বিবিসি বাংলার প্রতিবেদন
সংলাপ নিয়ে এখনই ‘সন্দেহ’ করতে চান না মওদুদ আহমদ
অনলাইন ডেস্কপ্রকাশ: ৩১ অক্টোবর ২০১৮, ১৫:৫৫
আগামীকাল বৃহস্পতিবার গণভবনে আওয়ামী লীগের সঙ্গে সংলাপে বসতে যাচ্ছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতারা।
যদিও মঙ্গলবারই জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়ার সাজা বৃদ্ধির কারণে এ সংলাপের ফলাফল নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন বিএনপি নেতা মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
এর মধ্যেই সংলাপ নিয়ে নিজেদের মধ্যে বৈঠক করেছেন ঐক্য-ফ্রন্টের নেতারা।
তবে বিএনপি নেতা মওদুদ আহমদ বলেছেন, সংলাপের ফলাফল নিয়ে আগে থেকে সন্দেহ পোষণ করা ঠিক হবে না।
তিনি বলেন, ‘আমাদের ধরে নিতে হবে যে সরকারের একটা সদিচ্ছা আছে আলোচনার মাধ্যমে সংকটের সমাধান করার জন্য। সেজন্য আগে থেকে যদি আমরা সন্দেহ করা শুরু করি বা অবিশ্বাস করা শুরু করি, তাহলে তো আমরা ফলপ্রসূ কিছু অর্জন করতে পারবো না।’
মওদুদ আহমদ বলেন, সংলাপে তারা খোলা মনে অংশগ্রহণ করবেন এবং সেখানে তাদের বক্তব্য তুলে ধরবেন। জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সবচেয়ে বড় দল হচ্ছে বিএনপি। বিএনপির কয়েকজন নেতা এরই মধ্যে সংলাপের ভবিষ্যৎ নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন। যারা সংশয় প্রকাশ করেছেন সেটা তাদের ব্যক্তিগত মত হতে পারে। এমনটাই মনে করছেন মওদুদ আহমদ। বলেন, ‘সবার যে একই মত হবে তাতো না। অনেকে মনে করেন, অনেকে বিশ্বাস করতে চাচ্ছেন না। অনেকে মনে করেন সরকার এটাকে ধুম্রজাল সৃষ্টি করার জন্য করেছেন। এ ধরণের মতামত থাকতে পারে।’ তিনি বলেন, ‘এখনই আমি যদি বলেন নিই যে তারা এটা মানবেন না, তা হলে তো আর এ সংলাপের কোন প্রয়োজনই পড়ে না। আমরাই তো সংলাপ আহ্বান করেছি।’ জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট এবং বিএনপির প্রধান দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে খালেদা জিয়ার মুক্তি। বিএনপি নেতারা এখনো বলছেন যে খালেদা জিয়াকে ছাড়া তারা নির্বাচনে যাবেন না। কিন্তু দুর্নীতির দুটি মামলার দণ্ডিত হওয়ার কারণে নির্বাচনে খালেদা জিয়া অংশ নিতে পারবেন কি না সেটি নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। সংলাপের মাধ্যমে খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়ে কোন সুরাহা হবেÑ এ প্রশ্নে মওদুদ আহমদ মনে করেন, সেটি অসম্ভব কোনো বিষয় নয়। সরকার যদি মনে করেন যে বেগম জিয়াকে মুক্তি দেয়া দরকার, জামিনের যে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে রেখেছেন.. এখানে অ্যাটর্নি জেনারেল হাইকোর্টে বা সুপ্রিম কোর্টে জামিনের প্রশ্ন আসলে উনি ওটাকে আপত্তি না করলেই তো হয়ে গেল। বিএনপির এই সিনিয়র নেতা মনে করেন, সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে নির্বাচন পরিচালনার জন্য নির্দলীয় সরকার ফিরিয়ে আনা সম্ভব। কারণ, সংসদের অধিবেশন শেষ হলেও গেলেও ১০ সংসদ এখনো জীবিত আছে। যে কোনো সময় সংসদের অধিবেশন আহবান করতে কোনো আইনগত বাধা নেই বলে উল্লেখ করেন মওদুদ আহমদ। এবিএন/সাদিক/জসিম
মওদুদ আহমদ বলেন, সংলাপে তারা খোলা মনে অংশগ্রহণ করবেন এবং সেখানে তাদের বক্তব্য তুলে ধরবেন। জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সবচেয়ে বড় দল হচ্ছে বিএনপি। বিএনপির কয়েকজন নেতা এরই মধ্যে সংলাপের ভবিষ্যৎ নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন। যারা সংশয় প্রকাশ করেছেন সেটা তাদের ব্যক্তিগত মত হতে পারে। এমনটাই মনে করছেন মওদুদ আহমদ। বলেন, ‘সবার যে একই মত হবে তাতো না। অনেকে মনে করেন, অনেকে বিশ্বাস করতে চাচ্ছেন না। অনেকে মনে করেন সরকার এটাকে ধুম্রজাল সৃষ্টি করার জন্য করেছেন। এ ধরণের মতামত থাকতে পারে।’ তিনি বলেন, ‘এখনই আমি যদি বলেন নিই যে তারা এটা মানবেন না, তা হলে তো আর এ সংলাপের কোন প্রয়োজনই পড়ে না। আমরাই তো সংলাপ আহ্বান করেছি।’ জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট এবং বিএনপির প্রধান দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে খালেদা জিয়ার মুক্তি। বিএনপি নেতারা এখনো বলছেন যে খালেদা জিয়াকে ছাড়া তারা নির্বাচনে যাবেন না। কিন্তু দুর্নীতির দুটি মামলার দণ্ডিত হওয়ার কারণে নির্বাচনে খালেদা জিয়া অংশ নিতে পারবেন কি না সেটি নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। সংলাপের মাধ্যমে খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়ে কোন সুরাহা হবেÑ এ প্রশ্নে মওদুদ আহমদ মনে করেন, সেটি অসম্ভব কোনো বিষয় নয়। সরকার যদি মনে করেন যে বেগম জিয়াকে মুক্তি দেয়া দরকার, জামিনের যে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে রেখেছেন.. এখানে অ্যাটর্নি জেনারেল হাইকোর্টে বা সুপ্রিম কোর্টে জামিনের প্রশ্ন আসলে উনি ওটাকে আপত্তি না করলেই তো হয়ে গেল। বিএনপির এই সিনিয়র নেতা মনে করেন, সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে নির্বাচন পরিচালনার জন্য নির্দলীয় সরকার ফিরিয়ে আনা সম্ভব। কারণ, সংসদের অধিবেশন শেষ হলেও গেলেও ১০ সংসদ এখনো জীবিত আছে। যে কোনো সময় সংসদের অধিবেশন আহবান করতে কোনো আইনগত বাধা নেই বলে উল্লেখ করেন মওদুদ আহমদ। এবিএন/সাদিক/জসিম
এই বিভাগের আরো সংবাদ
