আজকের শিরোনাম :

প্রতি দুই বাড়ির একটিতে এডিস মশার জীবাণু: সাঈদ খোকন

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৮ জুলাই ২০১৮, ১৭:৫১

ঢাকা, ২৮ জুলাই, এবিনিউজ : রাজধানীর মন্ত্রীপাড়াসহ কয়েকটি এলাকায় প্রতি দুই বাড়ির একটিতে এডিস মশার জীবাণু মিলছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটির মেয়র সাঈদ খোকন। ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া প্রতিকারে সবাইকে সতর্ক থাকারও পরামর্শ দেন তিনি।

আজশনিবার দুপুরে কারওয়ান বাজার এলাকায় এডিস মশা নিধন অভিযানে অংশ নিয়ে তিনি বলেন, ‘কলাবাগান, কাঁঠালবাগান ও সেগুনবাগিচার প্রতি দু'টি বাড়ির একটিতে এডিস মশার জীবাণু পাওয়া গেছে।’

এর আগে, এডিস মশার লার্ভা-প্রজননস্থল শনাক্তকরণ ও ধ্বংসকরণ শীর্ষক এক কর্মসূচিতে ডিএসসিসির এ অঞ্চলে ব্যাপকহারে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যাওয়ায় এ কর্মসূচি নেওয়া হয়।

 সাঈদ খোকন বলেন, গত ২৫ জুন থেকে আমাদের এ কর্মসূচি চলাকালে প্রতিটি ওয়ার্ডের বাসায় বাসায় গিয়ে আমাদের কর্মীরা মশকের লার্ভা ধ্বংস করেছে। পাশাপাশি ওইসব বাসা মালিকদের এ বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টি ও প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। আমাদের কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে ১৯ হাজার ৫৪২টি বাড়িতে।

তিনি বলেন, ‘আমাদের কার্যক্রমের মাধ্যমে আমরা জানতে পেরেছি অঞ্চল-১ এ প্রায় ৪৫ শতাংশ বাড়িতেই মশকের লার্ভা পাওয়া গেছে, যা খুবই উদ্বেগজনক। এ কারণে আমরা এডিস মশার লার্ভা ধ্বংসকরণে আবারও কর্মসূচি নিয়েছি। এতে অঞ্চল-১ কে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি। বিশেষ করে ধানমন্ডি, কলাবাগান, মন্ত্রীপাড়া ও সেগুনবাগিচা এলাকার বাসাগুলোতে এডিস মশার লার্ভা বেশি পাওয়া গেছে। এই এলাকার প্রায় প্রতি দুই বাড়ির একটিতে আমরা মশকের লার্ভা পেয়েছি। এছাড়া দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের অঞ্চল ২, ৩, ৪, ৫ এলাকার অবস্থা ভালো। হিসাব অনুযায়ী, এই এলাকার বাড়িগুলোর অবস্থা অতটা উদ্বেগজনক নয়।’

এসময় মেয়র তার সংস্থার মতো ঢাকার আশপাশের সিটি করপোরেশন, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদগুলোকেও একযোগে এই কর্মসূচি পালন করার আহ্বান জানান। 

মশার বিস্তার রোধে বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে জনসাধারণকে এডিস মশার লার্ভা ধ্বংসের প্রশিক্ষণ দেয়া হবে বলেও জানান মেয়র। এ সমস্যা সমাধানে সিটি করপোরেশন কাজ করে যাচ্ছে বলেও জানান ঢাকা দক্ষিণ সিটির মেয়র।

কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা খান মোহাম্মদ বিলাল, সচিব মো. শাহাবুদ্দিন খান, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (ডা.) শেখ সালাহউদ্দীন, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা এয়ার কমোডর মো. জাহিদ হোসেন প্রমুখ।


এবিএন/মমিন/জসিম

এই বিভাগের আরো সংবাদ