আজকের শিরোনাম :

আচরণবিধি লঙ্ঘনে ইসির পদক্ষেপ নেই: সুজন

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৫ জুলাই ২০১৮, ১৮:৫৮ | আপডেট : ২৫ জুলাই ২০১৮, ২১:১৭

ঢাকা, ২৫ জুলাই, এবিনিউজ : তিন সিটি নির্বাচনে আচরণবিধি লঙ্ঘনের বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেই বলে অভিযোগ করেছে সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজন। বুধবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিন সিটি নির্বাচনে প্রার্থীদের বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরে সংস্থাটি।  

সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা এম হাফিজ উদ্দিন খান বলেন, ‘দেশে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে এই ব্যাপারে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে। এছাড়াও বহু ধরনের পয়েন্ট সেখানে রয়ে গেছে। নির্বাচনের জন্য যেটা প্রয়োজন সেটা হল লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নেই। কেননা সরকারি চাকরিজীবীরা নির্বাচনে প্রচার কাজে অংশ নিয়েছেন।’

অন্যদিকে, স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ ড. তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘প্রার্থীরা যে তথ্য দিচ্ছে, সেই তথ্যগুলো সঠিক কি-না। এটা একটা বড় প্রশ্ন। তার তথ্যগুলো মিথ্যা হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে কেন। চিন্তাটা হচ্ছে, নির্বাচন মনে হয় সঠিক হচ্ছে না। কেননা সংশয়, সন্দেহ, অবিশ্বাস থেকে যাচ্ছে।’

প্রার্থীদের তথ্য বিশ্লেষণ করে সুজন জানায়, মেয়র প্রার্থীদের মধ্যে রাজশাহীর পাঁচজনের দুজন স্নাতকোত্তর ও তিনজন স্নাতক, বরিশালে সাতজনের একজন স্নাতকোত্তর, চারজন স্নাতক, একজনের এসএসসি ও একজন স্বশিক্ষিত, সিলেটে সাতজনের মধ্যে একজন স্নাতকোত্তর, দুজন স্নাতক, একজন এইচএসসি, একজন এসএসসি ও দুজন স্বশিক্ষিত।

রাজশাহীতে ২০০৮ থেকে ২০১৩ পর্যন্ত মেয়র ছিলেন আওয়ামী লীগের বর্তমান মেয়র প্রার্থী এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন। ওই সময়ে তাঁর আয় বেড়েছে ২৩০৮.১০ %। কিন্তু পরের পাঁচ বছরে তাঁর আয় বেড়েছে ৩৩.২৯ %। ২০১৩ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত মেয়র ছিলেন বিএনপির বর্তমান মেয়র প্রার্থী মোসাদ্দেক হোসেন। ওই সময়ে তাঁর আয় বেড়েছে ১৫১৮.৩৬ %। ২০১৩ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত সময়ে সিলেটে আওয়ামী লীগ প্রার্থী বদর উদ্দিন আহমেদ কামরানের আয় বেড়েছে ৬০.৭৩ %। ওই সময়ের মেয়র ও বর্তমান বিএনপির প্রার্থী আরিফুল হক চৌধুরীর আয় বেড়েছে ৪৮ %।

এবিএন/মমিন/জসিম

এই বিভাগের আরো সংবাদ