সরকার বেগম খালেদা জিয়াকে ভয় পায় : ফখরুল

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন,সরকার বেগম খালেদা জিয়াকে এতটাই ভয় পায় যে, মনে করে তাকে সুচিকিৎসা করালেও আওয়ামী লীগ ক্ষমতা হারাবে।

বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসা ও নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে বুধবার (৬ মার্চ) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বিএনপি আয়োজিত মানবন্ধনে তিনি বক্তব্য রাখছিলেন।

তিনি বলেন, সবার আগে আমাদেরকে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে।এজন্য আইনি লড়াই চলছে। পাশাপাশি রাজপথে দুর্বার আন্দোলন করে তাকে মুক্ত করতে হবে। 
তিনি বলেন,চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য সংগঠনকে শক্তিশালী করে জনগণের দৃঢ় ঐক্যের মাধ্যমে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলা হবে ।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সম্প্রতি আদালতে বেগম খালেদা জিয়ার সাথে দেখা হবার কথা উল্লেখ করে বলেন, তিনি অত্যন্ত অসুস্থ , তাকে সুচিকিৎসা থেকে বঞ্চিত করে রেখেছে এই অবৈধ সরকার। সব মামলা জামিনযোগ্য হলেও শুধুমাত্র সরকারের প্রতিহিংসার কারণে তাকে মুক্ত করা যাচ্ছে না।

বিএনপি নেতাদের নির্যাতনের বর্ণনা দিয়ে তিনি বলেন, 'সারাদেশে আমাদের নেতাকর্মীদের নামে ৯৮ লাখ মামলা দেয়া হয়েছে। আসামি করা হয়েছে ২৫ লাখ।
সিটি নির্বাচন জনগণ প্রত্যাখ্যান করেছে মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, এই নির্বাচনে তারা (জনগণ) ভোট দিতে যায়নি। কারণ এই সরকার ও নির্বাচন কমিশনের প্রতি জনগণের আস্থা নেই, তারা নির্বাচন ব্যবস্থাকে সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করে দিয়েছে।

তিনি বলেন, আমরা একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখ্যান করেছি। একটি নির্দলীয় নির্বাচন কমিশন এবং নির্দলীয় সরকারের অধীনে নতুন নির্বাচন দিতে হবে। এখন আমাদের সংগঠনকে শক্তিশালী করতে হবে। এর মাধ্যমে সরকারকে পুনরায় নির্বাচন দিতে বাধ্য করা হবে।

বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ বলেন, চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের অবনতির জন্য সরকার দায়ী । তিনি বলেছেন, সরকারের অবহেলা ও তাদের নিষ্ঠুর আচরণের কারণে আমর সবাই উদ্বিগ্ন। সরকারের উচিত ছিল নিজ উদ্যোগে খালেদা জিয়ার চিকিৎসার ব্যবস্থা করা। কিন্তু তারা তা করেনি। আমাদের হাইকোর্ট পর্যন্ত যেতে হয়েছে। হাইকোর্ট থেকে অর্ডার নিতে হয়েছে মেডিকেল বোর্ড করা হবে। মেডিকেল বোর্ড নানা রকম বিশ্লেষণ করে সুপারিশ করেছেন কি ধরনের চিকিৎসা তার প্রয়োজন। কিন্তু আজ পর্যন্ত সেই সুপারিশ সরকার বাস্তবায়ন করেনি।

মানববন্ধনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড.খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ, মির্জা আব্বাস, ড. আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু,চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, আব্দুস সালাম, যুগ্ম-মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি মোর্তাজুল করিম বাদরু, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদির ভূইয়া জুয়েল, মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদ,ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আকরামুল হাসান মিন্টু, প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

উপস্থিত ছিলেন ভাইস-চেয়ারম্যান বেগম সেলিমা রহমান, এ জেড এম জাহিদ হোসেন, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান ,সাংগঠনিক সম্পাদক এমরান সালেহ প্রিন্স, স্বনির্ভর বিষয়ক সম্পাদক শিরিন সুলতানা, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সেলিমুজজামান সেলিম, আব্দুস সালাম আজাদ, সহ-প্রচার সম্পাদক আমিরুল ইসলাম খান আলিম, যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন ,স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিউল বারী বাবু, কৃষকদলের নবগঠিত কমিটির যুগ্ম-আহ্বায়ক নাজিম উদ্দীন মাষ্টার, প্রমুখ।

এবিএন/মমিন/জসিম