আজকের শিরোনাম :

‘জামায়াত ক্ষমা চাইলেও যুদ্ধাপরাধের বিচার চলবে’

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১৪:৪৪ | আপডেট : ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ২১:০৬

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, স্বাধীনতার ৪৭ বছর জামায়াত এখন ক্ষমা চাওয়ার বিষয়টি কেন সামনে নিয়ে আসছে, এটি ঘোলাটে। তাদের রাজনৈতিক কৌশল হতে পারে। যদিও অফিসিয়ালি তারা এখনো কিছু বলেনি। তবে ক্ষমা চাইলেও যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের যে বিচার চলছে, সেটি বন্ধ হবে না।

আজ শনিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে জামায়াতের ক্ষমা চাওয়ার কথা বলে সদ্য পদত্যাগ করা দলটির সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

রাজ্জাকের পদত্যাগের বিষয় কীভাবে দেখছেন- জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটি তার ব্যক্তিগত, তাদের দলের সিদ্ধান্তের ওপর বিষয়টি নির্ভর করছে। তাদের ইনটেশনটা এখনো ক্লিয়ার না। আগে পরিষ্কার হোক।

জামায়াত নতুন নামে এলে আওয়ামী লীগ স্বাগত জানাবে কিনা- প্রশ্ন করা হলে কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ কোনো সিদ্ধান্তই এখনো নেয়নি। তবে নতুন বোতলে পুরাতন মদ যদি আসে, তা হলে পার্থক্য কোথায়? জিনিস তো একটাই। তাদের আদর্শটা ঠিক আছে, নতুন নামে একই আদর্শ আসবে, তা হলে পার্থক্যটা কোথায়? সেটি দেখতে হবে, এ বিষয়গুলো দেখতে হবে। এখন নানা কথা মিডিয়ায় আসছে। এগুলো পরিষ্কার হওয়া দরকার। পরিষ্কার হওয়ার আগে আমরা কেন মন্তব্য করতে যাব?

জামায়াত নিষিদ্ধ হওয়ার আশঙ্কায় নতুন কৌশল নিচ্ছে কিনা- এই প্রশ্নে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘কৌশলও হতে পারে। স্বাধীনতার ৪৭ বছর পর ক্ষমা চাওয়ার বিষয় কেন এলো, সেটিও কোনো কৌশল কিনা, ভেবে দেখতে হবে।

তিনি বলেন, চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩৫ নিয়ে আমি কোনো কথা বলিনি। প্রথমে আমি এটি জানিয়ে রাখছি। এটি তারাই গুজব ছড়াচ্ছে। নিউজের মধ্যে আমার কোনো ভয়েস আছে? ভয়েস না থাকলে হয় কী করে! এটা ফলস অ্যান্ড ফেব্রিকেটেড!

কাদের বলেন, আমি এ ধরনের কোনো কথা বলিনি। সরকারের সিদ্ধান্তের আগে আমি কী বলব। আমি সরকার ও পার্টির ইমপর্ন্টেট জায়গায় আছি। আমার ইরেসপন্সিবল কোনো কথা বলা উচিত না। চাকরিতে প্রবেশের সিদ্ধান্ত সরকারি পর্যায়ে এখনো হয়নি। আমি এ ব্যাপারে কোথায় মন্তব্য করালম, আমার তো জানা নেই। ইট ইজ ফেক অ্যান্ড ফলস।

সম্প্রতি ডয়চে ভেলের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তিনি ভবিষ্যতে তরুণদের সুযোগ করে দিতে চান। তাই তিনি চান, বর্তমান ও টানা তৃতীয় মেয়াদটিই যেন হয় প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তার শেষ মেয়াদ।

প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ানো প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের দলের ওই অবস্থানের কথা জানিয়ে বলেন, ‘তিনি (প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা) ছাড়তে চাইলেও নেতাকর্মীরা তাকে ছাড়বে কিনা- সেটিই ভাবতে হবে।’

এ সময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক আফজাল হোসেন, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক আবদুস সবুর প্রমুখ।

এবিএন/সাদিক/জসিম

এই বিভাগের আরো সংবাদ