‘ইয়াবা ব্যবসায়ীরা চিকিৎসা পায়, কিন্তু খালেদা জিয়া পান না’
প্রকাশ: ০৭ মার্চ ২০১৯, ২১:৪৬
ইয়াবা ব্যবসায়ীরা গ্রেফতার হয়ে চিকিৎসা পায় কিন্তু খালেদা জিয়া পান না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।
তিনি বলেন, আমরা সরকারকে বারবার অনুরোধ করেছি বেগম খালেদা জিয়াকে স্পেশালাইজড হাসপাতালে চিকিৎসা দিতে। তাতে খরচ বহনের জন্যও আমরা রাজি আছি বলে জানিয়েছি। কিন্তু তারপরেও তাকে ভালো চিকিৎসার দেয়া হচ্ছে না। অথচ ইয়াবা ব্যবসায়ীরা গ্রেফতার হয়ে বারডেমে চিকিৎসার সুযোগ ব্যবস্থা পায়।
বৃহস্পতিবার (০৭ মার্চ) বিকেলে নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবে মহানগর বিএনপি আয়োজিত বিএনপির দুই নেতার স্মরণ সভায় তিনি এসব কথা বলেন। শ্রমিকদলের সাবেক জেলা সভাপতি নজরুল ইসলাম ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানা মৎস্যজীবী দলের সভাপতি ইব্রাহিম সরদার স্মরণে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসা প্রসঙ্গে সরকারের সমালোচনা করে নজরুল ইসলাম খান আরো বলেন, বতর্মান প্রধানমন্ত্রী ওয়ান ইলেভেনের সময় গ্রেফতার হলে স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছিলেন। চিকিৎসার জন্য তিনি বিদেশেও গেছেন। এরকম অসংখ্য উদাহরণ রয়েছে যারা গ্রেফতার হয়ে জেলখানায় অসুস্থ তারা বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার সুযোগ পেয়েছে। এত দৃষ্টান্ত থাকার পরও ৭৩ বছর বয়সী বিভিন্ন জটিল রোগে আক্রান্ত হওয়া সত্ত্বেও তাকে চিকিৎসা করানোর সুযোগ দেয়া হচ্ছে না।
সরকার নিষ্ঠুরতার পরিচয় দিচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, তিনবারের প্রধানমন্ত্রী, দুইবারের বিরোধীদলীয় নেত্রী খালেদা জিয়াকে কারারুদ্ধ করে রেখেছে। তাঁর চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয় না। আদালতে গিয়ে মেডিক্যাল বোর্ড করে পাঠাতে বিলম্ব হয়, সেটির রিপোর্ট কার্যকর করতেও বিলম্ব করা হয়। কি চায় সরকার? যে কোনো সময় একটি দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে।
ওয়ান ইলেভেনের কুশীলবদের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ সরকার কোনো ব্যবস্থা নেয়নি দাবি করে করে নজরুল ইসলাম খান বলেন, বিএনপি বারবার গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছে। এক এগারোর আন্দোলনকে আওয়ামী লীগ তাদের আন্দোলনের ফসল বলে দাবি করেন। তবে সেই এক এগারোর কুশীলবদের বিরুদ্ধে তারা কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি।
খালেদা জিয়া ছাড়া গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করার বিকল্প কোনো পথ নেই উল্লেখ করে নজরুল ইসলাম খান বলেন, আন্দোলন জোরদার করে আমাদের ‘মা’ বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে আনতে হবে। আর যদি মা’কে ফিরিয়ে আনতে না পারি, তাহলে আমারা সবাই মা’র কাছে ফিরে যাব। তিনি আরো বলেন, নয় বছর এরশাদ স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে লড়াই সংগ্রাম করে বিএনপি ক্ষমতায় এসেছিল। এখন ১২ বছর ধরে নিষ্ঠুর সরকারের অধীনে দেশ চলছে। বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
নারায়ণগঞ্জ মহনগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এটিএম কামালের সভাপতিত্বে স্মরণসভায় প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মহানগর বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সাংসদ অ্যাডভোকেট আবুল কালাম। এছাড়া কেন্দ্রীয় শ্রমিকদলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম খান নাসিম, কেন্দ্রীয় মৎস্যজীবী দলের সদস্য সচিব আব্দুর রহিম, যুগ্ম আহবায়ক নাদিম চৌধুরী, মহানগর যুবদলের সভাপতি মাকছুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ এ স্মরণসভায় উপস্থিত ছিলেন।
এবিএন/মমিন/জসিম