট। কারণ নিম্ন আদালত সরকারের হাতের মুঠোয়। গত বুধবার দেশবাসী বিশ্বাস ও আস্থা রেখেছিল উচ্চতর আদালত বেগম জিয়াকে জামিন দেবেন। কিন্তু দেশনেত্রী জামিন না পাওয়ায় দেশের মানুষ হতাশ। এই অবিচারের পরিণতি নিয়ে আমরা শঙ্কিত।” কর্মসূচির এ অংশ সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদ। সভাপতিত্ব করেন মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস।

এবিএন/মমিন/জসিম

এই বিভাগের আরো সংবাদ