দেশব্যাপী চলমান পাইকারী মামলায় গ্রেপ্তার সোহেল: রিজভী

বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি’র সভাপতি হাবিব উন নবী খান সোহেলকে আজ সন্ধ্যা ৭টা ২৫ মিনিটে গুলশান থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। দেশব্যাপী চলমান পাইকারী মামলা-হামলা-গ্রেফতারের ধারাবাহিকতায় হাবিব উন নবী খান সোহেলকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ।

তিনি আজ ১৮ সেপ্টেম্বর (মঙ্গলবার) রাত ৯টায় রাজধানীর নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন।

রিজভী বলেন, আওয়ামী মহাজোট সরকার এখন পতনের ভয়ে শঙ্কিত ও আতঙ্কিত। অবৈধ সরকারের নির্মমতায় জনগণ ফুঁসে উঠেছে। সরকার প্রস্থানপথ খোঁজার জন্যই সারাদেশ নি:শব্দ করে কারাগারগুলোতে ঠেসে ঢোকানো হচ্ছে বিরোধী নেতাকর্মীদের। সারাদেশের কারাগারগুলো রাজবন্দীদের ভিড়ে উপচে পড়ছে। সরকার টিকে থাকতে কোথাও থেকে কোনও বার্তা পাচ্ছে না।

তিনি বলেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি হাবিব উন নবী খান সোহেল  বিএনপি’র একজন গুরুত্বপূর্ণ নেতা। ছাত্র রাজনীতি শেষ করার পরে সে ক্রমান্বয়ে বর্তমান অবস্থানে থেকে রাজনীতি করছে। একজন সজ্জন, মৃদুভাষী রাজনীতি হওয়ার পরও শুধুমাত্র সক্রিয়ভাবে জাতীয়তাবাদী রাজনীতি ও গণতান্ত্রিক সংগ্রামে অংশগ্রহণ করার জন্য তার বিরুদ্ধে শত শত মিথ্যা ও বানোয়াট মামলা দায়ের করা হয়েছে বিগত কয়েক বছরে।

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, বেশ কিছু মামলায় জামিনের পরে কারাগার থেকে বেরিয়ে আসার পরও গত আট মাসে তার বিরুদ্ধে সত্তর থেকে আশিটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। ইতিমধ্যে কয়েক দফা তার বাসায় পুলিশ হানা দিয়ে বাড়িঘর তছনছ করে দিয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আমি দলের পক্ষ থেকে হাবিব উন নবী খান সোহেলকে গ্রেফতারের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। অবিলম্বে তার বিরুদ্ধে দায়েরকৃত সকল মিথ্যা ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বানোয়াট মামলা প্রত্যাহারসহ নি:শর্ত মুক্তির জোর দাবি করছি।

সংবাদ সম্মেলনে এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় নেতা তাইফুল ইসলাম টিপু, আমিনুল ইসলাম প্রমুখ । 

এবিএন/শাও/জসিম/এমসি