আজকের শিরোনাম :

পুলিশই জনগণের কাছে সেবা নিয়ে যাবে : আইজিপি

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২২ জুন ২০২০, ১৪:১৩ | আপডেট : ২২ জুন ২০২০, ১৪:১৯

বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ বলেছেন,  পুলিশি সহায়তা পেতে জনগণকে এখন পুলিশের কাছে আসতে হয়। এমন একটি ব্যবস্থা চালু করতে চাই, যাতে জনগণকে পুলিশের কাছে আসতে না হয় বরং পুলিশই জনগণের কাছে সেবা নিয়ে যাবে। 

রবিবার (২১ জুন) রাতে সারাদেশের পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে তিনি কথা বলেন।

পুলিশ সদর দফতর থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, রবিবার সন্ধ্যার পর সিএমপি, কেএমপি, আরএমপি, বিএমপি, রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ, চট্টগ্রাম, সিলেট, রাজশাহী, রংপুর, খুলনা ও বরিশাল রেঞ্জ, স্পেশাল ব্রাঞ্চ, সিআইডি, র‌্যাব পিবিআই, রেলওয়ে, টুরিস্ট, হাইওয়ে ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ এবং পুলিশ স্টাফ কলেজ, বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমি, সারদার প্রধান এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে পুলিশ সদর দফতর থেকে ভিডিও কনফারেন্স করেন আইজিপি।

করোনাকালে পুলিশের সেবার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘করোনার সময় জনগণকে আমাদের কাছে আসতে হয়নি। আমরা জনগণের কাছে গিয়েছি। তাদের পাশে থেকেছি। তাদের করোনা সংক্রমণ থেকে সুরক্ষিত রাখতে গিয়ে নিজেরা আক্রান্ত হয়েছি। জীবন বিলিয়ে দিয়েছি। তাদের বাসায় খাবার পৌঁছে দিয়েছি। যাতায়াতের ব্যবস্থা করেছি। তাদের ধান কাটার ব্যবস্থা করেছি। করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত ব্যক্তির আপনজনরা যখন কাছে আসেনি তখন আমরা তার দাফন এবং সৎকারের ব্যবস্থা করেছি। এটা আমাদের দায়িত্ব ছিল না, কিন্তু আমরা মানবিক দায়িত্ববোধ থেকে কাজটি করেছি।’

এ সময় তিনি বিট পুলিশিংয়ের মাধ্যমে পুলিশকে জনগণের কাছে নিয়ে যেতে ইউনিট প্রধানদের নির্দেশনা দেন।  আইজিপি বলেন, ‘আমাদের দেশের প্রতিটি ইউনিয়নকে একেকটি বিটে ভাগ করে প্রতিটি বিটের দায়িত্বে একজন পুলিশ কর্মকর্তাকে নিয়োজিত করা হবে। ওই কর্মকর্তা নিয়মিত ওই ইউনিয়নের মানুষের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যা ইত্যাদির খোঁজখবর করবেন। প্রতিনিয়ত তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখবেন। তাৎক্ষণিকভাবে তাদের সমস্যার সমাধান করবেন এবং কাঙ্ক্ষিত সেবা দেবেন।’ 

ঢাকা, ময়মনসিংহ ও সিলেটে বিট পুলিশিংয়ের সাফল্য উল্লেখ করে আইজিপি বলেন, এসব এলাকায় বিট পুলিশিং সফল হয়েছে। আমরা সারাদেশে বিট পুলিশিং চালু করতে চাই, মানুষের কাছে যেতে চাই, মানুষের হৃদয় জয় করতে চাই।

আইজিপি বলেন, প্রধানমন্ত্রী এ অনবদ্য ভূমিকার জন্য পুলিশকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। দেশবাসী অকুণ্ঠচিত্তে পুলিশের প্রশংসা করছেন। দেশের জ্ঞানী গুণী ব্যক্তিরা আমাদের পক্ষে কলম ধরেছেন। আমরা মানুষের মনে স্থান করে নিতে পেরেছি।

তিনি বলেন, ‘চাকরিরত অবস্থায় কোনো পুলিশ সদস্যের মৃত্যু হলে বা কঠিন রোগে আক্রান্ত হলে তাকে ও তার পরিবারকে আর্থিক প্রণোদনা দেওয়া হয়। আমরা চাকরিরত অবস্থায়ই পুলিশ কর্মকর্তা ও ফোর্সের সার্বিক কল্যাণ নিশ্চিত করতে চাই। তাদের সন্তানদের লেখাপড়া, চিকিৎসাসহ অন্যান্য সুবিধা নিশ্চিত করতে চাই, যাতে তারা নির্বিঘ্নে জনগণকে সর্বোচ্চ সেবা দিতে পারেন।’

প্রধানমন্ত্রীর রূপকল্প ২০২১ ও ২০৪১ বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশ পুলিশকেও উন্নত দেশের উপযোগী পুলিশ হিসেবে তৈরি হতে হবে।

এবিএন/সাদিক/জসিম

এই বিভাগের আরো সংবাদ