আজকের শিরোনাম :

সামনে কঠোর আন্দোলন হবে: নজরুল ইসলাম খান

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ২১:১৯

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বলেছেন, সামনে কঠোর আন্দোলন হবে। প্রস্তুতি নিতে হবে। আন্দোলন সংগ্রাম সামনে আসছে। তখন যেন সেই সংগ্রামে সক্রিয় ভাবে অংশ নিতে পারেন সেজন্য প্রস্তুতি নিন। আপাতত সাবধানে থাকেন, গ্রেফতার এড়িয়ে চালুন। ধরা পড়বেন না, সাবধানে থাকেন। 
 
রাজধানীর সেগুনবাগিচায় অবস্থিত ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনী মিলনায়তনে গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও তার বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাসের মুক্তি ও চিকিৎসার দাবিতে প্রতিবাদ সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি। সভার আয়োজন করে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদলের সাবেক নেতারা। 
 
আয়োজন সংগঠনের নেতা মামুন অর রশিদ শান্ত’র সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান,চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, বিএনপির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক শহীদুল ইসলাম বাবুল, সরদার মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির, ছাত্রদলের সহ-সভাপতি নাজমুল হাসান, এজমল হোসেন পাইলট, জিয়া নাগরিক ফোরামের সভাপতি মিয়া মোহাম্মাদ আনোয়ার, দেশ বাচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম রিপন।
 
নজরুল ইসলাম খান নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ করে বলেন, দেশের মানুষ গত প্রায় ১০ বছরে যেভাবে নির্যাতিত, অত্যাচারিত, বঞ্চিত হয়েছে তাতে তাদের মধ্যে একটা ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। বিরাট পরিমাণের বারুদের স্তূপ কারো কোনো ক্ষতি করতে পারে না, যে পর্যন্ত না তাতে আগুনের স্ফুলিঙ্গ নিক্ষেপ করা হয়। আজকে বাংলেদশের বিপুল সংখ্যক মানুষের অন্তরে বারুদের স্তূপ জমেছে, বিস্ফোরিত হওয়ার অপেক্ষায়। সেটা কখন কিভাবে বিস্ফোরিত হবে বা করা যাবে এটা সময়ই বলে দিবে। আপনারা হতাশ হবেন না, নিরাশ হবেন না। এটা মনে করার কোনো কারণ নাই যে বিএনপি দুর্বল হয়ে গেছে, আর কিছু করতে পারবে না।
 
নজরুল ইসলাম বলেন, পরিবেশ দূষণে দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি মানুষ মারা যাচ্ছে। গত ১০ বছরে রাজনৈতিক দূষণে যে পরিমাণ মানুষ বাংলাদেশে মারা গেছে, তার পরিসংখ্যান করা হলে বিশ্বের এক নম্বর হবে এই দেশ। সবাই আগামী নির্বাচনের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডের কথা বলছে বলেও উল্লেখ করে তিনি বলেন, আপনারা ( সরকার) এমপি থেকে নির্বাচন করবেন আর আমরা এমপি না হয়ে ইলেকশন করবো, এটা লেভেল প্লেয়িইং ফিল্ড হলো নাকি? কাজেই সংসদ ভেঙে দিতে হবে। নির্দলীয় সরকার গঠন করতে হবে। নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন করতে হবে। নির্বাচনে শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য সেনা মোতায়েন করতে হবে।

এবিএন/মমিন/জসিম

এই বিভাগের আরো সংবাদ