আজকের শিরোনাম :

গ্রহণযোগ্যরাই উপজেলা নির্বাচনে মনোনয়ন পাবেন : কাদের

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১৫:৪২

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, উপজেলা নির্বাচনে জণগণের কাছে গ্রহণযোগ্য, অধিকতর গ্রহণযোগ্য ব্যক্তি যাতে মনোনয়ন পান, সে বিষয়ে আমাদের সব ধরনের মেকানিজম আছে। এ বিবেচনাতেই আমরা মনোনয়ন দেব।

আজ মঙ্গলবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ধানম-িতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মনোনয়ন ফরম বিক্রি ও জমাদানের দ্বিতীয় দিনে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, অনিয়মের অভিযোগ আসতে পারে। অনেক সময় একাধিক প্রার্থী কারো নাম না এলে তারা অসন্তোষও থাকতে পারে, তবে সবকিছু যাচাই-বাছাই করে দেখতে হবে। এখানে তো আমাদের ইন্টারনাল মেকানিজম আছে, পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখতে হবে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, মনোনয়ন চাওয়া অপরাধ না, দল করে দলের জন্য ত্যাগ করবে। রাস্তায় রাস্তায় পুলিশের মার খেয়েছে। নির্যাতন সহ্য করেছে অনেকেই। আওয়ামী লীগ কতদিন ক্ষমতায় তার আগে তো অত্যাচার নির্যাতনের মধ্য দিয়ে দলের কর্মী থেকে নেতা হয়েছে। কাজেই আশা-আকাঙ্খা সবারই থাকতে পারে। কিন্তু মনোনয়ন তো আমরা চেয়ারম্যান একজনকে দেবো এবং ভাইস চেয়ারম্যানে দুইজন দেবো। একজন নারী একজন পুরুষ, এর বাইরে তো আর মনোনয়ন দেব না।

তিনি বলেন, গতবার উপজেলা নির্বাচনের প্রথম ধাপে বিজয়ীর সংখ্যায় বেশি ছিল বিএনপির। গতবার যারা বিজয়ী হয়েছে তারা এবার নির্বাচন একেবারে ফাঁকা মাঠে ছেড়ে দেবে, আমার তো মনে হয় এটার সম্ভাবনা খুব কম। অনেকেই নির্বাচন করতে চাইবে। বিএনপি নির্বাচনে আসবে না এটা দলীয়ভাবে, অফিসিয়ালি বলেছে। ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের উপনির্বাচনে মেয়র পদে তাদের প্রার্থী নেই। কিন্তু কাউন্সিলর-ইউনিয়ন পর্যায়ে অনেক নেতার প্রার্থিতা রয়েছে।

তিনি বলেন, তারা (বিএনপি) হয়তো ওপেনলি প্রতীকে নেই। তারা একেবারে মাঠে নেই- এ কথা বলা যাবে না। উপজেলা নির্বাচনে তারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দিতে পারে। দিলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। কাজেই আমাদের সবকিছুই মাথায় রাখতে হচ্ছে। ওপেনলি ঘোষণা দিচ্ছে না। তারা (বিএনপি) ভেতরে ভেতরে প্রার্থিতার জন্য মনোনয়ন জমা দিচ্ছে। নির্বাচনে বিএনপি না আসলেও প্রার্থিতার অভাব হবে না। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ার সম্ভাবনা কম। বিএনপি নির্বাচন না করলে অন্যরা করবে না, তা তো নয়। জাতীয় পার্টি আছে, ১৪ দলের শরিকরা আছে।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, নির্বাচনে অংশ নেয়া বিএনপির অধিকার। আমি আওয়ামী লীগের জেনারেল সেক্রেটারি হিসেবে তাদের নির্বাচনে (উপজেলা) আসার আহ্বান জানাতেই পারি। কিন্তু এটা মনে রাখতে হবে এটা তাদের অধিকার। রুলিং পার্টির কোনো সুযোগ বিতরণ নয়৷

বিএনপির আন্দোলনের হুমকি প্রসঙ্গে সেতুমন্ত্রী বলেন, গণআন্দোলন করার মতো ইস্যু তাদের কাছে ছিল, কিন্তু তারা তখন আন্দোলন করতে পারেনি। তাদের দলীয় চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন দেশের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। তিনি যখন গ্রেফতার হলেন তখন তারা জনমনে বিন্দুমাত্র আলোড়ন তুলতে পারেনি। তারা যে আন্দোলন করবে নতুন করে কোনো ইস্যু তাদের সামনে নেই। নতুন সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করেছে। এ মুহূর্তে সরকার তো কোনো ইস্যু দিচ্ছে না তা হলে তারা কীসের উপর ভিত্তি করে আন্দোলন করবে।

এ সময় ঐক্যফ্রন্ট প্রার্থী মনসুরের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘তিনি আওয়ামী লীগে ফিরছেন কি না এটা তার নিজের সিদ্ধান্তের বিষয়। এটা তার নিজস্ব চিন্তা-ধারণা, এটা নিয়ে তার সঙ্গে আমার কোনো কথা হয়নি। আর এ ধরনের কোনো প্রস্তাব আমি দিতে যাব কেন? তারও বিবেক আছে, রাজনীতি করে। কাজেই সে তার বিবেক থেকে এ সিদ্ধান্ত নিতে পারে। আমরা কেন তাকে প্রভাবিত করব?

এবিএন/সাদিক/জসিম

এই বিভাগের আরো সংবাদ