আজকের শিরোনাম :

বিএনপির সংশোধিত গঠনতন্ত্র গ্রহণ না করতে ইসিকে নির্দেশ

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ৩১ অক্টোবর ২০১৮, ১৪:২৩ | আপডেট : ৩১ অক্টোবর ২০১৮, ১৫:০৮

বিএনপির সংশোধিত গঠনতন্ত্র গ্রহণ না করতে ইসির প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

রাজধানীর কাফরুলের বাসিন্দা রিটকারী মোজাম্মেল হোসেনের এক আবেদনের শুনানি নিয়ে আজ বুধবার (৩১ অক্টোবর) বিচারপতি আশফাকুল কামাল ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ অন্তর্র্বতীকালীন নির্দেশ দেন।একইসঙ্গে  আবেদনটি এক মাসের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে ইসিকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। 

এছাড়া দণ্ডিত ব্যক্তিরা পদে থাকতে পারবেন না বলে বিএনপির সংশোধিত  গঠনতন্ত্রের বিধান কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না এবং এটি সংবিধানের ৬৬(২)(ঘ) অনুচ্ছেদের সঙ্গে কেন সাংঘর্ষিক হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। 

৪ সপ্তাহের মধ্যে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিব, প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশনের সচিব, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও মহাসচিবকে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাবেক সদস্য অ্যাডভোকেট মোমতাজ উদ্দিন আহমেদ মেহেদী। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আল আমিন সরকার ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল কে এম মাসুদ রুমী।

পরে সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল কে এম মাসুদ রুমী বলেন, মোজাম্মেল হোসেন নামে একজন বিএনপি কর্মী গতকাল (মঙ্গলবার,৩০ অক্টোবর) ইসিতে একটি আবেদন দিয়ে বলেছেন, বিএনপির সংশোধিত গঠনতন্ত্র গ্রহণ না করতে এবং এই গঠনতন্ত্র গ্রহণ করা হলে বিএনপিতে দুনীর্তিবাজ, অযোগ্য ব্যক্তিরা নেতা হওয়ার সুযোগ পাবেন।

অ্যাডভোকেট মোমতাজ উদ্দিন আহমেদ মেহেদী বলেন, বিএনপির সংশোধিত গঠনতন্ত্রের বিধান সংবিধানের ৬৬(২)(ঘ) অনুচ্ছেদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। কেননা, সংবিধানের এই অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, কোনও ব্যক্তি সংসদের সদস্য নির্বাচিত হওয়ার এবং সংসদ সদস্য থাকবার যোগ্য হবেন না, যদি তিনি নৈতিক স্খলনজনিত কোনও ফৌজদারি অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হয়ে অন্যূন দুই বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হন এবং তার মুক্তি লাভের পর পাঁচ বছরকাল অতিবাহিত না হয়ে থাকে।


উল্লেখ্য, বিএনপি কিছুদিন আগে বিশেষ কাউন্সিলের মাধ্যমে দলটির গঠনতন্ত্রের সাত ধারা সংশোধন করে। এতে, সাত ধারায় উল্লেখিত রাষ্ট্রপতি কর্তৃক দণ্ডিত, দেউলিয়া, উন্মাদ বলে প্রমাণিত, সমাজে দুর্নীতি পরায়ন বা কুখ্যাত বলে পরিচিত ব্যক্তি দলের জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য পদে কিংবা দলের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রার্থী পদের অযোগ্য বলে বিবেচিত হবে-এই কথাগুলো উঠিয়ে দিয়ে ‘প্রধান কর্মকর্তা হিসেবে দলের একজন চেয়ারম্যান থাকবেন। ৩০ বছরের কম বয়স্ক কোনো ব্যক্তি দলের চেয়ারম্যান হতে পারবেন না’-এই অংশটুকু যোগ করেন। পরবর্তী সময়ে তা ইসিতে পাঠান। এ  সংশোধনী গ্রহণ করতেই মোজাম্মেল নামে কাফরুলের ওই কথিত বিএনপি কর্মী মঙ্গলবার ইসিতে আবেদন জানান। একইসঙ্গে ওই দিনই হাইকোর্টে রিট করে নির্বাচন কমিশনে দাখিলকৃত আবেদনটি নিষ্পত্তির নির্দেশনা চান। এছাড়া আবেদনটি নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত বিএনপির সংশোধিত গঠনতন্ত্র গ্রহণ না করতে নির্দেশনা চাইলে আদালত তা মঞ্জুর করে আদেশ দেন।

এবিএন/সাদিক/জসিম

এই বিভাগের আরো সংবাদ