আজকের শিরোনাম :

স্বাধীনতাবিরোধীর সন্তানরা সরকারি চাকরি পাবে না: শাজাহান খান

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৭ মে ২০১৮, ১৯:১১

চট্টগ্রাম, ১৭ মে, এবিনিউজ : নৌ পরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান বলেছেন উন্নয়ন নির্ভর করে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, অবকাঠামো উন্নয়ন ও দেশপ্রেমের ওপর। স্বাধীনতাবিরোধীর সন্তানরা সরকারি চাকরি পাবে না। তাদের দেশপ্রেম নেই।

আজ বৃহস্পতিবার সকালে চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনালের (এনসিটি) ৫ নম্বর জেটিতে চট্টগ্রাম বন্দরে রেলমাউন্টেন্ড গ্যান্ট্রি ক্রেন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

তিনি আরো বলেন, ষড়যন্ত্রকারীরা কোটা আন্দোলনের নামে ছাত্রদের আন্দোলনে নামিয়ে দিলো। আমি রাজাকার লিখে ঔর্ধত্য প্রকাশ আন্দোলন নয়। ২০০৪ সালে ছাত্রশিবির কোটাবিরোধী আন্দোলন শুরু করেছিল। কোটা আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারীরা সাধারণ ছাত্রদের বিভ্রান্ত করছে।

মন্ত্রী বলেন, বে টার্মিনাল ও পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনাল (পিসিটি) ২০২০ সালে অপারেশনে যাবে বলে। চট্টগ্রাম বন্দরে জাহাজ জট, কন্টেইনার জট ও ইক্যুইপমেন্ট সংকট নিয়ে অনেক সমালোচনার মুখোমুখি হতে হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে সব সংকট কাটিয়ে উঠেছি।
তিনি আরো বলেন, বিশ্বের ১০০ কনটেইনার বন্দরের মধ্যে চট্টগ্রাম বন্দর এখন ৭১ নম্বরে উন্নীত হয়েছে। আগামীতে ১০ নম্বরের মধ্যে আসতে চাই। যেসব জাহাজ জেটিতে অবস্থান করে তাদের ইঞ্জিন চালিয়ে রাখতে হয়। আমরা সেসব জাহাজে বিদ্যুৎ সরবরাহের উদ্যোগ নিচ্ছি। তাহলে বায়ুদূষণ হবে না।

এসময় মন্ত্রী বন্দরের আরও নয়টি ইক্যুইপমেন্ট, রিভারমুরিং জেটি-৩ এবং নিরাপত্তা ভবন উদ্বোধন করেন।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বন্দর চেয়ারম্যান কমডোর জুলফিকার আজিজ। এসময় চিটাগাং চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর নতুন মাইলফলক অর্জন করেছে আজ। বন্দর এখন ২৪ লাখ কনটেইনার হ্যান্ডেল করছে। এ বন্দর দেশের অর্থনীতির হৃদপিন্ড। বন্দরের চাকা ঘুরলে দেশের অর্থনীতির চাকা ঘুরবে।

তিনি বলেন, মন্ত্রী দায়িত্ব নেওয়ার সময় দুটি গ্যান্ট্রি ক্রেন ছিল। এর মধ্যে একটি ছিল নষ্ট। এখন অনেক গ্যান্ট্রি ক্রেন যুক্ত হয়েছে। আগস্টে আরও আসছে।

চেম্বার সভাপতি বলেন, কর্ণফুলী বাঁচলে বন্দর বাঁচবে। অনতি বিলম্বে ড্রেজিং শুরু করতে হবে। আমি একটি মাদার ভ্যাসেল এনেছি। ৪ লাখ ৮০ হাজার ডলার ডেমারেজ দিতে হচ্ছে। জেটি ও লাইটার জাহাজ সংকট নিরসন করতে হবে। বে টার্মিনালের কাজ শুরু করতে হবে। এটি হলে চট্টগ্রাম বন্দরকে পেছনে ফিরে তাকাতে হবে না।

এসময় উপস্থিত ছিলেন বন্দরের সদস্য মো. জাফর আলম, কমডোর খন্দকার আকতার হোসেন, কমডোর শাহিন রহমান, কামরুল আমিন, নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব তারিকুল ইসলাম, সাইফ পাওয়ারটেকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তরফদার মো. রুহুল আমিন, বিকডার সভাপতি নুরুল কাইয়ুম খান, সিআন্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি একেএম আকতার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক আলতাফ হোসেন বাচ্চু, জুনিয়র চেম্বারের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি নিয়াজ মোরশেদ এলিট, সভাপতি গিয়াস উদ্দিন প্রমুখ।

এবিএন/রাজীব সেন প্রিন্স/জসিম/এমসি

এই বিভাগের আরো সংবাদ