আজকের শিরোনাম :

জাতীয় ঐক্যে ক্ষমতাসীনদের মাথা নষ্ট হয়ে গেছে: মোশাররফ

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১৮:৪৮

বিরোধী দলগুলোর জাতীয় ঐক্যে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও দলটির শীর্ষ নেতাদের মাথা খারাপ হয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। তিনি বলেন,যে কারণে তারা গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জাতীয় ঐক্য-বিরোধী কথাবার্তা বলছেন।

আজ শুক্রবার (৭ সেপ্টম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে নাগরিক অধিকার আন্দোলন ফোরামের আয়োজনে ‘ষড়যন্ত্রের রাজনীতির অবসান এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে জাতীয় ঐক্যের প্রয়োজনীয়তা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় একথা বলেন তিনি।

আওয়ামী লীগ ছাড়া জাতীয় ঐক্য হাস্যকর, সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্যের সমালোচনা করে খন্দকার মোশাররফ বলেন, ‘যারা গণতন্ত্র বাক্স বন্দি করেছে, তাদের নিয়ে কী গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের ঐক্য সম্ভব? এ কারণেই জাতীয় ঐক্যে আওয়ামী লীগের থাকার কোনও সুযোগ নেই। বরং এই ঐক্য তাদের বিরুদ্ধেই।'

তিনি বলেন, ‘সরকার আইন সংবিধান উপেক্ষা করে হিংসার রাজনীতি চরিতার্থ করতেই খালেদা জিয়াকে কারাগারে পাঠিয়েছে। তাকে চিকিৎসা না দিয়ে খারাপ অবস্থার দিকে ঠেলে দিচ্ছে। এখন বিচারের নামে তাকে আরও সাজা দিতে কারাগারে আদালত বসিয়েছে।’

খালেদা জিয়া মানসিকভাবে শক্তিশালী আছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়ার মানসিক শক্তি খর্ব করতে না পেরে তাকে শারীরিকভাবে দুর্বল করার চক্রান্ত চলছে। দলীয় নের্তৃবৃন্দ ও পরিবারের সঙ্গেও তাকে দেখা করতে দেয়া হচ্ছে না।যা ইচ্ছে, যতোদিন ইচ্ছে সাজা দিন। কিন্তু তিনি মানসিকভাবে দুর্বল হবেন না।’  

খালেদা জিয়ার শারীরিক অসুস্থতা আরও গুরুতর করতেই ষড়যন্ত্র চলছে মন্তব্য করে সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, ‘খালেদা জিয়া ও বিএনপিকে জাতীয় নির্বাচনের বাইরে রাখতেই সব ধরনের ষড়যন্ত্র চলছে। ভোটবিহীন সরকারের হাত থেকে জনগণ মুক্তি চায়। একটি অংশগ্রহণমূলক ও অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে এ বাকশালী সরকারের অবসান চায় দেশের জনগণ। প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলোও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন দেখতে চায়।’

খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যগত ঝুঁকি বন্ধে তার সুচিকিৎসা নিশ্চিত করার দাবি জানান তিনি।

বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির এ সদস্য আরও বলেন, ‘জনগণ এই সরকারকে আর দেখতে চায় না। কোমলমতি শিশুরা রাস্তায় নেমে রায় দিয়েছে যে, তারা রাষ্ট্রের মেরামত চায়। গণতন্ত্রকে মুক্ত করতে হলে গণতন্ত্রের নেত্রীকে মুক্ত করতে হবে। সরকারকে পদত্যাগ করে নিরপেক্ষ ও নির্দলীয় সরকার গঠন করতে হবে।’

নির্বাচন কমিশনের সমালোচনা করে খন্দকার মোশাররফ বলেন, ‘এই নির্বাচন কমিশনের মেরামত করতে হবে। নির্বাচন কমিশনের যা বলা ও করার কথা, তা সরকার ও আওয়ামী লীগ নেতারা করছেন। আগামী নির্বাচনে সংসদ ভেঙ্গে দিয়ে নিরপেক্ষ সরকার গঠন করতে হবে। জাতীয় ঐক্যের পাশাপাশি সকল দলের মধ্যে নীতিগত ঐক্য গঠিত হয়েছে। ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনেই সরকারকে হটানো হবে।’

কারাগারে আদালত বসিয়ে বিচার প্রক্রিয়া সম্পর্কে খন্দকার মোশাররফ বলেন, ‘এটা প্রকাশ্য বিচার নয়। সিআরপিসির বিধান অনুযায়ী বিচার হতে হবে, উন্মুক্ত। তারা আইনের বাধ্যবাধকতা নিয়ে কথা বলেন না। প্রধানমন্ত্রী বললেন, কারাগারের গেট নাকি খোলা ছিল। আবার জিয়াউর রহমান নাকি কারাগারেই আদালত বসিয়ে বিচার করেছিলেন। আর কত মিথ্যাচার করবেন আপনারা।’

আগামী নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হলে আওয়ামী লীগ ৩০ আসনের বেশি পাবে না মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘গোয়েন্দাদের রিপোর্ট পাবার পর ক্ষমতাসীনদের মাথা খারাপ হয়েছে। সরকার এখন আতঙ্কে। যে কারণে বিরোধীদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে বাঁচার চেষ্টা চলেছে।’

আয়োজক সংগঠনের উপদেষ্টা সাঈদ আহমেদ আসলামের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক এম জাহাঙ্গীরের সঞ্চালনায় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির ভাইস চেয়াম্যান সেলিনা রহমান, বিএনপি নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মো. রহমতুল্লাহ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সহ সভাপতি ফরিদ উদ্দিন প্রমুখ।

এবিএন/মমিন/জসিম

এই বিভাগের আরো সংবাদ