আজকের শিরোনাম :

প্রতিবাদে চলমান আন্দোলনে শিক্ষার্থীরা পাশে পাচ্ছেন মায়েদের

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০১ আগস্ট ২০১৮, ১৮:১০

ঢাকা, ০১ আগস্ট, এবিনিউজ : বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় বাসের চাপায় রোববার দুপুরের দিকে দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যুর প্রতিবাদে রাস্তায় বিক্ষোভ করছে বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষার্থীরা। এদিকে এই বিক্ষোভে সমর্থন জানিয়েছে শিক্ষার্থীদের অভিভাবকসহ বিভিন্ন স্তরের মানুষ। বিশেষ করে শিক্ষার্থীদের মায়েরা সমর্থন জানিয়েছে তাদের এ আন্দোলনকে।

সেলিনা মোমেন নামে একজন নারী বলছেন "আন্দোলন চলুক। সব রাস্তা বন্ধ হয়ে যাক"। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেছেন, "বন্ধ করে দে ঢাকাকে। তোদের নিরাপত্তা না দিতে পারলে এই সরকার আমি চাই না।"

স্কুলের শিক্ষার্থীদের এ ধরণের ব্যাপক মাত্রায় বিক্ষোভ সচরাচর দেখা যায় না। তবে ঐ দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যুর প্রতিবাদে রাস্তায় বিক্ষোভ করার সময় গতকাল মঙ্গলবার ছাত্র-ছাত্রীরা ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে এবং স্কুলের এলাকায় বিক্ষোভ করে।

পরে ঢাকায় কয়েক রুটের যানবাহন চলাচল ব্যাহত হয়। এর এক পর্যায়ে পুলিশ লাঠিচার্জ করলে কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হয়।

সেসব ছবি বিভিন্ন গণমাধ্যমে উঠে আসে, সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলোতে ব্যাপক সমালোচনা হতে থাকে স্কুলের শিক্ষার্থীদের উপর এধরনের লাঠি চার্জের ঘটনায়।

সাবিনা সাবি নামে আরো একজন নারী বলেছেন, "আমাদের বাচ্চাদের নিরাপত্তা নিয়ে যখন প্রশ্ন তখন একজন মা হয়েই কথাটা বললাম। আমাদের মানবিকতার উন্নয়ন হোক। এটা একটা মায়ের দাবী।"

এদিকে আজ বুধবারেও ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষোভের খবর পাওয়া যাচ্ছে। বিমানবন্দর রোডে, উত্তরা, ফার্মগেট, শনির আখড়া, বাংলা মোটর থেকে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করছে।

সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকে ফারহানা হক নামে আরেকজন মা বলছেন "সকাল হলেই ভয় হয়, কেন জানেন? বাচ্চা স্কুলে যাবে তো"।

তিনি বলছিলেন, ঘুম আসে না এটা ভেবে যে, ছেলে কে কি কাল স্কুলে দিব, আমরা কেউ নিরাপদ না।

কেয়া খানম নামে আরেকজন মা লিখেছেন, "আমরা নিরাপদ সড়ক চাই। কারণ আমাদের সন্তান রাস্তায় বের হলে যেন নিশ্চিন্তে থাকতে পারি যে আমার রান্না করা ভাত আমার সন্তান স্কুল থেকে ফিরে এসে খাবে।"

গতকাল রাস্তায় বেশ কিছু বাস ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। ফলে যাত্রীদের ভোগান্তি ছিল চরমে উঠে। আজকেও রাস্তায় বাস চলাচল সীমিত রয়েছে বলে সংবাদদাতারা জানাচ্ছেন।

বিলকিস ওয়াজি ঝিনুক নামে একজন মা বলছেন, তারও ছেলে আছে। ফেসবুকে একটা শিশুকে একজন পুলিশ গলা চেপে ধরে আছে সেটা দেখে ক্ষোভে ফেটে পরেন তিনি।

তিনি বলেন, "ওই যে গলা চেপে ধরেছে ওই ছেলেটা আমার ছেলের বয়সী। কেউ যদি আমার বাচ্চার গায়ে এভাবে হাত দিতো জ্যান্ত পুঁতে ফেলতাম।" সূত্র: বিবিসি বাংলা। 


এবিএন/মমিন/জসিম

এই বিভাগের আরো সংবাদ