আজকের শিরোনাম :

জাতিকে ধ্বংস করার জন্যই অটো পাস : ডা. জাফরুল্লাহ

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৪ অক্টোবর ২০২০, ১৯:০২

করোনার অজুহাতে অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে অটো পাসের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। 

জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে আজ শনিবার এডুকেশন রিফর্ম ইনিশিয়েটিভ আয়োজিত ‘করোনাকালীন পরীক্ষায় অটো পাস : শিক্ষার বর্তমান ও ভবিষ্যৎ’ শীর্ষক এক গোলটেবিল বৈঠকে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, জাতিকে ধ্বংস করার জন্যই অটো পাস। পরীক্ষা বাতিলে করোনার কারণটা একেবারেই অজুহাত। গার্মেন্টস চলছে, অফিস-আদালত চলছে। দেখে বোঝার কোনো কায়দা নেই, এখানে করোনার প্রভাব আছে। তাই স্কুল-কলেজ বন্ধ রাখার কোনোভাবেই সুযোগ নেই। এটা জাতিকে ধ্বংস করে দেওয়ার একটা অজুহাত। এই সরকার অটো পাসের সরকার।

ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, ‘আমরা একটা কল্যাণকর বাংলাদেশ চাচ্ছি, যেখানে পরীক্ষা দিয়েই সবকিছুতে উত্তীর্ণ হতে হবে। আগের দিনের রাজনৈতিক কর্মীরা পরীক্ষা দিয়েই ধাপে ধাপে উপরে আসতেন। এখন তো তা না, তাদের বসিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এই পরিবর্তন না হলে কিছু হবে না। এই পরিবর্তন করা আমি মনে করি খুব কঠিন কাজ না।’

জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘আজকে যদি একটা সত্যিকার অর্থে গণতান্ত্রিক সরকার থাকত, তাহলে মাথা উঁচু করে বলতে পারি— আগামী ১৫ দিনে ওষুধের মূল্য অর্ধেক হয়ে যাবে। স্বাস্থ্য খাতের সব খরচ অর্ধেক হয়ে যাবে। ব্যবসায়ীদের পর্যাপ্ত লাভ দিয়ে এটা করা সম্ভব। ডাকাতি করে নয়। বর্তমানে ব্যবসায়ীরা যেটা করছেন, সেটা ডাকাতি।’

নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘যারা অটো পাস দিয়েছে, তারা বলে ইংল্যান্ড-ইউরোপ দিয়েছে, তাহলে আমরা দিলে সমস্যা কী। ডেফিনেটলি, যেখানে সরকারই অটো পাসের সেখানে শিক্ষার্থীদের দিলে ক্ষতি কী?’

মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, শিক্ষার্থীরা সবাই মিলে যদি মনে করে অটোপ্রমোশন একটা লজ্জার বিষয়, এই সার্টিফিকেট সামনের দিনে লজ্জার কারণ হয়ে দাঁড়াবে, তাহলে ছাত্ররা এটার বিরুদ্ধে এখনই আন্দোলন করতে পারে। এই সরকার শুধু গায়ের জোরে ক্ষমতায় আছে তাই কিন্তু নয়। এরা শয়তানি বুদ্ধিতে যেকোনো রাজনৈতিক দলের চাইতে, যেকোনো রাজনৈতিক নেতৃত্বের চাইতে বেশি। ওরা নিজেদের স্বার্থে নিজেদের লোককে গুলি করে দিতে এতটুকু কার্পণ্য করবে না।

গোলটেবিল বৈঠকে উপস্থিত সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ড. এহছানুল হক মিলন বলেন, ‘কোনো অবস্থাতেই অটো পাস দিয়ে এই জাতিকে আর ধ্বংস করতে দেওয়া যাবে না। সরকার অটো পাসে আসতে পারে, সংসদ সদস্য অটো পাসে আসতে পারে। কিন্তু শিক্ষায় অটো পাস দেওয়া যাবে না। ৭২-এর গ্লানি মুছতে না মুছতেই আবার করোনার সময় এসে অটো পাস হবে, সেটাও আমরা মেনে নিতে পারছি না।’

মিলন বলেন, করোনায় আক্রান্ত হয়েছে পুরো বিশ্বই। বিশ্বের অন্যান্য দেশে কীভাবে শিক্ষাগুলো নিয়ে কাজ করেছে, সেগুলো আমরা অনুসরণ করলে পারতাম। কিন্তু আমরা তা করিনি। জাতিকে ধ্বংস করে দেওয়ার অধিকার এই সরকারের নেই। এজন্যই বলব, অবৈধ সরকারের অবৈধ সিদ্ধান্ত এ জাতি মানে না, মানবে না।

গোলটেবিল বৈঠকে আরো উপস্থিত ছিলেন সাবেক উপমন্ত্রী অ্যাডভোকেট রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান ড. এ বি এম ওবায়দুল ইসলাম প্রমুখ।

এবিএন/মমিন/জসিম

এই বিভাগের আরো সংবাদ