আজকের শিরোনাম :

শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের যৌক্তিকতা আছে : সেতুমন্ত্রী

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০১ আগস্ট ২০১৮, ১৩:০৫

ঢাকা, ০১ আগস্ট, এবিনিউজ : রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কে বাসের চাপায় দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যুর প্রতিবাদে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের রাস্তায় নামার বিষয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদ করার যৌক্তিকতা আছে। এ আন্দোলনের যৌক্তিকতা আছে। দুই সহপাঠীকে হারিয়ে তারা সড়কে নেমেছে, তাদের এই বিক্ষোভ ক্ষোভের বাস্তবতাও আছে। তার পরও আমি শিক্ষার্থীদের বলব, একটু ধৈর্য ধরো, সময় দাও।’

আজ বুধবার সকালে বনানীতে সেতুভবনে এক ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা জানান।

তিনি বলেন, মন্ত্রিসভার পরবর্তী বৈঠকেই সড়ক পরিবহন বিষয়ে নতুন আইন উত্থাপন হবে এবং সরকারের চলতি মেয়াদেই তা পাস করা হবে। 

সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘এই আইন পাস হলে সড়কের বিশৃঙ্খলা, দুর্ঘটনা, যানজট নিয়ন্ত্রণে সরকারের পক্ষ থেকে আরও কার্যকর ভূমিকা পালন করা যাবে। আমরা আইন পাস করছি। এটা একটা প্রক্রিয়ার বিষয়। সেই পর্যন্ত একটু ধৈর্য ধরতে হবে। 

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা রাস্তায় বেরিয়েছে। এখানে প্রচণ্ড ইমোশন কাজ করেছে। এর বাস্তবতাও আছে। দুজন মেধাবী শিক্ষার্থী অকালে ঝরে গেল। তার প্রতিবাদে এ ধরনের বিক্ষোভ অযৌক্তিক মনে করি না। এ ধরনের বিক্ষোভ হতেই পারে।’

এ সময় সেতুমন্ত্রী বলেন, নৌপরিবহনমন্ত্রী নিজেও তার বক্তব্যের জন্য ক্ষমা চেয়েছেন। শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো নিয়ে কাজ শুরু হয়েছে। সড়ক নিরাপত্তা আইন পাস হলেই কাজ শুরু হবে। দুর্ঘটনা যারা ঘটিয়েছে, তাদের অনেককে গ্রেফতার করা হয়েছে। একটু সময় দিন। যারা দোষী, যারা তাদের ন্যূনতম ছাড় দেওয়া হবে না।

শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে রাস্তাঘাটে যানবাহন কম, বিপাকে পড়েছেন মানুষ- এ বিষয়ে জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, স্বাভাবিকভাবেই যারা গাড়ির মালিক, তারা তো গাড়ি বের করবেন না-এটাই স্বাভাবিক। গতকালও গাড়ি ভাঙচুর হয়েছে। তবে এই পরিস্থিতি শিগগিরই কেটে যাবে। সবকিছু স্বাভাবিক হবে।

রবিবার জাবালে নূর (ঢাকা মেট্রো-ব-১১-৯২৯৭) পরিবহনের বাসটি মিরপুর থেকে আব্দুল্লাহপুর যাচ্ছিল। ফ্লাইওভার থেকে নামার পরই গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে র‌্যাডিসন ব্লু হোটেলের সামনের সড়কের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা লোকজনকে ধাক্কা দেয়।

ওই সময় বাস চাপায় শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজের বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রী দিয়া খানম মীম (১৫) ও দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র আব্দুল করিম (১৬) নিহত হন। আহত হন আরও অন্তত ১০ জন।

রবিবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে এই ঘটনার পর ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা বেরিয়ে এসে রাস্তা আটকে বিক্ষোভ শুরু করে। এ সময় সেখানে বেশ কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।

এবিএন/সাদিক/জসিম

এই বিভাগের আরো সংবাদ