আজকের শিরোনাম :

বেগম জিয়া কারাগারে নজিরবিহীন সুবিধা পাচ্ছেন: হাছান

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৪ মে ২০১৮, ১৯:২৬

ঢাকা, ২৪ মে, এবিনিউজ : আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক এবং দলের অন্যতম মুখপাত্র ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া কারাগারে নজিরবিহীন সুযোগ সুবিধা পাচ্ছেন। 

হাছান মাহমুদ বলেন, বেগম খালেদা জিয়া কোন রাজবন্দী নন, তিনি দুর্নীতির দায়ে সাজাপ্রাপ্ত একজন বন্দী। যেখানে কোন রাজবন্দীরাও এতো সুযোগ পায়নি। সেখানে তিনি তার পছন্দনীয় গৃহপরিচারিকা ফাতেমাকে সাথে রাখতে পারছেন, অত্যন্ত পরিপাটি একটি রুমে থাকছেন এবং সেখানে টেলিভিশন, ফ্রিজ, দৈনিক সংবাদপত্র, ব্যক্তিগত চিকিৎসক দ্বারা সার্বক্ষণিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাসহ আধুনিক সব সুযোগ সুবিধা পাচ্ছেন। সুতরাং বেগম খালেদা জিয়া কারাগারে নজিরবিহীন সুযোগ সুবিধা পাচ্ছেন। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে ধানমন্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভী আহমেদের মিথ্যাচার বক্তব্যের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
 
বেগম জিয়াকে পোকামাকড় কামড়াচ্ছে' বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভীর এমন অভিযোগের কড়া সমালোচনা করে তিনি বলেন, বেগম জিয়ার মাথায় কি উকুন হয়েছে কিনা আমরা জানি না এখন সেই উকুনকে রিজভী আহমেদরা যদি পোকামাকড় মনে করেন তাহলে আমাদের কিছুই করার নেই। 
 
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপিকে একটি সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে কানাডার একটি আদালত পুনরায় রায় দিয়েছে। ২০১৩, ১৪, ১৫ সালে বিএনপি জামায়াত যেভাবে অগ্নি সন্ত্রাস চালিয়েছিল তা কানাডার আইন অনুযায়ী টেররিস্ট অ্যাক্টের আওতায় পড়ে। এসময় তিনি সাংবাদিকদের রায়ের অংশ পড়ে শুনান ও বিএনপি জামাতের নৈরাজ্যের চিত্র দেখান। বিএনপি বাংলাদেশে পেট্টোল বোমা নিক্ষেপ করে পাঁচশ' মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করেছে, হাজার হাজার মানুষকে আগুনে ঝলসে দিয়েছে, তারা পাঁচশ' বিরাশিটি স্কুল-ঘর পুড়িয়ে দিয়েছে, ট্রেন লাইন উপড়ে দিয়েছে, লঞ্চে আগুন দিয়েছে। প্রকৃতপক্ষে বিএনপির বর্তমান রাজনীতি হচ্ছে তাদের সুস্থ চেয়ারপার্সনকে কিভাবে জনগণের সামনে অসুস্থ হিসেবে জনগণের সামনে উপস্থাপন করে তারা মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে।
 
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এতদিন ধরে নির্বাচন কমিশনের যে বিধি ছিলো সেটি আওয়ামী লীগের জন্য বৈষম্যমূলক ছিলো।যেখানে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের প্রধানমন্ত্রী, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রীরা নির্বাচনী প্রচারণায় স্থানীয়, জাতীয় কিংবা প্রাদেশিক যে কোন নির্বাচনে তারা অংশগ্রহণ করতে পারে সেখানে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা নির্বাচনী প্রচারণায় অংশগ্রহণ করতে পারে না। এমনকি যে এলাকায় নির্বাচন হচ্ছে সেই এলাকায় তিনি ভোটার হওয়া সত্বেও ঐ এলাকার নির্বাচনী প্রচারণায় অংশগ্রহণ করতে পারবে না। এটি ছিলো নির্বাচন কমিশনের ইতিপূর্বেকার আচরণ বিধি। সুতরাং এই আচরণ বিধির ব্যাপারে আমাদের আপত্তি ছিলো এবং এই আচরণ বিধিটা বৈষম্য মূলক ছিলো এখন সেই বৈষম্যটা কিছুটা কাটবে কিন্তু পুরোপুরি কাটবে না।
 
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এতদিন ধরে নির্বাচন কমিশনের যে বিধি ছিলো সেটি আওয়ামী লীগের জন্য বৈষম্যমূলক ছিলো। যেখানে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের প্রধানমন্ত্রী, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রীরা নির্বাচনী প্রচারণায় স্থানীয়, জাতীয় কিংবা প্রাদেশিক যে কোন নির্বাচনে তারা অংশগ্রহণ করতে পারে সেখানে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা নির্বাচনী প্রচারণায় অংশগ্রহণ করতে পারে না। এমনকি যে এলাকায় নির্বাচন হচ্ছে সেই এলাকায় তিনি ভোটার হওয়া সত্যেও ওই এলাকার নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ গ্রহণ করতে পারবে না। এটি ছিলো নির্বাচন কমিশনের ইতিপূর্বেকার আচরণ বিধি। সুতরাং এই আচরণ বিধির ব্যাপারে আমাদের আপত্তি ছিলো এবং এই আচরণ বিধিটা বৈষম্যমূলক ছিলো এখন সেই বৈষম্যটা কিছুটা কাটবে কিন্তু পুরোপুরি কাটবে না।
 
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগের উপদপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, উপ প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন।


এবিএন/মমিন/জসিম

এই বিভাগের আরো সংবাদ