ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে সরকারকে পরাজিত করব: ফখরুল

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৬ জুন ২০১৯, ২১:৪৭

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ক্ষমতা চিরস্থায়ী করতে সরকার নির্যাতনকে বড় হাতিয়ার হিসেবে বেছে নিয়েছে। আজকে যারা নির্যাতিত হয়েছে, তারা বারবার বলছেন, আমরা নির্যাতিত হয়েছি, কিন্তু আমরা মানসিকভাবে পরাজিত হইনি। আমরা এই মুহূর্তে চাই, সবার ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে, আমরা এদের (সরকার) পরাজিত করব।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, মানব সভ্যতার ইতিহাস বলছে, জনগণের শক্তি দিয়ে এ ধরনের শাসকদের পরাজিত করতে হবে। আর সে জন্য আমাদের সবচেয়ে বড় প্রয়োজন, ঐক্য। আমাদের জনগণের ঐক্য সৃষ্টি করতে হবে। রাজনীতিক দলগুলো, বিভিন্ন বুদ্ধিজীবী যারা আছে, তাদের মধ্যে ঐক্যবদ্ধ শক্তির মধ্য দিয়ে এদের পরাজিত করতে হবে।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, আমাদের প্রথম দাবি, বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি। এরপর আমাদের দাবি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে একটি নিরপেক্ষ নির্বাচনের ঘোষণা। এটি এ সমস্যা সমাধানের একমাত্র পথ বলে আমরা মনে করছি।

জাতিসংঘ ঘোষিত নির্যাতিতদের সমর্থনে আন্তর্জাতিক দিবস উপলক্ষে আজ বুধবার রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে আয়োজিত সেমিনারে মওদুদ আহমদ এ কথা বলেন।

আওয়ামী লীগ সরকারকে ধন্যবাদ দিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেছেন, সরকার অত্যাচার নিপীড়ন করে আগামী শত বছরের জন্য বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলকে (বিএনপি) প্রতিষ্ঠা করছে।

সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেন, আমি গত সপ্তাহে বলেছিলাম, এক সপ্তাহের মধ্যে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি হবে। জামিন এক সপ্তাহের মধ্যে দুটি হয়েছে, এখন আর দুটির অপেক্ষায় আছি।

ব্যারিস্টার মওদুদ বলেন, আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আমরা খালেদা জিয়াকে বের করতে চেষ্টা করছি। ইনশা আল্লাহ আমি আশা করছি, তিনি (খালেদা জিয়া) খুব শিগগিরই জামিনের মাধ্যমে মুক্তি পেয়ে ফিরে আসবেন।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, আমি এ সরকারকে ধন্যবাদ দিতে চাই। কারণ তারা আমাদের ওপর অনেক অন্যায়, অত্যাচার, নির্যাতন-নিপীড়ন করেছে। ২৬ লাখ মামলা হয়েছে আমাদের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। এদের পরিবার, আত্মীয়স্বজন, গ্রামবাসী সব মিলিয়ে কয়েক কোটি মানুষ। সুতরাং বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলকে কখনো বিচ্ছিন্ন করা সম্ভবপর হবে না। কারণ এই সরকার অত্যাচার নিপীড়ন করে আগামী শত বছরের জন্য জাতীয়তাবাদী দলকে প্রতিষ্ঠা করছে। আজকের এই কর্মসূচি থেকে আমরা এটুকু অন্তত প্রতিশ্রুতি দেই যে আমরা পিছিয়ে থাকব না, যতই অত্যাচার নির্যাতন-নিপীড়ন হোক।

সেমিনারে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান বলেন, রিমান্ডের নামে আসামিকে অপরাধ স্বীকারে বাধ্য করা হয়। এমন নির্যাতন বন্ধ না হলে দেশ কোনোদিন সভ্য হবে না।

এবিএন/মমিন/জসিম

এই বিভাগের আরো সংবাদ