আজকের শিরোনাম :

‘মইনুল হোসেনরা রাজনৈতিকভাবে চরিত্রহীন’

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২০ অক্টোবর ২০১৮, ২১:৩২

ড. কামাল হোসেন, আ স ম রব, মাহমুদুর রহমান মান্না এবং ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনকে রাজনৈতিকভাবে চরিত্রহীন বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক এবং দলের অন্যতম মুখপাত্র ড. হাছান মাহমুদ।

শনিবার জাতীয় শিল্পকলা একাডেমির মহড়া কক্ষে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট ‘শেখ রাসেল এর ৫৪তম জন্মদিন’ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন টেলিভিশনের টকশোতে এক নারী সাংবাদিককে চরিত্রহীন বলার পরিপ্রেক্ষিতে হাছান বলেন, আপনারা আগে নিজেদের চরিত্র ঠিক করে তারপর অন্যদের সমালোচনা করুন। প্রকৃতপক্ষে আপনারা সবাই রাজনৈতিকভাবে চূড়ান্ত চরিত্রহীন।

তিনি বলেন, আ স ম রব বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্র জাসদের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। কিন্তু তাদের সভাপতি মেজর জলিল মারা যাওয়ার আগে বলে গেছেন তারা বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্র সম্পর্কে কোন ধারণা রাখেন না। অর্থাৎ তারা বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্রের কথা বলে জনগণের সাথে যা করেছে সেটা ভাঁওতাবাজি ছাড়া কিছু নয়।

‘‘ড. কামাল হোসেন গণতন্ত্রের চর্চার কথা বলেন কিন্তু তার নিজের দল গণফোরামের ১৮বছর ধরে কোন সম্মেলনই নেই। উনি ১৮বছর কোন সম্মেলন ছাড়াই সভাপতি।

মাহমুদুর রহমান মান্না বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্র থেকে আওয়ামী লীগে এসে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হয়েও দলে স্থির হতে পারেননি। তারপর এক এগারোর কুশীলবদের সাথে হাত মিলিয়ে ছিলেন। অর্থাৎ তারা নিজেদের রাজনীতিতে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত কেউই স্থির থাকতে পারেন নাই।সুতরাং এরা রাজনৈতিকভাবে চরিত্রহীন।’’

সাবেক বন ও পরিবেশ মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ড. কামাল হোসেন কথায় কথায় বলেন তিনি নাকি বঙ্গবন্ধুর একনিষ্ঠ কর্মী ছিলেন। অথচ তিনি আজকে বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারী, শেখ রাসেলের হত্যাকারী, সুকান্ত বাবুর হত্যাকারী এবং ৭৫’এ নারী ও শিশু হত্যাকারীদের ত্রাণকর্তা হিসেবে আবির্ভূত হয়েছেন।

এমনকি তিনি দুর্নীতিমুক্ত সমাজ গঠনের কথা বলেন যাদের নেতৃত্বে বাংলাদেশ পরপর পাঁচবার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে তাদের নেতৃত্ব গ্রহণ করেন এবং দুর্নীতির দায়ে শাস্তি প্রাপ্ত বেগম জিয়ার মুক্তি চান।

হাছান মাহমুদ অভিযোগ করেন, তিনি জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে কথা বলেন অথচ জঙ্গিদের পাশে বসে তিনি সাত দফার দাবি দিয়ে বললেন জঙ্গিবাদ দমন করতে হবে। এটি দেশের জনগণের সাথে মশকরা ও ভাঁওতাবাজি করা ছাড়া অন্য কোন কিছু নয়। বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারী বিএনপি জামাত এবং খন্দকার মোশতাক গং। আজকে তাদের সহযোগী হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে ড. কামাল হোসেন, মাহমুদুর রহমান মান্না, আ স ম রব গং।

এসময় তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেলের স্মৃতির প্রতিও গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন।

আওয়ামী লীগের সমস্ত পর্যায়ের নেতাকর্মীদের অনুরোধ জানিয়ে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, সবাইকে সর্তক দৃষ্টি রাখতে হবে। নির্বাচন সমাগত এবং এই নির্বাচনে আমাদের বিজয় শুধু আওয়ামী লীগের জন্য নয় দেশের জন্য, জনগণের জন্য, অগ্রগতির জন্য প্রয়োজন। সুতরাং সবাইকে অতন্দ্র প্রহরীর মতো ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সজাগ থাকতে হবে।

আয়োজক সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য সারাহ বেগম কবরীর সভাপতিত্বে আরো উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক আকতার হোসেন, শাহবাগ থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি জিএম আতিক, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক অরুণ সরকার রানা প্রমুখ।

এবিএন/মমিন/জসিম

এই বিভাগের আরো সংবাদ