আজকের শিরোনাম :

প্রযুক্তি জ্ঞানসম্পন্ন সশস্ত্র বাহিনী গড়ে তুলতে চাই : প্রধানমন্ত্রী

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৮ জুন ২০২০, ১২:০৬ | আপডেট : ১৮ জুন ২০২০, ১৪:৪৯

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আমরাও আধুনিক প্রযুক্তি জ্ঞানসম্পন্ন সশস্ত্রবাহিনী গড়ে তুলতে চাই। হামলা হলে যেন যথাযথভাবে তার মোকাবিলা করতে পারি।

আজ বৃহস্পতিবার (১৮ জুন) গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে নতুন যুদ্ধজাহাজ বানৌজা ‘সংগ্রাম’-এর কমিশনিং অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা কারও সঙ্গে যুদ্ধ করতে চাই না, আমরা শান্তি চাই। আমরা শান্তি চাই এটা যেমন সত্য, আবার যদি কেউ আমাদের ওপর হামলা করে তা যেন আমরা যথাযথভাবে মোকাবিলা করতে পারি। তাই যুগের সঙ্গে তালমিলিয়ে আধুনিক প্রযুক্তিজ্ঞান সম্পন্ন প্রতিষ্ঠান আমরা গড়ে তুলতে চাই। সেখানে আমরা আমাদের সশস্ত্র বাহিনীকে রাখছি- আমাদের সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী প্রত্যেকটা প্রতিষ্ঠান যেন আধুনিক জ্ঞান সম্পন্ন হয়।

সমুদ্রসীমা  ও সম্পদ রক্ষায় শক্তিশালী নৌবাহিনীর ভূমিকার কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, সমুদ্রসীমা রক্ষার জন্য আমাদের নৌবাহিনীকে আরও শক্তিশালী করা প্রয়োজন। ইতোমধ্যে আমরা অনেক আধুনিক সরঞ্জাম কিনেছি।

ভারত ও মিয়ানমারের সঙ্গে আন্তর্জাতিক আদালতে সমুদ্রসীমা নির্ধারণের কথা উল্লেখ করে সরকারপ্রধান বলেন, একদিকে মিয়ানমার আর একদিকে ভারত। দুই প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রেখেও আন্তর্জাতিক আদালতে মামলা করে আমরা আমাদের সমুদ্রসীমা অর্জন করেছি।

জাহাজশিল্পকে এগিয়ে নিতে সরকারের উদ্যোগের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, খুলনা শিপইয়ার্ড নৌবাহিনীর হাতে দিয়ে দেই। পাশাপাশি ড্রাই ডক নারায়ণগঞ্জ ও চট্টগ্রামের দুটি ড্রাইডকই আমরা নৌবাহিনীকে দিয়ে দিয়েছি। আমরা নিজেদের দেশে স্বল্প পরিসরে জাহাজ বানানো শুরু করেছি, মেরামতের কাজও আমরা করছি। বন্ধুপ্রতিম দেশের সঙ্গে যৌথভাবে যেখানে যা প্রয়োজন আমরা করে যাচ্ছি। কিন্তু আমাদের নিজেদের শিখতে হবে, প্রস্তুত হবে হবে, জানতে হবে। প্রযুক্তি জানতে হবে। আগামীতে জাহাজগুলো আমরা যাতে নিজেরা তৈরি করতে পারি, আমরা প্রয়োজনে রফতানি করতে পারি সেই চিন্তাটাও মাথায় থাকতে হবে।

আধুনিক ও শক্তিশালী নৌবাহিনী গঠনে সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, নৌবাহিনী এখন একটি ত্রিমাত্রিক বাহিনী। নৌবাহিনীর সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে নৌবহরে সংযোজন করা হয়েছে নতুন এই করভেট ক্লাস যুদ্ধজাহাজ বানৌজা সংগ্রাম।

তিনি বলেন, আগামীতে আমরাও যেন এমন যুদ্ধজাহাজ তৈরি করতে পারি সে চিন্তা আমাদের করতে হবে। এ ছাড়া আমাদের নিজেদের প্রয়োজন ছাড়াও এ ধরনের জাহাজ যেন আমরা বিদেশে রফতানি করতে পারি সেভাবে আমাদের কাজ করতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছিল, আমাদের প্রবৃদ্ধি ক্রমান্বয়ে বাড়ছিল, কিন্তু কোনো এক অদৃশ্য শক্তি এসে সব উন্নয়ন অগ্রগতি স্তব্ধ করে দিয়েছে। উন্নত ও খুব শক্তিশালী এবং অতি দরিদ্র সকলের একই অবস্থা সৃষ্টি করেছে এই অদৃশ্য শক্তি। এর বিরুদ্ধে কেউ লড়তে পারছে না। তিনি নৌবাহিনীর সব সদস্যকে সুরক্ষিত থেকে তাদের দায়িত্ব পালন করার জন্য আহ্বান জানান।

করোনার ভাইরাস থেকে দেশ এবং বিশ্ব একদিন মুক্তি পাবেই; এই অদৃশ্য শক্তির বিরুদ্ধে বাংলাদেশ জয়ী হবেই- এমন প্রত্যয় জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশবাসীকে মনোবল না হারানোর আহ্বান জানিয়েছেন। 

চট্টগ্রাম বানৌজা ইশা খাঁ নৌ জেটিতে বানৌজা সংগ্রাম-এর কমিশনিং অনুষ্ঠান হয়। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে অংশগ্রহণের মাধ্যমে নতুন এ  যুদ্ধজাহাজটি দেশের সমুদ্রসীমা পেরিয়ে বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করেছেন সংশ্লিষ্টরা।

এবিএন/সাদিক/জসিম

এই বিভাগের আরো সংবাদ