আজকের শিরোনাম :

বাজেটে জনকল্যাণমূলক কোনো কিছুই নেই: গণফোরাম

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৫ জুন ২০১৯, ১৯:২৭

গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেন বলেছেন, সরকার যে বাজেট প্রস্তাব করেছে সেখানে জনগণের স্বার্থকে উপেক্ষা করা হয়েছে। বাজেটে জনকল্যাণমূলক কোনো কিছুই নেই দাবি করে একে সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে

আজ শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে বাজেট নিয়ে গণফোরামের মতামত জানাতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বাজেট প্রত্যাখ্যানের ঘোষণা দেন দলটির সভাপতি। এতে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন দলের সাধারণ সম্পাদক ড. রেজা কিবরিয়া। তিনি বলেন, এই বাজেটে গরিব কৃষকদের সংকট নিরসনে উদ্যোগ নেওয়া হয়নি, তবে ঋণখেলাপি ও কালো টাকার মালিকদের সুবিধা দেওয়া অব্যাহত আছে।

বাজেটে ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক বৈষম্য, দারিদ্র্য, বেকারত্ব মোকাবিলায় কী করা হবে তার উল্লেখ নেই দাবি করে রেজা কিবরিয়া বলেন, এই বাজেটে সাধারণ মানুষ নয়; বরং সুবিধাভোগীদের স্বার্থ সংরক্ষণ করা হয়েছে।

সরকারের অপচয়, অদক্ষতা ও দুর্নীতির দায় জনগণের পকেট কেটে আদায় করা হবে বলেও মনে করে গণফোরাম।

রেজা কিবরিয়া বলেন, এটি জনগণের বাজেট নয়। এটি একটি অদূরদর্শী ও দুর্বলভাবে প্রণীত বাজেট, যা দেশের প্রকৃত সমস্যা মোকাবিলার কোনো চেষ্টা নেই। বর্তমানে দেশকে যারা লুটেপুটে খাচ্ছে এবং যারা অবৈধভাবে অর্জিত অর্থ বিদেশে পাচার করছে বাজেটটি তাদের সুবিধার জন্য তৈরি হয়েছে। বাজেটটি যারা প্রণয়ন করেছে তাদের এই দেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে কোনো চিন্তা নেই।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, এই প্রতিনিধিত্বহীন ও অনির্বাচিত সরকারের বাজেট যে আমাদের নাগরিকদের ইচ্ছের প্রতিফলন নয় এবং এটি যে দেশের প্রয়োজনীয়তা পূরণের লক্ষ্যে প্রণয়ন করা হয়নি— এটাতে অবাক হওয়ার কোনো কারণ নেই। সুতরাং একটি সত্যিকারের প্রতিনিধিত্বশীল সরকার গঠনের লক্ষ্যে অনতিবিলম্বে দেশে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজন করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

গণফোরাম সাধারণ সম্পাদক বলেন, বাজেট কেবল সরকারের পরবর্তী বছরের আয়-ব্যয়ের হিসাব নয়। এটি আসন্ন বছরগুলোতে সরকারের নীতি কৌশল কী হবে তারও একটি গুরুত্বপূর্ণ দলিল। এই বাজেট দুটি বিবেচনায় হতাশাজনক। প্রথমত এটি রাজস্ব ও ঋণের সঠিক প্রাক্কলন প্রদানে এবং সাম্প্রতিক বছরগুলোয় বাজেট ঘাটতি বিবেচনায় নিতে ব্যর্থ হয়েছে। আর দ্বিতীয়ত এ বাজেটে বিগত বছরগুলোর হঠকারী বাজেট ও সামষ্টিক অর্থনৈতিক নীতির ফলে আর্থিক খাতে ও সার্বিক অর্থনীতিতে সৃষ্ট আসন্ন সংকট উদ্ভূত ঝুঁকি সম্পর্কে অজ্ঞতা প্রদর্শন করা হয়েছে। এই বাজেটে অর্থনীতি এখন সত্যিকারের যে বিপদের সম্মুখীন সে সম্পর্কে অজ্ঞতা প্রকাশ পেয়েছে।

এ সময় গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি অধ্যাপক ড. আবু সাইয়িদ ও অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, প্রেসিডিয়াম সদস্য জগলুল হায়দার আফ্রিক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এবিএন/মমিন/জসিম

এই বিভাগের আরো সংবাদ