আজকের শিরোনাম :

‘শামীম ওসমানের ওপেন চ্যালেঞ্জ’

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৮ নভেম্বর ২০১৮, ২১:১৯

নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমান বলেছেন, আমার আগের সকল এমপি মিলে যদি আমার কাজের পঞ্চাশ ভাগ করে থাকে, আমি ইলেকশন করবো না। তাদেরকে বলেন এক মঞ্চে এসে সে হিসেব দিক।  মুখে বললে হবে না।  খাতা কলমে বলতে হবে।

তিনি বলেন, আমি চ্যালেঞ্জ করে বলছি, আমার কাজের ৫০ ভাগের এক ভাগ কাজ যদি আপনারা করে থাকেন, আমি কথা দিলাম ইলেকশন করবো না।

আজ রবিবার দুপুরে কাশিপুর ইউনিয়ণের হালিম সিকদারের বাড়িতে অনুষ্ঠিত ওঠান বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ওই এসব কথা বলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য দোয়া চেয়ে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমান বলেছেন, যে মানুষটি আপনার, আমার এ দেশের মানুষের জন্য এত ত্যাগ স্বীকার করে কাজ করে যাচ্ছেন দোয়া তো তার প্রাপ্য।  আমি দোয়া ভিক্ষা চাই আমার নেত্রীর জন্য। তিনি যেন আপানদের দোয়ার আল্লাহ রসুলের দোয়ায় এবার ফের সরকার গঠন করে এ দেশকে স্বপ্নের দেশে পরিণত করতে পারেন।

তিনি আরও বলেন, আমি সব সময় স্পষ্ট কথা বলি।  আপনারা নিজেরা শুনেছেন খোদ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পাগলায় এক অনুষ্ঠানে বলে গেছেন শামীম ওসমান অত্যন্ত স্পষ্ট কথা বলেন। এ জন্য আমাকে বিভিন্ন সময় ঝামেলায় পড়তে হয়। আসলেই সত্যি করে বলছি সত্য যত ভয়ংকর বা আমার জন্য ক্ষতিকর হোক আমি তা প্রকাশ করতে ভয় পাই না। কারণ আমি একজনকেই ভয় পাই সে আমার সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ। আমি কসম খেয়ে বলছি। আমি আল্লাহ ছাড়া কাউকে ভয় পাই নাই। আর যা কাজ করি সবার আগে আল্লাহকে খুশি করতে করি।

আ’লীগ নেতা বলেন, আপনারা আমার নেত্রীর দিকে তাকিয়ে দেখেন, নিজ পরিবারকে হারিয়ে কত যন্ত্রনা নিয়ে, কত কষ্ট নিয়ে, কত হামলার শিকার হয়ে বাবার দেখা স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তুলতে কাজ করে যাচ্ছেন। আমার নেত্রী প্রতিদিন কোরআন শরীফ পড়েন, তাহাজ্জুদ পড়েন। এ জন্য আল্লাহ তার হাতে এত নেয়ামত দিয়েছেন। সেই নেয়ামতেই আজ বাংলাদেশের সর্বত্র উন্নয়নের মহা কর্মযজ্ঞ চলছে। খোদ দেশ বরণ্যে আলেমরাও নেত্রীকে ‘কওমী জননী’ আখ্যা দিয়েছেন।

শামীম ওসমান বলেন, ইতোমধ্যে বহির্বিশ্ব গত ১০ বছরে বাংলাদেশের উন্নয়ন দেখে বিস্ময় প্রকাশ করেছে। এমন উন্নয়ন শুধু মহান পিতার কন্যা শেখ হাসিনার দ্বারাই সম্ভব। দেশের প্রত্যেকটি জেলাকে তিনি নিজের জেলা মনে করেন। ডিএনডি এলাকার মানুষের দুর্দশরা কথা শুনে এজেন্ডা না থাকা সত্ত্বেও নেত্রী ডিএনডি মানুষের জলাবদ্ধতা লাঘবে প্রায় ৫৬৭ কোটি টাকা বাজেট পাস করিয়ে দিয়েছেন। এ বাজেট লাগলে আরও বাড়বে।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাইফউল্লাহ বাদল, সাধারণ সম্পাদক শওকত আলী, জেলা আওয়ামী লীগের সহ দপ্তর সম্পাদক হাবিবুর রহমান হাবিব, প্যানেল চেয়ারম্যান ও কাশিপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আইয়ূব আলী, ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ও কাশিপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোমেন শিকদার, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সাফায়েত আলম সানি, স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা এম ছাত্তার, যুবলীগ নেতা মো. শ্যামল প্রমুখ।

এবিএন/রাজ্জাক/জসিম/এআর

এই বিভাগের আরো সংবাদ