আজকের শিরোনাম :

‘জনবিচ্ছিন্ন নেতাদের ঐক্যে জনগণের কিছু আসে যায় না’

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৮ অক্টোবর ২০১৮, ১১:৩৮ | আপডেট : ১৮ অক্টোবর ২০১৮, ১১:৪৮

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, অ্যালায়েন্সের কাফেলা প্রতিদিনই গড়ছে-ভাঙছে সমীকরণ চলছে। এখন ২০০১ সাল কিংবা ২০১৪ না। বাংলাদেশের জনগণ আস্থাশীল। জনবিচ্ছিন্ন নেতাদের ঐক্যে বাংলাদেশের জনগণের কিছু আসে যায় না। এ কারণে কোনো শঙ্কা নেই।

আজ বৃহস্পতিবার সকালে বনানী কবরস্থানে শেখ রাসেলের জন্মদিন উপলক্ষে ১৫ জন শহীদের স্মরণে ফুলেল শ্রদ্ধা, ফাতেহা পাঠ ও দোয়া মাহফিল শেষে তিনি এসব কথা বলেন।

নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগে জোটে নতুন কোনো দল আসবে কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ইতোমধ্যে আমার সঙ্গে জাকের পার্টি দেখা করেছে। ৭-দলীয় একটা বাম জোট অফিসে এসে একটা আবেদন রেখে গেছে, তারা আওয়ামী লীগের সঙ্গে কাজ করতে চায়। বাহাদুর শাহের ইসলামী ফ্রন্টও আওয়ামী লীগের সঙ্গে নির্বাচনী ঐক্যে শামিল হতে চান। প্রতিদিনই দু-একটা আবেদন কিংবা দেখা করে তাদের আগ্রহের কথা প্রকাশ করছেন। তবে আমরা এ বিষয়ে এখনো মুখ খুলছি না, সবার কথা শুনছি। আমাদের নেত্রী দেশে ফিরে এলে আমাদের কার্যনির্বাহী মিটিং এ বিষয় নিয়ে সিদ্ধান্ত হবে কাকে আমরা জোটে নেব, কাকে নেব না।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের ১৪ দলীয় জোট রয়েছে। আবার জাতীয় পার্টিও রয়েছে, জাতীয় পার্টি আগে আমাদের সঙ্গে মহাজোট করেছিল। সবাইকে নিয়ে একটা নির্বাচনী মহাজোট হতে পারে, তবে সেটা নির্ভর করছে বাস্তব পরিস্থিতি ও মেরুকরণের ওপর। আমরা জোটের পরিসর বাড়াবো কি বাড়াবো না, অথবা আমরা জোটবদ্ধ নির্বাচন করবো কিনা সেটা নিয়ে আরও কয়েকদিন পরে সিদ্ধান্ত নেবো।’

বিকল্পধারা ও এলডিপি আপনাদের জোটে আসার সম্ভবনা রয়েছে কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘অলি আহমেদ সাহেবের সঙ্গে আমার কথা হয়েছিল, কিন্তু তিনি আমাদের সঙ্গে নির্বাচন করতে চান- এমন কোনো অভিপ্রায় তিনি ব্যক্ত করেননি। বদরুদ্দোজা সাহেবের যুক্তফ্রন্ট নিজেরাই বোধহয় জোট করার চিন্তাভাবনা করছে বলে জানি। ভালোই তো ১৪টা জোট হয়েছে, ২০-২৫টা হলে অসুবিধা কি? এটা তো গণতন্ত্র। শতফুল ফুটতে থাকুক।’

তিনি বলেন, ‘শহীদ শেখ রাসেলের আজকে জন্মদিবস, মৃত্যূর বেদনা সেই জন্মদিবসকে ছাপিয়ে যায়। আমাদের শপথ হবে বাংলাদেশের রাজনীতি থেকে হত্যা, সন্ত্রাস ও খুনের রাজনীতিকে নির্মূল করা। হত্যা, সন্ত্রাস ও খুনের রাজনীতি চিরতরে বন্ধ করতে হবে, এটাই আমাদের অঙ্গীকার।’

এ সময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আবদুল মতিন খসরু, সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হক শামীম, দফতর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, কৃষি ও সমবায় সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক আব্দুস সবুর, কার্যনির্বাহী সদস্য আখতারুজ্জামান, এসএম কামাল হোসেন প্রমুখ।

এবিএন/সাদিক/জসিম

এই বিভাগের আরো সংবাদ