চিত্রপরিচালক আলমগীর কুমকুমের ৭০তম জন্মদিন পালিত
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ২২ জানুয়ারি ২০১৯, ১৭:২৯
বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট কেন্দ্রীয় কমিটির উদ্যোগে আজ মঙ্গলবার সকালে গুলশান কার্যালয়ে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ও স্টিয়ারিং কমিটির সভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য সারাহ বেগম কবরী’র সভাপতিত্বে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাবেক সাংস্কৃতিক সম্পাদক, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, চিত্রপরিচালক আলমগীর কুমকুমের ৭০তম জন্মদিন উপলক্ষে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
শুরুতেই চিত্রপরিচালক আলমগীর কুমকুমের প্রতিকৃতিতে পুস্পমাল্য অর্পণ করা হয় এবং বীরমুক্তিযোদ্ধা সুরকার আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুলের মৃত্যুতের গভীর শোক প্রকাশ করা হয় এবং তাঁর রূহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।
আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের কার্যকরী সভাপতি অভিনেতা এটিএম শামসুজ্জামান, সহ সভাপতি চিত্রনায়িকা ফারহানা আমিন নুতন, রোকেয়া প্রাচী, সাধারণ সম্পাদক অরুন সরকার রানা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অরুনা বিশ্বাস, অভিনেত্রী তারিন, সাংগঠনিক সম্পাদক জেনিফা ফেরদৌস, চিত্রনায়িকা শাহনুর, কন্ঠশিল্পী রফিকুল আলম, এস.ডি রুবেল, মো. মোতাছিম বিল্লাহ, বৃষ্টি রানী সরকার, শাহ আলম, খান টিপু সুলতান, মনিরুজ্জামান অপূর্ব, জোসেফ, দিলীপ সরকার প্রমুখ।
সভাপতির বক্তব্যে সারাহ বেগম কবরী বলেন, আওয়ামী লীগের দুঃসময়ে-দুর্দিনে চিত্রপরিচালক আলমগীর কুমকুমের অবদানের কথা স্মরণ করে বলেন, ১৯৮২ সালে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণ করে এদেশের বুদ্ধিজীবী, কবি, শিল্পী-সাহিত্যিকদের ঐক্যবদ্ধ করে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারের দাবিতে, ইনডেমনিটি অর্ডিন্যান্স বাতিলের দাবিতে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। তিনি ছিলেন বঙ্গবন্ধুর আদর্শের প্রকৃত সৈনিক। আলমগীর কুমকুমের জীবনে কোন চাওয়া-পাওয়া ছিল না। তিনি যা করেছেন বঙ্গবন্ধু, জননেত্রী শেখ হাসিনা, আওয়ামী লীগের জন্যে তিনি নিবেদিত প্রাণ ছিলেন। এমপি হবো, মন্ত্রী হবো এই লোভ-লালসা তার মধ্যে ছিল না।
এটিএম শামসুজ্জামান বলেন, আলমগীর কুমকুমের ছবির শুটিং যখন চলতো আওয়ামী লীগের কোন কর্মসূচি থাকলে তিনি সবকিছু ফেলে দলের কাজে তিনি ছুটে যেতেন। তার কি ক্ষতি হলো তা তিনি কখনো দেখেননি।
অভিনেত্রী তারিন বলেন, আমি ১৯৯৫ সালে যখন কুমকুম ভাইয়ের আমন্ত্রনে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের কর্মসূচিতে যোগ দেই তখন কুমকুম ভাই আমাকে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সদস্য হিসেবে অন্তর্ভূক্ত করেন। তিনি বললেন, খালি অভিনয় করলেই হবে বঙ্গবন্ধু, জননেত্রী শেখ হাসিনা, আওয়ামী লীগের পক্ষে কাজ করতে হবে। একটি শিল্পীর দায়িত্ব রাজনৈতিক সচেতনভাবে কাজ করা। আমি জানি এই জন্য তোমার ক্ষতি হতে পারে। তাতে কি আসে যায়। তুমি দেশ ও জাতির জন্য কাজ করছো এটাই তোমার বড় পাওয়া হবে। আজ যদি কুমকুম ভাই বেঁচে থাকতেন, কতো খুশী হতেন যে, সমস্ত শিল্পীরা রাজপথে নেমে জননেত্রী শেখ হাসিনার জন্য কাজ করছেন এবং তার শিল্পীরা সরাসরি রাজনীতিতে অংশগ্রহণ করছেন।
রোকেয়া প্রাচী বলেন, আমার স্বামীর মৃত্যুর পর কুমকুম ভাই আমাকে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সদস্য করেছিলেন এবং তিনি আমাকে রাজনৈতিকভাবে সচেতন করেছিলেন আওয়ামী লীগ করার জন্য।
কন্ঠশিল্পী রফিকুল আলম বলেন, আলমগীর কুমকুম ভাইয়ের তুলনা হয় না। তিনি আমাদের ছিলেন আপনজন। তার নেতৃত্বে আমরা অনেক ভাল ভাল কাজ করেছি।
অরুনা বিশ্বাস বলেন, কুমকুম ভাই এবং অরুন সরকার রানা হলো আমার রাজনৈতিক গুরু। কুমকুম ভাইয়ের প্রেরণাই আমরা বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের পক্ষে অনেক কাজ করেছি।
এবিএন/রাজ্জাক/জসিম/এআর
এবিএন/রাজ্জাক/জসিম/এআর
এই বিভাগের আরো সংবাদ