আজকের শিরোনাম :

অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হওয়ার মত পরিবেশ নেই : কমিউনিস্ট পার্টি

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৬ নভেম্বর ২০১৮, ১৮:৫৭

আজ শুক্রবার (১৬ নভেম্বর) বিকাল ৩ টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী) এর ১১তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী ও রুশ বিপ্লবের ১০১তম বার্ষিকী উপলক্ষে এক আলোচনা সভা ও লাল পতাকা মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।

এতে সভাপতিত্ব করেন পার্টির সাধারণ সম্পাদক ও গণতান্ত্রিক বাম ঐক্যের সমন্বয়ক কমরেড ডা. এম.এ সামাদ।  বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের সাম্যবাদী দলের সম্পাদক কমরেড হারুন চৌধুরী, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির আহ্বায়ক কমরেড আবুল কালাম আজাদ, সোস্যালিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক কমরেড সাহিদুর রহমান, সমাজতান্ত্রিক মজদুর পার্টির সাধারণ সম্পাদক কমরেড ডা. সামছুল আলম, বাংলাদেশের সমতা পার্টির সাধারণ সম্পাদক কমরেড ফরহাদ হোসেন, বাংলাদেশের শ্রমিক পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফেরদৌস আহম্মেদ।

আরো বক্তব্য রাখেন- বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী) কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য কমরেড মোস্তফা আল খালিদ বিন মাহমুদ, কমরেড আব্দুল্লাহ আল মামুন, কমরেড মাসুদুল আলম জয়, কমরেড রফিকুল ইসলাম, কমরেড বাবু, কমরেড সামছুল আলম সরকার প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী)’র তরুণ নেতৃত্ব ইতিমধ্যে রাজনৈতিক মহল ও দেশবাসীর নিকট একটি সুসংগঠিত শক্তিশালী- মেহনতি মানুষের পক্ষের দল হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে।

সভাপতির বক্তব্যে কমরেড ডা. এম.এ সামাদ বলেন, অতীতে কোন দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি, সেই অভিজ্ঞতার আলোকে জনগণ মনে করে আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনও সরকারের পাতানো নির্বাচন, সিট ভাগাভাগি আগেই হয়ে গেছে। এখন শুধু ঘোষণার বাকি আছে। বর্তমান নির্বাচন কমিশন হলো ঠুটো জগন্নাথ সরকারের পক্ষপাতদুষ্ট।  সরকারের এজেন্ড বাস্তবায়নের জন্যই কাজ করছে। সকল বিরোধী দল নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের বিরোধীতা করলেও কোন দলের কথাই কর্ণপাত না করেই নির্বাচন কমিশন ইভিএম ব্যবহার করছে। বিরোধীপক্ষ নির্বাচন পেছানোর দাবি জানালেও নির্বাচন কমিশন সেই দাবির প্রতি ন্যূনতম সম্মান না দেখিয়ে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন নির্বাচন পেছানো সম্ভব নয়। কাজেই সরকারের এই পাতানো নির্বাচনের ফাঁদে পা দেওয়ার আগে রাজনৈতিক দলগুলোর ভেবে দেখা উচিৎ গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও জনগণের ভোটের অধিকার আদায়ের জন্য রাজপথে লড়াইয়ের কোন বিকল্প নেই।  আমরা লড়াই চালিয়ে যাবো।  অতীতে কোন স্বৈরশাসকই জোর করে ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারে নাই বর্তমান শাসকরাও জনতার আন্দোলনের মুখে পরাজিত হবে।

২০০৭ সালের ১৬ই নভেম্বর পার্টি প্রতিষ্ঠার পর থেকে শাসকশ্রেণীর সকল শোষণ ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে দেশের কৃষক শ্রমিক মেহনতি মানুষের দাবি আদায়ের লক্ষ্যে রাজপথে পার্টির সাহসী কমরেডগণ রাজপথে সাহসীকতার সহিত আন্দোলন-সংগ্রাম করে যাচ্ছেন। দেশের মেহনতি, কৃষক-শ্রমিক-ছাত্র-জনতার ভোটের অধিকার, অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, চিকিৎসার অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে বুর্জোয়া শাসকশ্রেণীর বিরুদ্ধে আন্দোলন করে যাবে। দেশের মেহনতি মানুষের সাথে বেঈমানী করে কোন লুটেরা শাসকশ্রেণীর সাথে আপোষ করবে না।

তিনি আরো বলেন, ৪৭ বছর ধরে দেশে যে সরকারই এসেছে তারা দেশের সম্পদ লুটপাট করেছে, পাচার করেছে, ভোটাধিকার ও গণতন্ত্র হরণ করেছে। কাজেই এদেশে সমাজতন্ত্র কায়েম করে মেহনতি মানুষের সরকার কায়েম করতে হবে। সে লক্ষ্যে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী)’র কমরেডগণকে সর্বোচ্চ  ত্যাগ স্বীকার করতে প্রস্তুত থাকতে হবে। তিনি ভবিষ্যতে এ দলকে সারাদেশে মেহনতি মানুষের কাছে পৌঁছানোর লক্ষ্যে কাজ করতে কমরেডদের আহ্বান জানান ও দেশবাসীর কাছে সহযোগিতা কামনা করেন। সমাবেশ শেষে একটি মিছিল জাতীয় প্রেসক্লাব থেকে পল্টন, বায়তুল মুকাররম হয়ে তোপখানা রোডের পার্টি অফিসের সামনে এসে শেষ হয়।

এবিএন/অনি আতিকুর রহমান/জসিম/রাজ্জাক

 এবিএন/রাজ্জাক/জসিম/এআর

এই বিভাগের আরো সংবাদ