আজকের শিরোনাম :

স্থানীয় নির্বাচনে বড় রাজনৈতিক দলগুলো থেকে নারী প্রার্থীদের সুযোগ কম

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৮ জুলাই ২০১৮, ১৮:১২

ঢাকা, ২৮ জুলাই, এবিনিউজ : রাজশাহী জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মর্জিনা পারভীন। ৩০ বছর ধরে রাজনীতি করছেন তিনি। কিন্তু কোন বারই তিনি এই সিটি কর্পোরেশনের মেয়র পদে দলের মনোনয়ন পাননি। কিন্তু কেন? প্রশ্নটি করেছিলাম মর্জিনা পারভীনকে।

তিনি বলছিলেন "এই প্রশ্নটা আপনি তাদেরকে (পুরুষদের) করেন, তারা বলবে নারী ঐভাবে এখনো যোগ্য হয়ে উঠেনি। কিন্তু যদি নারীকে সুযোগ না দেয়া হয় তাহলে সে তার যোগ্যতা প্রমাণ করবে কিভাবে?"

তিনি আরো বলছিলেন, "সার্বিক দৃষ্টিতে যাকে যোগ্য মনে হয় পুরুষদের চোখে তাকে যোগ্য মনে হয় না। তারা ঐ জায়গাটা ছাড়তে চায়না, অভ্যস্ত না।" মর্জিনা পারভীনের ভাষায়, সুযোগের অভাবেই অনেক যোগ্য নারী রাজনৈতিক কর্মী মনোনয়ন পান না।

রাজশাহীতে প্রধান দুই দলের মেয়র প্রার্থী- পুরুষ। জেলায় ওয়ার্ড রয়েছে ৩০টা। এর মধ্যে ১০টা সংরক্ষিত মহিলা আসন। বাকিগুলোর মধ্যে মাত্র একজন নারী স্বতন্ত্র প্রার্থী রয়েছেন যার প্রতিদ্বন্দ্বী রয়েছেন পুরুষ প্রার্থী।

বিএনপির একজন কেন্দ্রীয় নেতা আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলছিলেন, কোন নারী তাদের দলের কাছে মেয়র পদে মনোনয়নের জন্য আবেদনই করেননি। সিলেট সিটি কর্পোরেশনে মেয়র পদপ্রার্থী সব পুরুষ।

সিলেট সিটি কর্পোরেশনের ২৭টা ওয়ার্ডের মধ্যে কাউন্সিলর পদে নয়টা সংরক্ষিত আসন রয়েছে নারীদের জন্য। আর একটি আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী রয়েছেন একজন নারী, নিলুফার ইয়াসমিন লিপি।

মিজ লিপি বলছিলেন, তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে একারণেই দাঁড়িয়েছেন যাতে করে ভবিষ্যতে অন্য নারীরাও ভোটের রাজনীতিতে প্রার্থী হিসেবে আসতে সাহস পান।

তিনটি সিটি কর্পোরেশনের মধ্যে বরিশালে আওয়ামী লীগ এবং বিএনপির রয়েছে পুরুষ মেয়র প্রার্থী। তবে একমাত্র নারী প্রার্থী রয়েছে বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দলের। তারা ডা. মনীষা চক্রবর্তীকে মনোনয়ন দিয়েছে।

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুল আলম হানিফের কাছে জানতে চেয়েছিলাম কেন তারা নারীদের মনোনয়ন দেয়ার ক্ষেত্রে অনীহা দেখান?

তিনি বলছিলেন, "এই তিন সিটি কর্পোরেশনে কোন নারী নিজেদেরকে তৈরি করেন নি, এবং এগিয়েও আসেন নি। তারা যদি প্রার্থী হিসেবে এগিয়ে না আসেন তাহলে আমরা কিভাবে নারী হিসেবে তাদেরকে প্রার্থী করবো?"

মি. হানিফ বলছিলেন, "দলের কাছে যারা মনোনয়নের আগ্রহ প্রকাশ করেছেন তাদের মধ্যে থেকে যাচাই বাছাই করে সবথেকে যোগ্য প্রার্থীকেই মনোনয়ন দেয়া হয়েছে।"

সংবিধান অনুযায়ী নারীদের জন্য কাউন্সিলর পদে সংরক্ষিত আসন রয়েছে প্রতি জেলায় তিনটি ওয়ার্ডে একটি করে।

এছাড়া মেয়রসহ বাকি কাউন্সিলর আসনে নারীদের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হয়। তৃনমূল পর্যায়ের নারী রাজনীতিকরা বলছেন, তারা সুযোগের অভাবে মনোনয়ন পাচ্ছেন না।

আবার বড় রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত, হয় নারীরা ভোটের রাজনীতির জন্য নিজেদের তৈরি করছেন না, অথবা প্রার্থী হতে আগ্রহ প্রকাশ করছেন না। সূত্র: বিবিসি বাংলা। 

এবিএন/মমিন/জসিম

এই বিভাগের আরো সংবাদ