আজকের শিরোনাম :

প্রধানমন্ত্রী মিথ্যাচার করছেন: রিজভী

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১৪:২৫

প্রধানমন্ত্রী বিদেশে মিথ্যাচার করছেন বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী।

আজ বৃহস্পতিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নয়া পল্টনে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।

এর আগে, গতকাল বুধবার (২৬ সেপ্টেম্বর) নিউইয়র্কে ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সব দলের অংশগ্রহণে বাংলাদেশে আগামী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের আয়োজন করছে সরকার।

এ প্রসঙ্গে রিজভী বলেন, ‘তার (প্রধানমন্ত্রী) এই বক্তব্য সম্পূর্ণভাবে মিথ্যা। কারণ, এখনও পর্যন্ত আগামী জাতীয় নির্বাচন নিয়ে সরকারের সব পদক্ষেপ একতরফা নির্বাচনেরই আলামত।’ তিনি বলেন, ‘কিন্তু এবার আর একতরফা নির্বাচন করার সুযোগ পাবেন না প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।’

তিনি বলেন, “বিশ্বাসযোগ্যতা হারিয়ে ফেলা সরকার গুম, বেআইনি হত্যা, নির্দোষ মানুষদের গ্রেফতার ও মামলা দিয়ে হয়রানির কোনো কিছুই বাদ দিচ্ছে না। এরা মানুষের মানবাধিকারকে পায়ে দলতে যে দ্বিধা করে না, তার বহু তথ্য সাবেক প্রধান বিচারপতির লেখা বই থেকে পাওয়া যাচ্ছে। সাগর-রুনী হত্যার এখনও কূল-কিনারা করতে পারেনি। অথচ গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে— এস কে সিনহা একটি সাক্ষাৎকারে বলেছেন, সাগর-রুনী হত্যার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী জানেন। আসলে অনাচারের ‘প্যান্ডোরার বাক্স’ খুলে যাওয়াতে সরকার এখন দিশেহারা।

বিএনপির জ্যেষ্ঠ এই নেতা বলেন, সরকার ক্ষমতার উন্মাদনার মধ্যে থাকতে চায়। এজন্য যখন যেটা প্রয়োজন, অর্থাৎ গুম, খুন থেকে শুরু করে মিথ্যা মামলায় বিরোধী নেতাদের ফাঁসাতে দ্বিধা করছে না। কারণ রাষ্ট্রযন্ত্র তাদের হাতের মুঠোয়। আর এই রাষ্ট্রযন্ত্রকে দিয়েই বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে বোমা হামলার মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে বিরোধী দল ও মতকে নির্মূলের চূড়ান্ত সীমায় উপনীত হয়েছে।”

তিনি বলেন, ‘শত চেষ্টা করেও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে ২১ আগস্ট বোমা হামলা মামলায় জড়াতে পারেনি বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর আন্দোলনের ফসলরা। তাদের সময় আদালত চার্জশিট অ্যাকসেপ্ট করে ৬১ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য নেওয়া হয়। কেউ তারেক রহমানের কথা বলেনি। কিন্তু আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর শেখ হাসিনার মনপছন্দ কাহার আকন্দ কেরামতি দেখাতে শুরু করে মামলাটি পুনঃতদন্তের নামে বিচারিক আদালত থেকে ফিরিয়ে এনে এক নজীরবিহীন দৃষ্টান্ত স্থাপন করে। উদ্দেশ্য একটাই— তারেক রহমানকে মামলায় জড়ানো।’

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ‘গতকাল সারাদেশে মোট সাতটি মামলায় ১৪৪০ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত আরও পাঁচ শতাধিক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে গায়েবি মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। রংপুর ও মেহেরপুর থেকে বিএনপির ১৬ জন নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আমি দলের পক্ষ থেকে গ্রেফতার হওয়া নেতাকর্মীদের অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তি ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের জোর দাবি জানাচ্ছি।’

তিনি আরো বলেন, ‘বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামালের বাসভবনে গোয়েন্দা পুলিশ হানা দিয়েছে। গত পরশু রাতে বিএনপির স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপুর বাসভবনে পুলিশ হানা দিয়ে তার ছোট ভাই ও বোনসহ দুই ভাতিজাকে গ্রেফতারের হুমকি দিয়েছে। আমি পুলিশের এই ন্যাক্কারজনক ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। ’

সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এ জে এম জাহিদ হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, সহসাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, সহদফতর সম্পাদক মুহাম্মদ মুনির হোসেনসহ অনেকে। 

এবিএন/শাও/জসিম/এমসি

এই বিভাগের আরো সংবাদ