খালেদা জিয়ার মুক্তি ও সুচিকিৎসার দাবিতে স্বেচ্ছাসেবক দলের বিক্ষোভ মিছিল

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৬ এপ্রিল ২০১৯, ১৭:৩৬ | আপডেট : ০৬ এপ্রিল ২০১৯, ১৭:৩৭

বিএনপি চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নি:শর্ত মুক্তি ও সুচিকিৎসার দাবিতে আজ বেলা ১টায় জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের উদ্যোগে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

কয়েকশো নেতাকর্মীর অংশগ্রহণে একটি বিক্ষোভ মিছিল নয়াপল্টনস্থ বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে শুরু হয়ে নাইটিঙ্গেল মোড় ঘুরে আবারও বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিকট এসে শেষ হয়।

মিছিলে নেতৃত্ব দেন বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। মিছিলে স্বেচ্ছাসেবক দল কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি শফিউল বারী বাবু, সাধাারণ সম্পাদক আব্দুল কাদির ভুইয়া জুয়েল, সিনিয়র সহ-সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ ইয়াসিন আলী, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম ফিরোজ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাদরাজ জামান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি এস এম জিলানী, উত্তরের সভাপতি ফখরুল ইসলাম রবিন, দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম, সিনিয়র সহ-সভাপতি রফিক হাওলাদার, উত্তরের সাধারণ সম্পাদক কাজী রেজওয়ান হোসেন রিয়াজ, সিনিয়র সহ-সভাপতি হারুন অর রশীদ, সাবেক কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনু মোঃ শামীম, সাংগঠনিক সম্পাদক সাইদুর রহমান সাইদুল, সহ-সাধারণ সম্পাদক ফরিদ উদ্দিন, রফিকুল ইসলাম মাসুম, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আওলাদ হোসেন উজ্জল, এ কে এম আবুল কালাম আজাদ, সহ-সম্পাদক এম জি মাসুম রাসেল, এ্যাডভোকেট মহিউদ্দিন লোবান, ফরহাদ উদ্দিন, মকবুল হোসেন, ইকবাল আনসারী টিপু, অমিত হাসান হাফিজ, মাহমুদুল বারী, তোফাজ্জল হোসেন, সদস্য এ বি এম মুকুল, আলাউদ্দিন জুয়েল, জসিম উদ্দিন, এইচ এম জাফর আলী খান, জেড আই কামাল, ইঞ্জিঃ আতিক, বাবুল সারেং, কেন্দ্রীয় নেতা আনোয়ার হোসেন, ডাঃ মোঃ জাহেদুল কবির জাহিদ, হাজী নুরুল্লাহ, সরদার নুরুজ্জামান, মোঃ মোর্শেদ আলম ও শাহে আলম প্রমূখ নেতৃবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।

মিছিল শেষে এক সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, “শেখ হাসিনা নিজেকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার দাবিদার মনে করেন, কিন্তু তাঁর সেই চেতনায় গণতন্ত্রের ছিটেফোঁটাও নেই। একদলীয় পার্মানেন্ট ক্ষমতায় থাকার চেতনাই হচ্ছে একমাত্র চেতনা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। মুক্তিযুদ্ধের মূল স্পীরিট গণতন্ত্রকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে থেকে মুছে দিয়ে বাকশালী চেতনাকে সংযুক্ত করে তাঁর নিজের মতো এক অদ্ভুত চেতনাকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বলে চালাতে চাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী, আর এজন্য গণতন্তের সকল প্রতিষ্ঠানে বাকশালী বাকশালের কালো থাবা বিস্তারে মনোযোগী হয়ে উঠেছেন।

আজ আইন-আদালত-প্রশাসন-নির্বাচন কমিশনসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান একদলীয় বাকশালী ব্যবস্থার অধীন। বাকশালী চেতনার ধারক হয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এখন গণতন্ত্রকে সাদা কাফনে পেঁচিয়ে ফেলে গণতান্ত্রিক শক্তির প্রতীক বিএনপি চেয়ারপার্সন ও চারবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী জনগণের প্রাণপ্রিয় নেত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় কারাবন্দী করে প্রতিহিংসা চরিতার্থ করছেন। বেগম জিয়ার ওপর অমানবিক ও নিষ্ঠুর নির্যাতন চালিয়ে বিনা চিকিৎসায় তাঁকে তিল তিল করে মৃত্যুপথযাত্রী করছেন। কয়েকদিন আগে বিএসএমএমইউ-এর কয়েকজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক গণমাধ্যমকে বলেছেন ‘বেগম খালেদা জিয়ার যে শারীরিক অবস্থা তাতে যেকোন সময় একটা দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। তাঁর স্বাস্থ্যের বর্তমান অবস্থা খুবই খারাপ এবং খুবই উদ্বেগজনক।’

তাঁরা সকলেই বেগম জিয়াকে উন্নত চিকিৎসা দেয়ার সুপারিশও করেছেন। কিন্তু সরকার ও সরকারপ্রধান দেশনেত্রীর জীবন নিয়ে তামাশা শুরু করেছেন। এখন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষও সরকারের সুরে তাল মেলাচ্ছেন। স্বৈরাচারদের বন্দীদশা থেকে যিনি বারবার গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে আপোষহীন লড়াই চালিয়েছেন তাঁকে গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে পৃথিবী থেকে বিদায় করতেই শেখ হাসিনা যাবতীয় আয়োজন করছেন বলে জনমনে গভীর সংশয় দেখা দিয়েছে। আমরা আবারও দ্ব্যর্থহীন কন্ঠে বলতে চাই-এই মূহুর্তে ‘গণতন্ত্রের মা’ দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিতে হবে। গণতান্ত্রিক অধিকারহারা মানুষ বর্তমান ভয়াবহ দু:শাসনের বিরুদ্ধে এখন আরও বেশী ঐক্যবদ্ধ, যেকোন মূহুর্তে জনগণের ধৈর্য্যরে বাঁধ ভেঙ্গে যাবে এবং মুলোৎপাট ঘটাবে বর্তমান আওয়ামী-বাকশালী দু:শাসনের।
আমি আবারও অবিলম্বে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে তাঁর পছন্দের হাসপাতালে সুচিকিৎসার সুযোগসহ নি:শর্ত মুক্তির জোর দাবি জানাচ্ছি।”

এবিএন/মমিন/জসিম

এই বিভাগের আরো সংবাদ